কম্পিউটার প্রকারভেদ - আকার আকৃতি অনুসারে কম্পিউটার কত প্রকার

কম্পিউটারের প্রকারভেদ এবং আকার আকৃতি অনুসারে কম্পিউটার কত প্রকার। আপনি হয়তো এই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন এই জন্য আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন। আমি আপনাকে এ পোষ্টের মাধ্যমে সমস্ত কিছু জানানোর চেষ্টা করব। তাই আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার চেষ্টা করবেন।
কম্পিউটার প্রকারভেদ
সূচিপত্রআপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে কম্পিউটার প্রকারভেদ এবং আকার আকৃতি অনুসারে কম্পিউটার কত প্রকার থেকে শুরু করে আপনি কম্পিউটার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন যেগুলো আপনার হয়তো অজানা চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

আমরা কম্পিউটারের গঠন এবং প্রচলন নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিন ৩ ভাগে ভাগ করতে পারি।
  • Analog Computer (অ্যানালগ কম্পিউটার)
  • Digital Computer (ডিজিটাল কম্পিউটার)
  • Hybrid Computer (হাইব্রিড কম্পিউটার)

অ্যানালগ কম্পিউটার কি?

যে সমস্ত কম্পিউটার এনার্জি সিগন্যাল বা এনালক তথ্য সংক্রান্ত কাজকর্ম করে তাদের কম্পিউটার বলে। কম্পিউটার বেশিরভাগই কলকাখানায় ব্যবহার হয়। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারেঃ স্লাইড রোল, নোথোগ্রাফ , কন্ট্রোল কম্পিউটার ইত্যাদি।

অ্যানালগ কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

আমরা এতক্ষণ জানলাম এনলগ কম্পিউটার কি? এখন আমরা জানবো কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
  • জটিল ও একাধিক সমস্যাযুক্ত গণিতিক সমস্যা সমাধান করতে পারে।
  • প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যযুক্ত বস্তুর পরিমাপ করতে সক্ষম।
  • এ ধরনের কম্পিউটার একটা নাম মানের উপর কাজ করে।

ডিজিটাল কম্পিউটার কি?

যে সমস্ত কম্পিউটার ডিজিটাল সিগন্যাল বা ডিজিটাল তথ্য নিয়ে কাজকর্ম করে তাদেরকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে। সমস্ত ডিজিটাল সিগন্যাল বাইনারি শাখা ’১’ এবং ’০’ এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। ‘১’ বলতে উচ্চ বিভব এবং ‘০’ বলতে নিম্ন বিভাগ বোঝায়। ‘১’ এবং ‘০’ অনেক সময় যথাক্রমে ও ON এবং OFF বলে ও চিহ্নিত করা হয়।

ডিজিটাল কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

  • ডিজিটাল কম্পিউটারের যে তথ্য বার সিগন্যাল ব্যবহৃত হয় তা বিক্ষিপ্ত প্রকৃতির।
  • ডিজিটাল কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণের পর যে ফলাফল পাওয়া যায় তা সূক্ষ্ম এবং সঠিক।
  • ডিজিটাল কম্পিউটার খুব সহজেই মেশিন ল্যাংগুয়েজ প্রক্রিয়া করতে পারে ডিজিটাল কম্পিউটারের দাম তুলনামূলক বেশি।

হাইব্রিড কম্পিউটার

যে সমস্ত কম্পিউটার এনালগ এবং ডিজিটাল উভয় প্রকার সিগনাল প্রসেস করতে পারে তাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে। হাইব্রিড কম্পিউটার তথ্য দ্রুত প্রসেস করে সূক্ষ্ম এবং সঠিক ফলাফল প্রদর্শন করে। এ ধরনের সিস্টেমে প্রথমে এনালক তথ্য ও গৃহীত হয় এবং তারপর ডিজিটাল তথ্য রূপান্তর পর প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হয় এই কম্পিউটার বৈজ্ঞানিক গবেষণা শিল্পকর কারখানা এবং হাসপাতালে ব্যবহৃত হয়।
আকার ও দাম এবং ব্যবহারের সাপেক্ষে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ৪ ভাগে ভাগ করা যায়
  • মাইক্রো কম্পিউটার
  • মিনি কম্পিউটার
  • মেনই ফ্রেম কম্পিউটার
  • সুপার কম্পিউটার

সুপার কম্পিউটার কি?

সুপার কম্পিউটার সবচেয়ে বৃহৎ শক্তিশালী দামি এবং উচ্চগতি সম্পন্ন। এ ধরনের কম্পিউটারের তথ্য ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। উদাহরণ স্বরূপঃ Cray-1, Cyber-2025 ইত্যাদি

সুপার কম্পিউটারের ব্যবহার

  • বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের সুপার কম্পিউটার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়
  • আবহাওয়ার পূর্বাষটিতে ব্যবহৃত হয়
  • তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করতে ব্যবহার হয়
  • অস্ত্র তড়িৎ গবেষণা বায়মেডিসিন ইত্যাদির ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

সুপার কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

  • সুপার কম্পিউটার দ্রুত প্রসেসিং করতে সংক্ষিণ
  • ৬৪ বিড মাইক্রো প্রসেসর চিপ ব্যবহৃত হয়।
  • সুপার কম্পিউটারের প্রসেসিং স্পিড 100 MIPS ( Millon Instruction Per Second )
  • এই কম্পিউটার সিস্টেমে প্রায় 200 ব্যবহারকারী একসঙ্গে টার্মিনাল ব্যবহার করতে সক্ষম।

মেনই ফ্রেম কম্পিউটার কি?

মাইন ফ্রেম কম্পিউটার সিস্টেমের তথ্য ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি, তবে সুপার কম্পিউটার থেকে কম। এ ধরনের কম্পিউটার বিশাল আকারে তথ্যের উপর দ্রুত গতিতে বিভিন্ন জটিল বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। মেনশন কম্পিউটার সিস্টেম সুপার কম্পিউটারের মত মাল্টি ইউজার সিস্টেম চলে অর্থাৎ একসঙ্গে একাধিক কম্পিউটার ব্যবহারকারী এই কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে।


উধাহারণঃ IBM 4381 , CDC 6600 ইত্যাদি।

মেইন ফ্রেম কম্পিউটার এর ব্যবহার

  • মেনশন কম্পিউটার প্রচুর পরিমাণ তথ্য প্রসেসিং হয়
  • শিল্প এবং কলকারখানা বিভিন্ন পরিসংখ্যান রিসোর্স প্ল্যানিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়
  • মেইন ফেম কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
  • মেইন ফেম কম্পিউটার বিশাল আয়তনের তথ্য দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম
  • এই কম্পিউটারে ৩২ থেকে ১২৮ বিট মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহৃত হয়
  • টাইম শেয়ারিং বা সময় বিভাজন পদ্ধতিতে এখানে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ হয়

মিনি কম্পিউটার

  • মিনি কম্পিউটার মেইনফ্রেম বা সাধারণ কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারের থেকে আকারের ছোট এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা। এটি মাল্টি ইউজার কম্পিউটার। মিনি কম্পিউটারের ক্ষমতা মাঝারি ধারণের।
  • উধাহারণঃ PDP -8, IBM, VAX ইত্যাদি

মিনি কম্পিউটার এর ব্যবহার

  • ব্যবসায়িক এবং কারিগরি বিদ্যায় বেশি ব্যবহৃত হয়।
  • অ্যাকাউন্টিং, ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, ইত্যাদি কাজে মিনি কম্পিউটার ব্যবহার হয়।

মিনি কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

  • মিনি কম্পিউটারের CPU, মেমোরি এবং সাহায্যকারী সঞ্চয় অংশটি একটি সারি বা তাকের উপর সজ্জিত থাকে।
  • এটি মাল্টি ইউজার কম্পিউটার।
  • সাধারণ ৩২ বিট পর্যন্ত মাইক্রোপ্রসেসের যে প্রবাহিত হয়
  • প্রোসেসিং গতি 500 KIPS ( Kilo Instruction Per Second)

লেখক এর মন্তব্য

আমরা এতক্ষণ জানলাম কম্পিউটার প্রকারভেদ এবং আকার আকৃতি অনুসারে কম্পিউটার কত প্রকার এবং কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত এবং আমরা এইসব এর ব্যবহার এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও জেনেছি। আপনার কাছে যদি আমাদের এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার করবেন যাতে করে ওই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url