অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী ? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব ?
আপনি কি জানতে চান অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী ? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব ? আপনি কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি কি সঠিক জায়গায় এসেছেন? আমরা এই আর্টিকেলটির মধ্যে আলোচনা করব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন?
আপনি যদি সবকিছু ভালোভাবে জানতে চান তাহলে আপনা কে অবশ্যই এই পুরো পোস্টে মন দিয়ে পড়তে হবে। আপনি যদি পোস্টটি ভালোভাবে পড়েন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব এ নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকবে না।
সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়? এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায় এ বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ ধারণা দিব। তাই সবকিছু ভালোভাবে জানতে আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি মনে করবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী সহজ ভাবে বলতে গেলে কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন কোম্পানির কিংবা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্ট কিংবা সেবা বিক্রয় করে দেয় তখন তাকে আমরা অ্যাফিলিয়েড মার্কেটিং বলি। আর সহজ ভাবে বলতে গেলে মার্কেটিং হল অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রয় করা।
বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রায় সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে এর ফলে অনলাইনে ব্যবসাও বাড়ছে। আপনি যদি অনলাইন থেকে খুব সহজে ইনকাম করতে চান তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আমরা বিনা পুঁজিতে আফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে আমরা ফ্রিতে যে কোন ব্যবসাকে দাঁড় করাতে পারি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? এ বিষয় নিয়ে একটি উদাহরণ দেওয়া যাক যাতে করে আপনি সহজেই এ বিষয়টি বুঝতে পারেন। মনে করুন একটা বাইক কোম্পানি সেই কোম্পানিটি আপনাকে হায়ার করেছে তাদের বাইকটি বিক্রয় করে দেওয়ার জন্য। আপনি যদি তাদের বাইকটি বিক্রি করে দেন তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
এই যে ধরুন আপনি ব্যাগটি সেল করছেন এখান থেকে কিন্তু আপনি একটা নির্দিষ্ট পরিবারের কমিশন পাচ্ছেন। এই বাইক সেল দেওয়ার কাজটি আপনি করছেন তার মানে আপনি মার্কেটিং করছেন। এক কথায় বাইক কোম্পানি এবং কাস্টমারের মধ্যে আপনি একটা চুক্তি করছেন সেই চুক্তির মাধ্যমে কাস্টমারকে তার নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট এবং এবং কোম্পানির জিনিস বিক্রয় করে দিচ্ছেন এই পুরো প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আরো বলা যেতে পারে ধরুন আপনি কোন একটা কোম্পানিতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ পেয়েছেন এবং আপনি যখন তাদের প্রোডাক্টের বিক্রি করে দিতে পারবেন তখনই আপনি একটা কমিশন পাবেন তাহলে এই পুরো প্রক্রিয়াটা একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হবে।
আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী আপনি যদি উপরে পোস্টটি সম্পূর্ণ ভালো করে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝে গেছেন যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? এখন আপনার মনে প্রশ্ন আছে যে আফফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? এখন আমরা এই বিষয় নিয়ে কথা বলব কিভাবে করবেন ভালোভাবে জানতে পোস্টে ভালোভাবে পড়ুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব ?
এতক্ষণ আমরা জানলাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? এখন জানবো অ্যাফিলিয়েট মার্কিন কিভাবে করতে হয়। এখন আপনি চাইলে ঘরে বসে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। দিন যত বাড়ছে ততই সারা বিশ্ব ডিজিটাল হচ্ছে প্রযুক্তির দিক দিয়ে আরো উন্নত হচ্ছে।
আগে মানুষ কেনাকাটা কারো জন্য বাজারে যেত এখন মানুষ ঘরে বসেই সবকিছু পেয়ে যাচ্ছে। সেটাই যে কোন কিছু হোক কোন কাপড় হোক কিংবা কোনো ইলেকট্রনিক্স জিনিস কিংবা যেকোনো কিছু।
এখন সব জিনিসই ঘরে বসে অনলাইনে পাওয়া যায়। এজন্য প্রায় অনেকেই অনলাইনে ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করে তারা তাদের একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তারা তাদের প্রোডাক্ট বিক্রয় করছেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন এই বিষয় নিয়ে কয়েকটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করা হলো।
1, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে সর্বপ্রথম আপনার একটি ব্লগার ওয়েবসাইট ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক পেজ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এবং সেই ওয়েবসাইট এবং সেই চ্যানেল কিংবা সেই পেজগুলি আপনার ভালো হতে হবে এবং সেখানে ভিউয়ার সাবস্ক্রাইবার সব কিছুই থাকতে হবে। কারণ এ ফ্ল্যাট মার্কেটিং করার জন্য সবথেকে বেশি যে জিনিসটি থাকা দরকার তা হলো অডিয়েন্স।
2. এরপর যেটি আপনাকে করতে হবে তাহলে প্রোগ্রামার হিসেবে জয়েন করতে হবে। এবং যেকোনো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামার এ জয়েন হওয়ার পর আপনাকে তাদের প্রোডাক্টটি বা সেবা আপনি আপনার নিজের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কে দ্বারা সেটি শেয়ার করে সেই নির্দিষ্ট প্রোডাক্টটি বিক্রয় করতে পারবেন।
3. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামার হিসাবে জয়েন করার পর আপনি যে প্রোডাক্টটি সেল করতে চান কিংবা যে সেবাটি বিক্রয় করতে চান সেই প্রডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে লোকেদের কে জানাতে হবে অনলাইনে তাদের কাছে আপনি সেই প্রোডাক্ট বা সে শেয়ার করতে পারেন। এবং তাদের কাছে যদি আপনার প্রোডাক্ট কিংবা সেবাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে তারা আপনার থেকে সেই প্রোডাক্ট কিংবা সেবাটি নিবে। বর্তমানে অনলাইনে অনেক ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট আছে যেগুলো আপনি খুব সহজেই বিক্রয় করতে পারবেন। কারন এই ডিজিটাল প্রোডাক্ট গুলো চাহিদা অনেক বেশি।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে করবেন?
৪. আপনি যদি এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টি অনলাইনে কোন প্লাটফর্মে করে থাকেন তাহলে আপনি যদি নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্ট বাছাই করে থাকেন তাহলে আপনাকে সে প্রোডাক্টের একটি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দেয়া হবে সে এফিলিট লিংকটি লোকেদের কাছে শেয়ার করে তাদের কি কনভেন্স করে আপনি তাদের কাছে ওই প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন আপনি যদি তখন বিক্রি করতে পারেন তখন আপনি একটি কমিশন পাবেন।
৫. আপনাকে ওই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংকটি আপনি আপনার ফেসবুক ইউটিউব ওয়েবসাইট যেকোনো জায়গায় শেয়ার করতে পারবেন।
6. এখন যদি আপনার সেই লিংকটি কারো কাছে শেয়ার করে সেটি যদি কেউ কিনে তাহলে নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট বিক্রি করার পর একটা নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটি আপনার ওপর নির্ভর করবে। এখন প্রায় বিশ্বের অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। এরকম আপনিও করতে পারবেন। আপনি যদি চেষ্টা করেন তাহলে আপনি মাসে কয়েক হাজার নিমিষে ইনকাম করতে পারবে।
চলুন একটা উদাহরণের মাধ্যমে জেনে নেয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়। মনে করুন আপনার একটি ভালো মানের ফেসবুক পেজ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ব্লগার ওয়েবসাইট রয়েছে এবং আপনি সেগুলোতে প্রত্যেকদিন কাজ করেন।
এবং আপনার যেহেতু youtube চ্যানেল facebook ওয়েবসাইটগুলি রয়েছে সেগুলিতে আপনি নিত্য নতুন ভিডিও আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকেন। এবং অনেক ভিউয়ার্স আপনার আর্টিকেল ভিডিওগুলি দেখে এবং পড়ে। ধরনের আপনি একটি মোবাইল ফোন নিয়ে কথা বলছেন আপনি যে মোবাইল ফোনটি নিয়ে কথা বলছেন সেই মোবাইল ফোনটি দর্শকদের কাছে অনেক ভালো লাগতে পারে এবং তারা সেটি কিনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে।
এখন আপনাকে একটি কোম্পানিতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে যেখানে আপনার এই মোবাইল ফোনগুলি বিক্রয় করা হয় । সেখানে অ্যাফিলিয়েট হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার সেই অ্যাফিলিয়েট লিংকটি আপনার ভিডিও বা আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার দর্শকদের কাছে প্রমোট করতে পারে।
আপনার সেই এফিলেট লিংক থেকে যদি কোন ক্রেতা একটি কিনে তাহলে সেখান থেকে আপনি ৫% ১০% থেকে শুরু করে ২০ % পার্সেন্ট পর্যন্ত কমিশন নিতে পারবেন। এবং আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ফর্ম গুলোর ভিউয়ার্সরা যদি ২০ টি প্রোডাক্ট কিনে এবং সেই এক একটা প্রোডাক্ট এর মূল্য যদি ১0000 হয় এবং প্রত্যেকবার কেনাতে আপনাকে যদি ৩0% কমিশন দেয়া হয় তাহলে আপনার যে ইনকাম টি আসবে তা হলো
10000*30= 3000,000
3000,000*30/100= 900,000
তাহলে আপনি ৯০০,০০০ টাকা এক মাসে ইনকাম করতে পারছেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে এটি কিসের উপর নির্ভর করে
- আপনি কতটা দামি জিনিস বিক্রি করবেন তারপর
- এবং প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য আপনি কত টাকা কমিশন পাচ্ছেন
- এবং আপনি কয়টা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারছেন ইত্যাদির ওপর আপনার ইনকাম নির্ভর করবে
শেষ কথা
আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? আপনি যদি উপরে পোস্টটি সম্পন্ন ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে হয়তো এ বিষয়ে সম্পূর্ণ কিছু ধারণা পেয়েছেন। আপনি হয়তো আরো ধারণা পেয়েছেন যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনার কাছে যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন আপনার কাছে পোস্টটি কেমন লেগেছে। আপনি আপনার বোনদের কাছে এ পোস্টটি শেয়ার করবেন যাতে করে তারাও এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url