ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা
বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা সবাই জানি আর এই ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিয়েই অনেক জায়গায় প্রতিযোগিতামূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা এই প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। আমি যদি যেকোন প্রতিযোগী তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা লিখেন তাহলে খুব সহজেই আপনি ভালো নাম্বার পেতে পারেন।
তাই আপনি যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা লিখে কোন প্রতিযোগিতাই ভালো নাম্বার পেতে চান তাহলে অবশ্যই এই নিবন্ধনটি পড়ুন এবং নিম্নলিখিত ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা যেভাবে দেওয়া আছে আপনি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়ে তারপরে লেখার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি নিম্নলিখিত ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনাটি ভালোভাবে লক্ষ্য করেন কিংবা ভালোভাবে মুখস্থ করে কোন পরীক্ষায় লিখেন তাহলে খুব সহজে অনেক নাম্বার পাবেন তাই মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পড়ুন।
ইভিভিটিভি
ভূমিকা - ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা
বর্তমানে অনেক পরীক্ষায় ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা এই রচনাটি আসে এর মূল কারণ হচ্ছে বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর এই ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণেই এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা লিখতে বলা হয় এবং বিভিন্ন কম্পিটিশনে ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা টি আসে। আপনি যদি যেকোনো প্রতিযোগিতায় এন ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা লিখে প্রথম স্থান দখল করতে চান তাহলে অবশ্যই নিম্নলিখিত ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা টি ফলো করুন। চলুন বেশি দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ রচনা 20 পয়েন্ট
ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা
ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা
ভূমিকাঃ আধুনিক যুগ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির যুগ। বিজ্ঞানের গৌরবময় ভূমিকার জন্যই বিশেষজ্ঞতা আজ উন্নতির শীর্ষে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছাড়া কোন দেশ তার অর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারেনা। এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ বিশ্বের সকল দেশের সাথে তাল মিলিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। ভিশন ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
ভিশন ২০২১ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশঃ ভিশন ২০২১ এর মূল লক্ষ্য একটি সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসাবে বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টি করবে। উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতির স্থলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলছে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম।
ডিজিটাল বাংলাদেশের কর্মসূচি এবং জনগণের রাষ্ট্রঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম অঙ্গীকার হবে ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে দেশ থেকে দরিদ্র ও বৈষম্য দূর করার এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে জনগণের রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করা।
মৌলিক চাহিদা পড়ুনঃ রাষ্ট্রের জনগণ যেন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ডিজিটাল সরকারঃ সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পাদন করা হবেব প্রচলিত সনাতন পদ্ধতি পরবর্তীতে নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ।
ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাঃ অনলাইন এর মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত সকল তথ্য, নিবন্ধন ইত্যাদির ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার। বর্তমান সময় এটি কার্যকর হয়েছে বাংলাদেশ থেকে যে কেউ চাইলে খুব সহজেই ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থা যেকোনো সাহায্য নিতে পারবে অনলাইনে। অনলাইন মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজ করা হচ্ছে বর্তমান সময়ে। এবং এটি খুব ভালোভাবেই চলছে। এখন যে কেউ চাইলে ঘরে বসে তাদের সমস্ত হিসাব নিকাশ করতে পারছে তাদের সমস্ত কাগজ ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছে।
ডিজিটাল স্থানীয় প্রশাসনঃ কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও সকল পর্যায়ের কাজে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় সকল সরকারি কাজ এবং বিভিন্ন আইনে কাজ বিভিন্ন থানার কাজ এবং এ ধরনের আরও অনেক কাজ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ জনগণের সর্বাধিক নিরাপত্তা বিধান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার নিশ্চিত করা।
ডিজিটাল আইন ও বিচার ব্যবস্থাঃ আইন ও বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করলে সহজেই অপরাধ সংক্রান্ত সকল কার্যবিধি সম্পাদন করা যাবে। এছাড়া প্রয়োজনমতো বায়োমেট্রিক, জিন, পরীক্ষা, অপরাধী অবস্থান নির্ণয়ের জন্য গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম তৈরি করা ছাড়াও বিচারব্যবস্থাকে ডিজিটাল করতে হবে।
শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান লক্ষ্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিক নির্ভর করা। ডিজিটাল ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা এবং সারাদেশব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ বিস্তৃত করা। ICT ( information and Communication Technology ) শিক্ষাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া।
কৃষি ক্ষেত্রেঃ বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এই কৃষিকে বাদ দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। আর এই জন্যই সনাতন পদ্ধতি বর্জন করে কৃষককে করতে হবে প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে ছয় গুণ বেশি উৎপাদন সম্ভব।
চিকিৎসা ক্ষেত্রেঃ সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় একমাত্র কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমেই সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা যাবে।
যোগাযোগ ক্ষেত্রেঃ আধুনিক বিশ্বকে বলা হয় গ্লোবাল ভিলেজ। প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ স্থাপন করা সময়ে ব্যাপার মাত্র। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠলে দেশের প্রতিটি মানুষ বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়কের সঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারবে।
প্রকাশনার ক্ষেত্রেঃ প্রফেশনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তন েএনেছে। নির্ভুল তথ্য ও সঠিক বানান নির্ণয়ে কম্পিউটার প্রযুক্তি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেকোনো বানান কিংবা যেকোনো কিছুর উচ্চারণ যে কেউ সমস্যায় পড়লে সাথে সাথে কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ব্যবহার করে এর সমাধান পেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ টিয়া পাখির উপকারিতা
ব্যাংকিং ব্যবস্থার ক্ষেত্রেঃ ব্যাংকিং ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কম্পিউটার প্রযুক্তির অবদান অকল্পনীয়। যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার হিসাব খুব অল্প সময়ে নির্ভুলভাবে দেওয়া যায়। তাছাড়াও অনলাইন এর মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেন, এটিএম কার্ডের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে টাকা লেনদেন ডিজিটাল বাংলাদেশেরই আভাস। বেশি টাকা লেনদেন করার জন্য বাংলাদেশিরা এই বিশ্বস্ত ব্যাংকিং সেবাটি গ্রহণ করতে পারে।এবং ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করার মাধ্যমে বাংলাদেশিরা খুব সহজেই কোটি কোটি টাকা
লেনদেন করতে পারে নির্ভুলভাবে। ব্যাংকিং এর মাধ্যমে শুধু টাকা লেনদেন নয় সেখানে নিরাপদ ভাবে টাকা রাখা ও যায় নিরাপদ ভাবে অনেক টাকা রাখার জন্য ব্যাংক খুবই উপকার করছে বাংলাদেশ মানুষের। টাকা রাখা এবং টাকা লেনদেনের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ।
শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রেঃ বর্তমান নেই শেয়ার বাজারের সকল কার্যক্রম কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর। যার মাধ্যমে এখন ঘরে বসে লেনদেন করা যাচ্ছে। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সংবাদপত্রের ক্ষেত্রেঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে এসেছে অমূল্য পরিবর্তন। এছাড়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদপত্র ঘরে বসে পড়া যাচ্ছে। প্রতিদিনের এবং কিংবা সেই সময়কার লাইভ ঘটনা সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এবং আমরা ঘরে বসেই বিভিন্ন সংবাদ দেখতে পাচ্ছি আমাদেরকে বাইরে যেতে হচ্ছে না।
অনলাইন তথ্য কেন্দ্র স্থাপনঃ অনলাইন ভিত্তিক তথ্য কেন্দ্রে স্থাপন করতে পারলে দেশের সকল মানুষ তার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সহজেই জানতে পারবে। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য একান্তই আবশ্যক।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সরকারের পদক্ষেপসমূহঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে সরকার আইসিটি কে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিহ্নিত করে এই খাতের সঙ্গে সকল সেক্টরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যেমনঃ
- জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯ ইতিমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯ মাসের স্বল্প, ৫ বছরের মধ্য ও ১০০ বছরের দীর্ঘ মেয়াদে ৩০৬ টি কর্ম পরিকল্পনা বিদ্যমান।
- ২০০৯ এর নীতিমালা বর্ণিত 360 টি অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে ৩৯ টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে সম্পর্কিত করা হয়েছে।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্য যোগাযোগ নীতিমালা ২০০৯ সংশোধন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে জনগণ অনলাইনে প্রয়োজনীয় সকল কাজ সহজেই করতে পারবে।
- আইটি খাতকে বিকাসিত করতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা ২৩২ একর জমিতে দেশের হাইটেক পার্ক নির্মিত হয়েছে।
- কম্পিউটার ও আইটি বিষয় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য তরুণ সমাজকে নিয়ে সরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে 64 জেলায় কম্পিউটার বিতরণ ও ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন কাজ করছে।
- দেশের সব জায়গায় নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
- ২০০৮ সালে গহীত নীতিহমালা অনুযায়ি যোগাযোগ ক্ষেত্রে ই-মেইল সহ আধুনিক ব্যবস্থাদির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
- দেশে বর্তমান প্রতি বছর ৪০০০ ছাত্রছাত্রী আইসিটি বিষয়ে ক্যাজুয়েশন করে। তাদের দক্ষ পেশাজীবী মানব সম্পদে রূপান্তর করতে আইসিটি কর্পোরেশন সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
- নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্য সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
- ডিজিটাল শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি কাজ করছে।
- বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সকল পর্যায়ে ভর্তি নিবন্ধন কাজ করছে।
- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
- মোবাইল বিদুৎ, গ্যাস, ফোন বিল প্রভৃতিক প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- সকল ধরনের পাঠ্যপস্তুক ইন্টানেটের মাধ্যমে পড়ার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
একটি অশনি সংকেতঃ বাঙালি খুবই খারাপ প্রিয় জাতি। যে জাতি বীরের বেশে অর্জন করেছে স্বাধীনতা সেই জাতি আজ সফলতার দায়ে অভিযুক্ত। যেহেতু জাতি আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছে, সেই সাথে একটি আশঙ্কা ও তৈরি হচ্ছে। প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেলে বাংলাদেশের মানুষ আরো বেশি কর্ম বিমুখ ও অলস হয়ে যাবে।
এই ডিজিটাল প্রযুক্তির নিবে মানুষের কাজ। দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে যাবে। অন্যদিকে আরামপ্রিয় মানুষ গৃহবন্ধী হয়ে যাবে। ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবনস্থা শিক্ষাথীর বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলবে। ফলে জতি প্রকৃতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। তবে নির্ভর করে ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনার উপর।
তবুও আশার আলোঃ পূর্ব আলোচিত অশনি সংকেত গুলো পড়লে মনে হয় ডিজিটাল বাংলদেশ কি তাহলে অকল্যান বয়ে আনবে? নিশ্চিত না, কারণ আলো-অন্ধকারের মতো সর্বক্ষেত্রে সুবিধ-অসুবিধা থকবে। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্য ব্যবস্থাদি যদি দক্ষ মানুষ সমম্বয়ে করা যায় তাহলে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশীল দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে যদি মানুষ কর্মের সুযোগ পায় তাহলে তারা যেমন আননাদলাভ করবে তেমনি তারা একজন দক্ষ কর্মী হিসাবে গড়ে উঠবে।
উপসংহারঃ বংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশে তথ্য প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অতি সামান্য। তারপও আমরা আশাবাদী। ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু সরকার প্রবর্তিত কোনো কর্মসূচি নয়, এটি জাতির গন্তব। বাংলাদেশর তথ্য ও প্রযক্তিতে উন্ন্য়ন সাধন করা কঠিন ব্যাপর নয়। সরকাররে সঠিক দিক নিদ্দেষনা, তৎপরতা ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত করা সম্ভব। আর তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশের একদিকে সত্যিকার রূপে স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান দখল করে নিবে।
আরো পড়ুনঃ শিক্ষা ইন্টারনেটের ব্যবহার
আমাদের শেষ কথা - ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা
আমরা এতক্ষন একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা তৈরি করেছি। উপরোক্ত এই একটি রচনা ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা হিসেবে লেখেন তাহলে খুব সহজেই আপনি ভালো নাম্বার পাবেন। এবং আপনি যদি উল্লেখিত সবগুলো পয়েন্ট তুলে ধরেন এবং উল্লেখিত পয়েন্টের ভালোভাবে পরীক্ষায় কিংবা যে কোন জায়গায় লিখতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি সেখান থেকে ভালো দখল করে নিতে পারবেন।
এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আপডেট দিয়ে থাকি যা আপনার কাজে আসতে পার।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url