মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা জানুন এখান থেকে সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে
আপনি কি মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা খুঁজছেন? আপনি যদি মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা খোঁজেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে দেখিয়েছি মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা। বর্তমানে আমাদের দেশে মাদকাসক্তির সংখ্যা বেড়ে গেছে।
আমাদের দেশে মাদকাসক্তি বেড়ে গেছে এই কারণে আমাদেরকে জানতে হবে মাদকাসক্তির কারণ ও তার প্রতিকার। আর এগুলো যদি শিক্ষার্থীরা করে তাহলে তারাও মাদকাসক্তির কারণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জেনে তারা খুব সহজেই মাদক আসকে থেকে দূরে থাকতে পারবে এবং অন্যদের কেউ সতর্ক করতে পারবে।
evvtv
ভূমিকা - মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা
মাদকাসক্তির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এই কারণে মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা হতে পারে যে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা যে কোন কম্পিটিশন কিংবা যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক কিংবা যেকোনো পরীক্ষায়। এ ধরনের রচনা আশা স্বাভাবিক। আর এ ধরনের সম্পূর্ণ নাম্বার পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে মাদকাসক্তের কারণ ও তার প্রতিকার রচনা কিভাবে লিখতে হয় কি কি কারণ রয়েছে তার সমস্ত কিছু। আমি যেহেতু এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা সম্পর্কে ভালোভাবে উল্লেখ করেছি তাই এর জন্য আপনি এই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আপনি যদি এই মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা কোন জায়গায় লিখেন কিংবা কোন প্রতিযোগিতামূলক কিংবা কোন পরীক্ষায় লেখেন তাহলে আপনি সম্পূর্ণ নাম্বার পাবেন।
মাদকাসক্তি কি
মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা জানার আগে আমাদেরকে জানতে হবে মাদকাসক্তি কি। মাদকাসক্তি হলো কোন ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের যে মাদক পদার্থ বা মাদক সেবন আসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্তি একটি চিকিৎসার সময় মত সমস্যা হিসেবে মনোনীত হয় এবং মাদকদ্রোদ্ধির জন্য ব্যক্তির জীবনকে একত্রিত করে দেয়।
আরো পড়ুনঃ গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মাদকাসক্তির জন্য মূলত দুইটি ধারণা রয়েছেঃ মাদকাসক্তি সেবন করলে প্রথমটি হচ্ছে শারীরিক অসুস্থতা এবং দ্বিতীয়টি হতে পারে মানসিক অসুস্থতা। মাদক সেবনের ফলে শরীরের অসুস্থতার কারণ হতে পারে এবং শরীরে আরো অনেক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। মাদক সেবনের ফলে শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তার সঙ্গে মানসিক সমস্যা হতে পারে মাদক সেবন করলে। যেমন মানসিক দুষটিটি অবসন্নতা বা সমাজে অসুস্থতা সম্প্রদায়ের কারণে।
মাদক আসক্তির প্রভাব কি প্রভাবিত ব্যক্তি বা তার আসক্তির কারণে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন জৈবনিক সংসারে থেকে প্রভাবিত হতে পারে। মাদকাসক্তি সেবন করার মাধ্যমে যেমন শারীরিক এবং মানসীকে অসুস্থতা দেখা দেয় ঠিক তেমনি তার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যা ও দেখা দিতে পারে।
মাদকাসক্তি থেকে কেউ যদি বেরিয়ে আসতে চায় তাহলে তাকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে তার পাশাপাশি মাদকাসক্তির কারণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানে কিংবা কোন প্রতিযোগিতাই মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা লিখে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ইতিমধ্যে জানেন মাদকাসক্তির কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে।
মাদকদ্রব্যের প্রকারভেদ
মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা সম্পর্কে আপনার জানার আগে অবশ্যই জানা উচিত মাদকদ্রব্য প্রকারভেদ সম্পর্কে। আপনি এই সমস্ত তথ্য জানলে খুব সহজেই মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা করতে পারবেন। তাই মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা করার আগে এইসব তথ্য জেনে নিন। মাদকদ্রব্যের প্রকারভেদ থাকতে পারে কারণ সবাই এক ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করতে পারেনা। কিছু প্রমুখ মাদকদ্রব্য প্রকারভেদ হলোঃ
- নারকোটিক্সঃ নারকোটিক্স এটি বহুক বা স্তম্ভক প্রভাব তৈরি করতে পারে এবং ব্যক্তির বৃদ্ধি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ একটি নারকটিক্স হলো যা ব্যক্তি সেবন করলে খুব দ্রুততার মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হবে। সেবন করলে যে কারো শারীরিক এবং মানসিক ভঙ্গি সহজেই পরিবর্তন হতে পারে। নারকোটিক্স সেবন করার পর তার শরীরে যা কিছু ঘটুক না কেন সে কিছুই জানতে পারবে না পরবর্তীতে সেটা অনুভব করতে পারবে।
- ক্যান্নাবিনয়ডসঃ ক্যন্নাবিনযডস এমন একটি নেশা এই নেশা যে কেউ গ্রহণ করলে খুব সহজেই প্রভাব ফেলতে পারে তার ওপর। এই নেশাটা খুবই মারাত্মক নেশা এবং এই ক্যন্নাবিনয়ডস নেশা যদি কেউ ন সেবন করে খুব দ্রুত তার সবকিছুই মানসিক এবং শারীরিক পরিবর্তন আসবে এবং খুব তাড়াতাড়ি তার নেশা লাগবে কারণ এই নেশাটি খুবই বিষাক্ত।
মাদকাসক্তির লক্ষণ
আমরা যেহেতু মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা করতেছি এই জন্য আমাদেরকে জানা উচিত মাদকাসক্তির লক্ষণ সম্পর্কে। মাদকাসক্তির লক্ষণ গুলি ব্যক্তির মানসিক শারীরিক এবং সামাজিক অবস্থানে পরিবর্তন করতে পারে। মাদকাসক্তির লক্ষণ বিভিন্ন হতে পারে নিচে মাদকাসক্তির লক্ষণ গুলি তুলে ধরা হলোঃ
- নিজেকে অসুস্থ মনে করা
- মাদক প্রবৃদ্ধির প্রতি আগ্রহ
- আবেগ ও উদ্বেগ
- প্রজ্ঞা এবং ধারণা পরিবর্তন
- সম্মান অসুস্থতা
- মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা
- ওজনের প্রতি আগ্রহ হারানো
- শারীরিক অসুস্থতা
- উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদয়ের সমস্যা
- সামাজিক সম্পর্ক হারানো
- শিক্ষা ও কর্মস্থানে সমস্যা
- নৈতিক ও আইন সমস্যা
আরো পড়ুনঃ ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খোলার নিয়ম
মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা
মাদকাসক্তির কারণ ও তার প্রতিকার
ভূমিকাঃ পৃথিবীতে মানুষ কোন না কোন কিছুর প্রতি অনুরক্ত বা আসক্ত হয়ে পড়ে। ম আর এটা যখন কল্যাণময় বা সৃষ্টিশীল নৈপুণ্য এ প্রত্যাশিত না করে কোন নেশা জাতীয় দ্রব্যের মধ্যে সমর্পণ করে নিজেকে ধ্বংসের মধ্যে নিয়ে যায়, তখন তাকে মাদকাসক্ত বলা হয়। মাদকাসক্ত বলতে মত্ততাদায়ক দ্রব্যের প্রতি একান্ত ও অনুরক্ত হওয়াকে বোঝায়।
মাদকাসক্তির পারিবারিক কারণসমূহ
অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক কারনেও অনেক ছেলে মেয়ে বা অনেকেই মাদকাসক্তি বা নেশায় আসক্ত হয়ে যায়। পারিবারিক কারণে নেশায় আসক্ত হওয়ার আবার কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমনঃ
- যেসব পরিবারের পিতা-মাতা অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কাজ কর্মের অতিশয় ব্যস্ত থাকার জন্য সন্তান সন্তানিদের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে তথা তাদের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব গঠনের লক্ষ্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে ব্যর্থ হন, সেসব পরিবারের সন্তান সন্তানি বাবা-মার অবাধ্য হয়ে করে উড়তে পারে। এসব পরিবারের কর্তব্য ব্যক্তির অগত সালের সন্তান সন্তানের অনেক সময় অবাঞ্ছিত অভ্যাস ও আচরণ রপ্ত করে যার মধ্যে মাদকাসক্তি অন্যতম।
- পরিবারের বাবা মা বা অন্য কোন বয়স্ক ব্যক্তি যদি মাদকাসক্ত হন তাদের তার প্রভাব সন্তানদের কান্না কারো উপর গিয়ে পড়তে পারে।
- যেসব পরিবারের পিতা-মাতার মধ্যে দীর্ঘদিন ব্যক্তিত্বের সংঘাত চলতে থাকে অথবা যেসব পরিবারের স্বামী স্ত্রী পৃথক পৃথক স্থানে( মনোমালিন্যের কারণে ) বসবাস করে অথবা, যেসব পরিবারের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে, যেসব পরিবারের সন্তান সন্তানের মধ্যে হতাশা ও উদ্দেশ্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলেও মাদকাসক্তি সহ অন্যান্য অসামাজিক আচরণ রক্ত হওয়া বৈচিত্র্য নয়। বস্তুত, মাদকাসক্ত কিশোর উচ্চ যুবকদের অনেক উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত যেসব পরিবার থেকে আগত সেসব পরিবারের উপরিক্ত কোন না কোন সমস্যা রয়েছে।
উদ্বেগ-উত্তেজনাঃ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর আমাদের সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সমাজের সব ক্ষেত্রেই যেন একটা চাওয়া-পাওয়া দ্বন্দ্ব। চারদিকে নানা অনিয়ম ও শৃঙ্খলা। দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্র পত্রিকা গুলোর অধিকাংশ খবরই অত্যাচার অনিয়ম অপরাধ দুর্ঘটনা ইত্যাদি কে কেন্দ্র করে। নানান কারণে কাজের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেকেই।
কেউবা যোগ্যতা থাকতেও সঙ্গত বা অসংগত কারণে নিয়োগ পাচ্ছে না, পাচ্ছে না প্রমোশন। কিন্তু কেউবা কাজ করেও পাচ্ছে না কোন মূল্যায়ন। সামান্য ধন্যবাদ দিতেও অনেকেরই মধ্যেই দেখা যায় কৃপণতা। হাড় ভাঙ্গা খাটনি খেটেও পরিবারের নানা অভাব অভিযোগ। প্রস্তুত, সবকিছুই উদ্বেগ উত্তেজনার কারণ। এটা থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য কেউবা ক্রমে ক্রমে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
সঙ্গ দোষঃ সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’-প্রবাদটি দীর্ঘদিনের সামাজিক অভিজ্ঞতার ফসলি বলা চলে। পরিবারের বাহিরে কিশোর যুবুকরা পাড়া-মহল্লায় ও স্কুল-কলেজে শঙ্খির সাথিদের সংস্পর্শে আসে। তাদের অভ্যাস ও আচার-আচরণ দ্বারা কেশর যুবকেরা প্রভাবিত হয়। সঙ্গ দোষের কারণেও মাদকাসক্তি সৃষ্টি হতে পারে।
কৌতুহলঃ অনেকেই মনে করেন যে, সাম্প্রতিক বাংলাদেশে কিশোর, যুবক এমনকি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মাদকাসক্তি দ্রুত বিস্তারের অন্যতম প্রধান কারণ কৌতুহল। অনেকেই মাদক দ্রব্যের গুনাগুন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে শুনতে এবং কৌতুহল নিবারণের জন্য দু একবার সেবন করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কিন্তু কৌতুহল নিবারণ করতে গিয়ে ক্রমে ক্রমে তো পা অজ্ঞাতসারে মাদক দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তখন আর ফিরে আসার উপায় থাকেনা।
অনুকরণ-অনুসরণঃ মাদকাসক্তির আর কটি কারণ অনুকরণ-অনুসরণ। এই অনুকরণ-অনুসরণ নানাভাবে সংঘটিত হয়। যেমনঃ বড়দের অনুসরণ ছাড়াও আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের অনেকে বিদেশী পত্রিকা পাঠেও ছবি সিনেমা দেখে মাদকাসক্তিকে একটি অনুকরণীয় তথ্য বাহাদুরমূলক ফ্যাশন বিবেচনা করে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
প্রেমে ব্যর্থঃ প্রেমে ব্যর্থতার কারণে অথবা প্রেমিকা কর্তৃক প্রভাবিত বা প্রতারিত হয়ে অথবা প্রেমিক প্রেমিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেভার অভিযান বেশ কেউ বা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে বলেও অনেকে মনে করেন।
প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণ
প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণ বাংলাদেশের মাতৃভাষা শক্তি বৃদ্ধির জন্য কতি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণেও দায়ী করা হয়।
মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা ও প্রশাসনঃ আমাদের সমাজে ইদানিং মাদকাসক্তি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ মাদক দ্রব্যের সহজলভ্যতা। বাংলাদেশ মাদক দ্রব্যের প্রবেশ পথগুলো পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারা প্রশাসনিক দুর্বলতাকেই প্রমাণ করছে। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে এখানে মাদকদ্রব্য ক্রমে বেশি পরিমাণ আসছে। ফলে অনেকের কাছেই মাদকদ্রব্য হয়ে পড়ছে সহজলভ্য। এছাড়া যেসব এলাকায় অবৈধ উপায় সহজেই মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় সেসব এলাকায় প্রশাসন অধিকতরক কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে বলে মনে হয় না।
রাজনৈতিক অস্থিরতাঃ একটি সুষ্ঠু যৌথিক ও নিয়ম তান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যক্তির রাজনৈতিক আচরণকে প্রকৃত তথা যুক্তিসিদ্ধ ধারায় প্রবাহিত করতে পারে। কিন্তু নানা ধরনের অবঞ্চিত কারণে সেটার অভাবের ফলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যক্তির রাজনৈতিক আচরণ ও চিন্তাকে স্বাভাবিক ধারাই এই গ্রুপে দেয় না। এমন অবস্থায়ও কেউ কেউ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
অর্থনৈতিক কারণ
মাদকদ্রব্য গ্রহণের পিছনে যেসব অর্থনৈতিক কারণ দায়ী সেগুলো নিচে আলোচিত হলঃ-
বেকারত্ব ও দারিদ্র্যঃ বর্তমানে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। বেকারত্ব বয়ে আনে হতাশা। তদোপুরি বেকার জীবনে প্রচুর অবসর সময় থাকে। বেকার জীবনের অবসর সময় কাটে না দুশ্চিন্তা ও উদ্বীনতার মধ্য দিয়ে। ফলে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য কেউ বা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
যদিও বেকারত্ব দারিদ্র অন্যতম কারণ তথাপি বেকার ব্যক্তি দরিদ্র নাও হতে পারে। বস্তুত দারিদ্রতা মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। কখনো বা মাদক ব্যবসায়ীরা দরিদ্র ব্যক্তিদের কাজে লাগায়। আর ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়লে দারিদ্রদের পক্ষে মাদকাসক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
উচ্চভিলাষ চরতার্থে মাদকদ্রব্য ব্যবসাঃ সহজপাঠাই দ্রুত গতিতে রাতারাতি ধনী হবার উচ্চ বাসনা যার পোষণ করে তাদের কেউ কেউ সব দেশেই মাদক দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়তে ও কণ্ঠবোধ করছে না। এরা অন্যদের কাছে মাদকদ্রব্য সহজ লভ্য করছে এবং নিজেরা মাদকসক্ত হচ্ছে।
ভৌগলিক অবস্থাগতি কারন - মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা
অনেকেরই ধারনা বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থা েএমন যে, দেশটি ওপর দিয়ে সহজে অবৈধ ভােবে ,মাদক দ্রব আনা নেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব চোরাচালানোর জন্য বাংলাদেশকে বানানো হয়েছে করিডোর।
বাংলাদেশ করিডোরঃ বাংলাদেশে মাদকদ্রব্যের সহজলভ্য তার জন্যে দেশটির ভৌগলিক অবস্থানকেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ি করার হয়েছে। কেনোনা, যেসব এলাকায় আফিম, হেরোইনের উৎসো ও পপি উৎসপাদিত হয়ে তার মাঝখানে বাংলাদেশ অবস্থিত।
যেমনঃ বাংলাদেশ দক্ষিন-পূর্ব মায়ানমার, থাইলেন্ড ও লাওস গোল্ডোন ট্রায়াংগেল এদের বিভিন্ন সীমান্ত নাম। বাংলাদেশের উত্তরঞ্চলে ভারত-নেপাল সীসান্ত ( গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ) এবং পশ্চিম-উত্তর পাকিস্তান, আপগানিস্তান ও ইরান ( গোলেন্ড ওয়েজ ) হল পপি উৎপাদদনকারী দেশ। ফলে সব দেশের মাঝখানে অবস্থিত বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য চোরাচালানের করিডোর বানানো হয়েছে। তাই ভৌগলিক অবস্তানগত কারণে বাংলাদেশ মাদক দ্রব্যের সহজলভ্যতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
অপরিণামদর্শিতাঃ কিশোরদের অনেকই অপরিণামদর্শিতার কারণে মাদকাসক্ত পয়ে পড়ে। এরা মাদকদ্রব্য গ্রহণের কুফল সম্পর্কে তেমন অবগত নয়। এরা মনে করে ইচ্ছে করলেই সে দু-একবার স্বাদ গ্রহণ করে বাদ দিতে পারবে। কিন্তু সে তার অজান্তেেই এক সময় মাদক দ্রব্যের ওপর হয়ে পরে নির্ভশীল।
মূল্যবোধের অবক্ষয়ঃ বাংলাদেশের সমাজে ইদানিং নানা কারনে মূল্যবোধের দারুন অবক্ষয় ঘটেছে। আর্দশ ও মূল্যবোহীন জীবন, অর্থ-বিশৃঙ্খলা জীবন ও বলগাহীন জীবন অভ্যস্তর মাদকদ্রব্য গ্রহণসহ যেকোন অপরাধমূলক কাজকর্মে অংশ নিতে এতোটুকু কুন্ঠবোধ করে না।
মাদকাসাক্তি হাত থেকে রক্ষার জন্য সুপারিশসমূহ
মাদকাসক্তির জন্য যেসব সামাজিক, মনস্তত্ত্বিক, প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগলিক কারণকে দ্বায়ী করা হয়েছে সেগুলো দূর করতে পারলে মাদকাসক্তি সমস্যার সমাধান হতে পারে। যেমনঃ
- এমন সুষ্ঠ পরিবারিক পরিবেশ বজায় রাখা উচিত যাতে পরিবারের কোনো সদস্য পরিবারিক আদর্শচ্যুত হয়ে মাদকসক্তিতে জড়িয়ে পড়তে সুযোগ না পায়।
- সন্তান-সন্তাতি যেন কোনো রকমের অসৎ সঙ্গে না মিশে বা বদ অভ্যাসগুলো অনুসরন না করতে শেখে সেদিকে লক্ষ্য রাখা পরিবারের অন্যতম দায়িত্ব।
- মাদকাসক্তি রোধের বেকারত্ব দারিদ্র্যের অবসানসহ শ্রেণি বৈষম্য কমিয়ে আনা আশু প্রয়োজন।
- মাদকদ্রব্য যাতে আমাদের সমাজে সহজলভ্য হতে না পারে সে জন্য প্রশাসনকে বিশেষভাবে সতর্কতা ও কার্যকর ব্যবস্তা গ্রহণ করতে হবে।
- সমস্যাটি যাতে আরো যটিল ও ব্যাপক না হতে পারে সে ধারনের উদ্যোগের পাশাপাশি বর্তমান মাদকাসক্তদের নিরাময় ও পুন্যর্বাসনের কাজ অত্যাবশ্যক। কেননা, মাদকসক্তদের অনেকেই নানা ধরনের অববৈধ কাজকর্মে অংশ নিচ্ছে। তদুপরি, এর সংশ্লিষ্ট পরিবারের সুখশান্তি বিনিষ্ট হচ্ছে।
- মাদকাসক্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে পত্র পত্রিকা রেডিও টেলিভিশন ও সিনেমা সহ নানা প্রচারমাধ্যম তুলে ধরতে হবে। এবং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে পাঠ্যপস্তুকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
আর পড়ুনঃ শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যাবহার
উপসংহারঃ পরিশেষে বালা যায়, তরুন সমাজের মধ্যে মাদকদ্রব্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আসক্তি এদেশর জাগ্রত তরুন সমাজই এ আসক্তির বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। ফলে তরুন সমাজ দেশে স্বাভবিক সমৃদ্ধির পথকে সুন্দর সরতে এগিয়ে আসবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তাই আমাদের সবারই মাদকমুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষে এগিয়ে আসো উচিত।
আমাদের শেষ কথা - মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা
আমরা এতক্ষন জানলাম মাদকাসক্তি কি মাদকাসক্তির প্রকারভেদ মাদকাসক্তির লক্ষণ এবং মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা, এই বিষয়ে যদি আপনার করার মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি। আপনি যদি উল্লেখিত উপলব্ধ মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা করেন তাহলে যে কোন জায়গায় খুব সহজেই আপনি ভালো নাম্বার পেতে পারেন।
আপনি যদি ভাল নাম্বার পেতে চান তাহলে উপরোক্ত মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা থেকে শুরু করে মাদকাসক্তি কি মাদকাসক্তির প্রকারভেদ মাদকাসক্তির লক্ষণ সমস্ত কিছু ভালোভাবে পড়ে নিবেন। প্রয়োজন হলে আপনি উপরোক্ত মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা মুখস্থ করবেন এরপর যেকোনো জায়গায় আপনি যদি লিখেন কোন পরীক্ষায় কিংবা কোন প্রতিযোগিতায় তাহলে আপনি ভালো নাম্বার বা মার্ক পেতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন প্রতিদিন। আমাদের ইভিভিটিভি ওয়েবসাইটে প্রতিদিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক এবং ইনকাম বিষয় এবং স্বাস্থ্য বিষয় আরো অন্যান্য বিষয় অনেক তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি।
আর পড়ুনঃ টিয়া পাখির উপকারিতা
আপনি যদি এই বিষয়ক কোন আপনি যদি যেকোনো বিষয়ে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ইভিভিটিভি ওয়েবসাইটটি ফলো করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করার জন্য সবার নিচে ইমেইল প্রদান করার একটি ফাঁকা বক্স রয়েছে আপনাকে সে ফাঁকা বক্সে আপনার কাঙ্খিত ইমেইল দিতে হবে এরপর ইমেল সাবমিট করে আমাদের ওয়েব সাইট থেকে ফলো করতে হবে গুগল নিউজ এ তাহলে আমরা প্রতিদিন যে তথ্য আপডেট করব আপনি সঙ্গে সঙ্গে সেই সকল তথ্য জানতে পারবেন। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সত্যিই খুবই সুন্দর নিবন্ধন