ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনাতোমার বিদ্যালয় স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপিত হচ্ছে তার নির্বাহ বিবরণ দিয়ে প্রবাসীর বন্ধন নিকট একখানা পত্র লিখ এরকম প্রশ্ন প্রায়ই অনেক পরীক্ষায় দেখা গেছে। তাই এ ধরনের প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে দেখাবো তোমার বিদ্যালয়ের স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপিত হয়েছে তার নীতি দীর্ঘ বিবরণ দিয়ে প্রবাসী বন্ধুর নিকট একখানা পত্র লেখ এই বিষয়টার উত্তর।

তোমার বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপিত হয়েছে তার নীতি দীর্ঘ বিবরণ দিয়ে প্রবাসী বন্ধুর নিকট একখানা পত্র লেখ এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই সব ক্লাসেই দেখা যাচ্ছে। আর অনেক শিক্ষার্থীর সব ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এই পত্রটি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লিখিয়ে দেখিয়েছি। তাই আপনি ক্লাসে কিংবা কোনো পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে চাইলে নিম্নলিখিত পত্রটি অনুসরণ করুন।

নওগাঁ রাজশাহী

২৫/১০/২০২৪

প্রিয় সোহান

জানিনা প্রবাস জীবন তোমার কেমন কাটছে। তবে ভালো কাটছে একথা মনে করেই লিখছি। গত মাসের ২১ তারিখে তোমার চিঠিটা পেয়েছিলাম। অনেক বলা না বলার মাঝেও তুমি জানতে চেয়েছিলে সামনের স্বাধীনতার দিবসে আমার কর্মসূচি কি? সত্যিই আমার গর্ব হচ্ছে তোমার মত একজন স্বদেশপ্রেমী বন্ধু পেয়ে। তিন বছর হয়েছে তুমি কানাড়া চলে গেছো; তারপরেও দেশাত্মবোধ তোমার মধ্যে একজন স্বদেশীর মতোই জেগে আছে।

ধন্যবাদ জানিয়ে তোমাকে ছোট করছি না। যাই হোক পূর্বপরিকল্পনা মাফিক আমার এবার ২৬ শে মার্চ ( স্বাধীনতা দিবস ) পালন করেছি। আগের দিন বিকাল থেকেই আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ হাত দেই। এরপর শহীদ মিনারের চার দিকটা রং করে পরিবেশটাকে আলোকিত করে তুলি। এরপর স্কুল প্রাঙ্গণে বিভিন্ন মুখে ডেকোরেশন ছেড়ে আমরা বাড়ি ফিরি তখন রাত 9 টা। স্কুলের বড়রা যেহেতু দায়িত্বপূর্ণ কাজের অধিকারী হয় সে সূত্রে আমাদের মাঝে কিছু দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলেন শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক।

২৬ শে মার্চ ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে পরিচ্ছন্ন বেশে রুচিসম্মত পোশাক পড়ে খালি পায়ে বেরিয়ে পড়লাম সকালের উদ্দেশ্যে। হাতে ছিল পোষমালা ও রংবেরঙের কিছু পোস্টার। এভাবে কয়েকবন্ধসহ উপস্থিত হলাম স্কুলে। ভেবেছিলাম আমরা সবার আগে পৌঁছাব। কিন্তু তার আগেই স্কুল প্রাঙ্গনে জড়ো হয়েছে কয়েক ছাত্র-ছাত্রী যাদের হাতে শোভা পাচ্ছিল নানান রঙিন পুষ্পগুচ্ছ।

এরপর প্রধান শিক্ষকের পরিচালনায় পতাকা উত্তোলন শেষে ভাবগম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ এগিয়ে গেলেন শহীদ মিনানের দিকে। লাখো শহীদের বিদ্রোহী আত্মার শান্তি কামনা করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলাম। এরপর সকলে মিলে গেলাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে। শ্রদ্ধা জানিয়ে পুনরায় ফিরে এলাম বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। এবার অনুষ্ঠিত হবে সভা।

সকলে মিলে মঞ্চের অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মাইকে ঘোষণা করলাম প্রথমে জাতীয় সংগীত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এরপর গীত ও বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে সবার কাজ আরাম হলো। এরপর স্বাধীনতা দিবস বিষয়ে কিছু আলোচনা হল। এরপর স্বাধীনতা দিবস বিষয়ে কিছু আলোচনা হল। আমাদের সদস্য প্রধান শিক্ষক সকলকে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সভা পর্ব সমাপ্তি ঘোষণা করেলেন।

বৈকালিক পর্বে ছিল প্রীতি ক্রিকেট ব্যাচ। সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল বিচিত্রা অনুষ্ঠান; এখানে আমাদের একজন বন্ধুসহ সংগীত পরিবেশন করলেন স্থানীয় শিল্পী বৃন্দ। এরপর ৭ঃ৩০ মিনিটে আমাদের সাথে একাত্ম হইলেন, রাজশাহীর বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ভিরুনিকা লতা হাসদা। সত্যিই তার ’একদিন বাঙালি ছিলাম’ গানটি সবাইকে নতুন করে উজ্জীবিত করে তোলে। এভাবেই কাটিয়ে ফেলেছিলাম পুরা সময়টা। সবশেষে সবাইকে আগামী অনুষ্ঠানে সম্মিলিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেদিনের মত বিদায় নিলাম।

তুমি চিঠি লিখো। ভালো থেকো এই প্রত্যাশায়।

ইতি

তোমার বন্ধু

ইমন

তোমার বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস কিভাবে উদযাপিত হয়েছে তার নেগেটিভ বিবরণ দিয়ে প্রবাসী বন্ধুর নিকট একখানা পত্র লেখ। এই বিষয়ে একটি সুন্দর পরিপাটি এবং সর্বোচ্চ নাম্বার যেন পাওয়া যায় সেই ভাবে তৈরি করা হয়েছে উপরোক্ত পত্রটি। আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট। আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অথবা যে কোন বিষয়ে আপনি পেতে চাইলে কমেন্টে জানিয়ে দিন অথবা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পত্রটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের অথবা আপনার ক্লাসের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে এই পত্রটি পেয়ে। নিচে উপকৃত হোন উনাদেরকে উপকৃত করুন ধন্যবাদ।