শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ SSC JSC JOB HSC

নমস্কার/ আসসালামু আলাইকুম আপনি কি শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ খুঁজছেন? আপনি যদি শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ খুঁজে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। অনুচ্ছেদ লিখে সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে হবে। আমরা এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে শিষ্টাচার অনুচ্ছেদটি সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছি। যা আপনার সর্বোচ্চ নাম্বার নিশ্চিত করে।
শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ
নিম্নলিখিত শিষ্টাচার অনুচ্ছেদটি সকল শ্রেণীর জন্য এবং চাকরির জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। নিম্নলিখিত শিষ্টাচার অনুচ্ছেদকে যেহেতু আপনাদের সুবিধার্থে সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করা হয়েছে তাই এটি আপনার জন্য খুবই ভালো এবং সর্বোচ্চ নাম্বার নিশ্চিত করতে পারে।

সূচিপত্রঃ শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ

ইভিভিটিভি

শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ SSC JSC HSC

মানুষের মহৎ গুণাবলীর মধ্যে শিষ্টাচার অন্যতম। কথা বার্তায় কাজে-কর্মে চলেন বলেন, প্রীতি-নীতিতে সর্বোপরি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুন্দর আচরণের নামে শিষ্টাচার। অভিধানিক অর্থে রুচি পূর্ণ ভদ্র ব্যবহারে সৃষ্টিচার।

শিষ্টাচার শব্দটি ভাঙলে পাওয়া যায় শেষটা + আচার। যার অর্থ বিনীত সংযত শোভন আচার ব্যবহার। তাই বলা চাই শিষ্টাচার হল মানুষের মনের সৌন্দর্যের প্রকাশ। সত্যিকারের মানুষের পরিচয় পাওয়া যায় তার সুন্দর সংযত ও বিনিময়ী ব্যবহারে। তাই বলা যায় যে দেহের সৌন্দর্যের অলংকার আর তার সৌন্দর্য হলো শিষ্টাচার। প্রাচীনকালে মানুষ বনে বাস করত।

কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ সভ্যতা করে তুলেছে, সমাজ সৃষ্টি করেছে। সমাজে সুশৃংখলভাবে বসবাস করার জন্য সংযত ও বিনিময়ে আচরণ আবশ্যকীয়। আমরা কেউ সমাজ বহির্ভূত নয়, তাই আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে আদব কায়দা শিষ্টাচার ও সৌন্দর্য বোধের চর্চা করতে হবে। সব ধর্মগ্রন্থে শিষ্টাচার মূলক আচার-আচরণ করার নির্দেশ রয়েছে।

সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি যদি সংযত, বিনিময়ী ও সুন্দর আচার ব্যবহার করে তাহলে সে সমাজে কখনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না এবং অপরাধ সংঘটিত হবে না। তাই সভ্য সমাজের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির আদত কায়দা সুন্দরভাবে মেনে চলা উচিত। ছাত্র জীবনে মানুষ আদব কায়দার ক্যান লাভ করে। তাই ছাত্র জীবনে শিষ্টাচার অর্জনের উপযুক্ত সময়।

শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ JOB

ভূমিকাঃ আদি যুগের মানুষ ছিল অসামাজিক। তাকে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়েছে। এরপর মানুষ সমাজবদ্ধ হয়েছে, পরিণত হয়েছে সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ জীবন যাপনে মানুষকে কতগুলো চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করতে হয়।

সকলের সঙ্গে প্রীতির বন্ধন, সৌজন্য ও সামাজিকতায় মানুষকে সামাজিক জীব হিসেবে মর্যাদা দেয়। মানুষের আন্তরিক সৌজন্যবোধের বাহিক্য প্রকাশের নাম শিষ্টাচার। সামাজিক জীবনে শিষ্টাচার প্রয়োজনীয়তা গভীর ও ব্যাপক। এটি ব্যক্তিজীবনের সৌন্দর্য, জীবনের অলংকার স্বরূপ।

শিষ্টাচারঃ মার্জিত, রুচিশীল ভদ্র ব্যবহারই শিষ্টাচার অভিধায় চিহ্নিত। আত্মীয় অনাত্মীয় পরিচিত অপরিচিত সকলের সাথে প্রীতিপূর্ণ রুচিশীল ব্যবহারে শিষ্টাচার শিষ্টাচার মানুষকে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। এটি কোন স্বাভাবিক সৌজন্য নয়। সৌজন্য বলতে শুধু ব্যবহারের মার্জিত ব্যবহারকে বোঝায়। কিন্তু শিষ্টাচার হল সাধারণ সৌজন্যবোধের মহৎ হৃদয়ের উষ্ণ অনুভূতির প্রকাশ।

মানব জীবনের শিষ্টাচার প্রয়োজনীয়তাঃ ছাত্র জীবন হলো মহৎ জীবন গঠন করার উপযুক্ত সময়। সমগ্র জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ভর করে এর উপর। ভবিষ্যৎ জীবনের গতি প্রকৃতির নির্দেশনা তরী হয় ছাত্র জীবনে। শিষ্টাচার অর্জনের সবচেয়ে যথার্থ সময় ছাত্র জীবন। শিষ্টাচারের ছোঁয়ায় একজন ছাত্র হয়ে ওঠে ভদ্র ও বিনয়ী। লাভ করে এক নতুন প্রাণ সম্পাদন। ছাত্রজীবনের শ্রদ্ধা করতে না শিখলে পরবর্তী জীবনে এই গুণ অর্জন করা সম্ভব নয়।

কোন ছাত্রের আচরণ যদি তার শিক্ষককে বিরক্ত করে, সহপাঠীদের করে বেদনা হতো, পরবর্তী জীবনেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটে। সমাজের জন্য হয়ে ওঠে ক্ষতিকর কারণ। ছাত্র জীবনেই মনুষ্যত্ব অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময়। শিষ্টাচার সেই মানুষত্ব অর্জনের সিঁড়ি।

এর মধ্যে রয়েছে নিজেকে সুন্দর ও সার্থকতায় পূর্ণ করে তোলার শক্তি। শিষ্টাচার একজন ছাত্রকে দেয় সমৃদ্ধ জীবনের সন্ধান। বিনিময়ী ও ভদ্র ছাত্র শিক্ষকের স্নেহ ও আশীর্বাদে ধন্য হয়। এর অভাবে একজন ছাত্র হয়ে ওঠে স্বার্থপর নিষ্ঠুর ও অভদ্র। অনুচ্ছেদ ধ্বংস করে হৃদয়ের প্রেম, মমতা, দয়া ও সহানুভূতির গুণ। এসব গুণের অভাব তাকে পরিচালিত করে অন্যায় ও অসত্যের পথে।

শিষ্টাচার হীনতার বর্তমান চিত্রঃ বিদেশী সংস্কৃতির প্রভাবে সমাজে শিষ্টাচার হীনতার চিত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সীমাহীন উদ্ভূত আচরণ, বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন রীতি ও সুস্থ মানসিকতা কমেছে। আর পেশা শক্তির দম্ভ সমাজ জীবনকে গড়ে তুলেছে বিষাক্ত।

শিষ্টাচার যেন বর্তমানে দুর্বলের অসহায়তার প্রকাশ। শিষ্টাচারের সৌন্দর্য হারিয়ে মানুষ হিরোহীন হয়ে উঠে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মানুষ নিজেদের মুক্ত করতে না পারলে আদর ভবিষ্যতে ছাত্র জীবনে নেমে আসবে ভয়ংকর পরিণতি।


সৃষ্টাচার অনুশীলনঃ ছাত্র জীবনকে নতুন সম্পাদনের অনুপ্রাণিত ও জাতিকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রয়োজন শিষ্টাচারের অনুশীলন। প্রতিটি মানুষকে অর্জন করতে হবে এই দুর্লভ চরিত্রে ঐশ্বর্য। স্কুল কলেজ গৃহ পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই গুণের বিকাশ ঘটাতে হবে।

এ ধারাবাহিক অনুশীলনের মাধ্যমে সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে সামগ্রিক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ও সামাজিক পরিবেশের মাধ্যমে যাতে শিষ্টাচার অনুসারী করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তবে অমার্জিত শিষ্টাচার বর্জিত নৈতিকতা বিরোধ বাস বিবেকতার কবর থেকে মুক্ত করতে হবে আমাদের সমাজকে।

উপসংহারঃ উপরোক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায়, প্রত্যেক মানুষের শিষ্টাচার অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের সমাজভুক্ত হতে পারে বর্তমান অসুন্দর-অশুভ পরিস্থিতির হাত থেকে। এর মাধ্যমে যাতে খুঁজে পেতে পারে মুক্তির পথ, বিশৃংখ জীবনে আসতে আসতে পারে নতুন ছন্দ। শুভ ও কল্যাণকর সমাজ গড়ে তুলতে হলে শিষ্টাচার অনুশীলন একান্ত প্রয়োজন।

লেখক এর মন্তব্য

আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি। উপরোক্ত শিষ্টাচার অনুচ্ছেদটি সকল শ্রেণীর জন্য এবং চাকরি পরীক্ষার জন্য। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা প্রতিদিন আপডেট করে থাকি আপনি যদি এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করবেন ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Anonymous
    Anonymous March 17, 2024 at 5:32 PM

    ধন্যবাদ, অনেক ভাল তথ্য

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url