অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট - HSC SSC JSC class 7

অধ্যাবস্যায় মানে হল কষ্ট করা। কোন সফলতা পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে অধ্যাবসায় করতে হবে অধ্যাবস্যায়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক। আমরা বিস্তারিত এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে জানবো অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে। কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার আগে কিংবা কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে আমাদের জানতে হবে অধ্যাবসায় রচনার ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে। আমি এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট তুলে ধরেছি।
অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট
আপনারা যদি কোন পরীক্ষায় কিংবা কোন প্রতিযোগিতাই অধ্যাবসায় রচনা লিখে প্রথম স্থান বা অধিক নাম্বার পেতে চান তাহলে এই নিবন্ধনে দেওয়া অধ্যাবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

ইভিভিটিভি

ভূমিকা - অধ্যাবস্যায় রচনা ২০ পয়েন্ট

আমরা এই নিবন্ধন টির মাধ্যমে অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট মাধ্যমে যেগুলি জানবো সেগুলি হল ভূমিকা, অধ্যাবসায়ের প্রয়োজনীয়তা, ছাত্র জীবনে অধ্যাবসায়, ব্যক্তি জীবনে অধ্যাবসায়ের গুরুত্ব, জাতীয় জীবনে অধ্যাবসায়, অধ্যাবসায় ও প্রতিভা, উপসংহার। এবং তার সঙ্গে জানব অধ্যাবসায়ের আরো কিছু বক্তব্য বা কথা। তাই আপনি যদি অধ্যাবসায় সম্পর্কে অনেক বেশি জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়বেন।

ভূমিকা

”পারিব না এ কথাটি বলিও না আর,
একবার না পারিলে দেখো শতবার”
আমাদের কর্মজীবনে অনেক মহৎ কাজ আছে, যা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। যদি কেউ সে বাধা কে ভয় পেয়ে কর্ম বিমুখ হয়ে বসে থাকে. তবে জীবন যুদ্ধে তার পরাজয় নিশ্চিত।

পক্ষান্তরে, অবিচলিত উৎসাহ, একনিষ্ঠ নিয়ে যে জীবনের বিপদ সংকুল পথ পাড়ি দেয়, সেই পায় যথার্থ ও সম্মান। আর এই অক্লান্ত পরিশ্রম একনিষ্ঠ ও নিরবিচ্ছিন্ন ধৈর্যের নামে অধ্যাবসায়। অধ্যাবসায় ব্যতীত পৃথিবীতে মহৎ কার জয় সম্পন্ন হয় না। আর তা ধৈর্য ও সুদৃহ মনোবল থেকেই আসে। জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার মূল শোপানি এই অধ্যাবসায়।

অধ্যাবসায়ের প্রয়োজনীয়তা - অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

মানব জীবনের বহু বাধা-বিপত্তি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। লোকলজ্জা. সংকোচ. দ্বিধা. অক্ষমতা আলস্য এ ধরনের অনেক কিছুই জীবনের সফলতার পথে বাধা। সবকিছুই লক্ষ্য অর্জনের অন্তরায়। অথচ জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, কাজে আনতে হবে সাফল্য, অর্জন করতে হবে ‍ঈপ্সিত লক্ষ আর সেখানে অধ্যাবসায় প্রকৃত গুরুত্ব।

অধ্যবস এর সাহায্যে মানুষ অধ্যবসায়ীকে সাধন করতে পারে। জগতের কোন কিছুই সাধন ব্যতিরেক অর্জন সম্ভব নয়। জীবনে চলার পথে যে জিনিস যত মূল্যবান, যত দুষ্প্রাপ্য, যত রহস্যময়, , তাকে লাভ করার জন্য প্রয়োজন তত বেশি পরিশ্রম, তত ধৈর্য এবং সাধনা। মনে রাখতে হবে,

”মেঘ দেখে কেউ করিস না ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাস “

কাজে ব্যর্থ হলে সেই কাজ ছেড়ে দিলে জীবন তা আর সম্পূর্ণ করার অবকাশ থাকে না। বরং বিফলতার তিক্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে দ্বিগুণ উৎসাহে অধ্যাপস্যার সঙ্গে কাজে উদ্যমি হলেই প্রকৃত সাফল্য অর্জন সম্ভব।

ছাত্র জীবনে অধ্যাবসায় - অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

ছাত্র জীবন ভবিষ্যৎ জীবন রচনার অনুশীলন ক্ষেত্রে। কারণ, ছাত্র জীবনে না করলে ভবিষ্যৎ জীবনে কর্ম বিমুখতা সফলতা ইত্যাদি জীবনকে যন্ত্রণাদায়ক করে তোলে। আর আলস্য পরায়ণ ও শ্রম বিমুখ ছাত্র কখনো বিদ্যা লাভ করতে পারে না।

অধ্যাবসায়ী ছাত্র অল্প মেধাবী শক্তি সম্পন্ন হলে সফলতা অর্জন তার পক্ষে সম্ভব হয়। অনেক ছাত্রই বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক গর্ধব নামে আখ্যায়িত হয়ে পরিবেশ এ গ্লানি ও লাঞ্ছনাকে দূর করার জন্য অধ্যাবসায়ের বলে বলিয়ান হয়ে আপ্রাণ চেষ্টায় শিক্ষক, মাতা পিতা কর্তৃক ও জনসমসের শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছে।
” কাঁটাহেরি ক্লান্ত কেন কমলা তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে”?

ব্যাক্তি জীবনে অধ্যাবস্যের গুরুত্ব

ব্যক্তি জীবনে অধ্যাবস্যার গুরুত্ব অপরিসীম। অধ্যাবসায়ের ব্যক্তি জীবনকে উন্নত করে। জীবনে যদি অধ্যাবসের যথার্থ প্রয়োগ করা যায়, তাহলে শক্তির স্বল্পতা সফল্যের পথে কোন বাধা হতে পারে না। অধ্যাবস্যার বিশিষ্ট কাজের আগ্রহ, বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, সুদীর্ঘ সংকল্প-এসব মিলে জীবনের কোন অভাবকে বড় হয়ে উঠতে দেয় না।

জীবনে কোন কিছু অনায়াসে হয় না। কেউ কারো জন্য সুখের স্বর্গ রচনা করে রাখে না। মানুষকে ব্যক্তিগত সুখ নিজেকে অর্জন করে নিতে হয়। নিজের বলিষ্ঠ সাধনায় সাফল্যের চাবিকাঠি। অধ্যাপস্যয়ের মাধ্যমে সব বাধা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ব্যক্তি জীবনকে অধ্যাপক সেই হওয়া বাঞ্ছনীয়।

জাতীয় জীবনে অধ্যাবসায়

অধ্যাবসায়ীকে জীবনের মূল মন্ত্র হিসেবে পালন করতে পারলেই জাতীয় জীবন মর্যাদাপূর্ণ হয়ে ওঠে। কোন জাতির গৌরব প্রতিষ্ঠার জন্য তাই সামগ্রিকভাবে সকল নাগরিককেই অধ্যাবসায় হতে হবে। আজ পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যে জাতি যত বেশি অধ্যায় বসেই সে জাতি তত বেশি উন্নতি শিখরে। তাই অত্যাবশায়ের অনুশীলন করতে হবে ব্যক্তি জীবনে।

কারণ ব্যক্তি জীবনের অধ্যাবসায়ের সাফল্য জাতীয় জীবনের বৃহত্তম কল্যাণ আসে। আর জাতির অনগ্রসরতার জাতীয় জীবন অধ্যাবস্যার না থাকার কুফল। বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবৃত্ত সাফল্য দেশবাসীর নির্বিচ্ছিন্ন অধ্যাবসায়েরী ফল।

অধ্যাবসায় ও প্রতিভা

সমস্ত সাফল্যের মূল মেধা বা প্রতিভা থাকে তখনই ঠিক তখনই ঠিক থেকে অধ্যাবসায়। প্রতিভা হচ্ছে ধারালো অস্ত্রের মতো, ধৈর্য ও অধ্যাবসায়ের সাহায্যে তাতে শান দিতে হয়। তবে সেই অস্ত্রের সদ্ব্যবহার ব্যবহার করা সম্ভব হয়। অধ্যাবসায় ও পরিশ্রম ব্যতীত শুধু প্রতি ভাই কোন কাজ হয় না। তাইতো প্রতিভাকে কাজে লাগাতে গেলে অধ্যাবসায়ী হওয়া প্রয়োজন।

মেধা, সুযোগ কোন কিছুই চূড়ান্ত সার্থকতা এনে দিতে পারেনা, যদি না ব্যবহারিক প্রয়োগ অধ্যাবসায়ীকে মুখ্য করে তুলতে হয়। ভলতেয়ার বলছেন “প্রতিভা বলতে কোন কিছু নেই। পরিশ্রম ও সাধনা করে যাও, তাহলে প্রতিভাকে আগ্রহ করতে পারবে।” ডাল টন বলেছেন, “ লোকে আমাকে প্রতিভাবান বলে, কিন্তু আমি পরিশ্রম ছাড়া আর কিছুই জানিনা।” মূলত, অধ্যাবসায়ের দ্বারা অনেকেই প্রতিভাবান রূপে সুনাম কুড়াই।

উপসংহার - অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

আমাদের প কার্যবলিতা অধ্যাবসায়ের এসব দৃষ্টান্ত ও বৈশিষ্ট্য স্মরণ করে চলতে পারলে জীবনের অনেক সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করা যায়। পরিশ্রমী ও অধ্যাবসায় ব্যক্তির জন্যই সাফল্যের মুকুট অবধারিত। মনে রাখতে হবে, “ব্যর্থতার মাঝে নিহত আছে সাফল্যের বীজ।

” েসঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে জীবনকে কর্মমুখর গড়ে তুলতে হবে; তবে মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে মর্যাদা অর্জন করতে পারবে- সেই সঙ্গে জাতিকে করে তুলবে যথার্থ গৌরববান্ধিত। আর অধ্যাবসায়ের সাফলতা ঠিক এখানেই।

অধ্যাবসায় - অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

সাধারণের অপর নাম অধ্যাবসায়। কোন কাজে সফলতা অর্জন করতে হলে ধৈর্য ও সরল সুতার মাধ্যমে নির্বিচ্ছিন্ন চেষ্টা করাই অধ্যাবসায়। চেষ্টা, উদ্যোগ, আন্তরিকতা, পরিশ্রম, ধৈর্য ইত্যাদি বরুনের সমন্বয়ে অধ্যাবসায়। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে অধ্যাপনশায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

জগতে যারা চির স্মরণীয় হয়ে আছেন, তাদেরই অধ্যাবসায় ছিলেন। রাজার রবার্ট ব্রুস ৬ বার যুদ্ধে পরাজিত হয়েও নিরাশ হন, সপ্তমবারের চেষ্টায় কাঙ্খিত জয় অর্জন করে। নেপোলিয়ন আলেকজান্ডার এসব বীর সেনাপতির যুদ্ধ যার পেছনে আছে অধ্যাবসায়ের সুদীর্ঘ ইতিহাস।

বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে, গ্যালিলিও, লো-প্রাস্তুর, নিউটন, মাদাম কুরি, আইনস্টাইন এদের প্রত্যেকে অধ্যাবসায়ের অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জীবন সফলতা অর্জন করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, জন কিট্স, শেখ সোফিয়ার প্রভাব সাহিত্যকদের সফলতার পেছনে আছে অধ্যাবসায়।

তাইতো নেপোলিয়ন বোন পার্ট বলছেন, ইম্পসিবল ইস এ ওয়ার্ড, হুইচ ইজ অনলি ফাউন্ড ইন দা ডিরেকশনারি অফ ফলস.” রাতের আঁধার পেরিয়ে যেমন উজ্জ্বল সূর্য উদিত হয়, তেমনি অবিরাম চেষ্টার ফলেই মানুষের কাছে অতিরিক্ত হয়ে সফলতার ধ্রুবতারা।

প্রবাদে রয়েছে “ব্যর্থতাই সাফল্যের সিঁড়ি। “ফেলিওর ইজ দ্যা পিলার অফ সাকসেস।” তাই ব্যর্থতার অবদমই তা না হয়ে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গেলে একসময় জীবনে সাফল্য আসবেই। জগতে বড় বড় শিল্পী, সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, সেনানায়ক, রাজনীতিক, ধর্ম প্রচারকদের মধ্যেই ছিলেন অধ্যাবসায়। অধ্যাবস্যাই না হলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না।

এই প্রসঙ্গে ছাত্রদের কথা আসে। ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ, তাদের উপরে নির্ভর করে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা। জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য ছাত্র জীবনে অধ্যাবসায়ী হতে হবে। অলস, কর্ম বিমুখ ও হতাশার ছাত্র-ছাত্রীর কখনো বিদ্যার জন কিংবা পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফল লাভ করতে পারি না। অধ্যাবসায়ী ছাত্র সর্ব মেধাবী শক্তি সম্পন্ন হলে সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হয়।

অধ্যাবসায় - ষষ্ঠ শ্রেণি

ভূমিকা

জীবন আপনা আপনি বিকাশিত হয় না। তাকে বিকাশের পথে পরিচালিত করতে হয়। সেখানে অধ্যাবসায়ের ৎ মত মহৎ বৈশিষ্ট্য আরোপিত হলে জীবন সুন্দর ও সার্থক হয়ে ওঠে। অনেক গুণের সমাবেশে মানুষের চেয়ে সুন্দর চরিত্র গড়ে ওঠে তার পিছনে ভূমিকা পালন করে অধ্যাবসায়। অবিরাম সাধনা, ক্রমাগত প্রচেষ্টা আর সহ্য হোক প্রত্যয় এর নামে অধ্যাবসায়। অথবা বলা যায় সাফল্য অর্জনের জন্য ক্রমাগত সাধনে অধ্যাবসায়।

অধ্যাবসায়ের প্রয়োজনীয়তা

অধ্যাবসায় মানব চরিত্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অধ্যাবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। জীবনের সকল কর্মের সফলতা লাভের জন্য অধ্যাবসায় আবশ্যক। জীবনে অতি সহজ কোনো কিছু লাভ করা যায় না। আকাঙ্ক্ষা আর স্বার্থের সঙ্গতি অনেকেই সময় জীবন দেখা যায় না। বরং অনেক প্রতিবন্ধকতা জীবন বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এজন্য কবি বলেছেন- একবার না পারিলে দেখো শতবার। পেতেই হবে স্বরূপ মনোবল আমাদের থাকা উচিত। দ্বিধা, সংকোচ লোকলজ্জা, অক্ষমতা অলসতা ইত্যাদি জীবনে সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও রয়েছে বইয়ের চাপ, ভেতরের অনীহা ইত্যাদি।

অথচ জীবনকে অতিষ্ঠ করতে হবে কাজে সাফল্য আনতে হবে কর্মে তবে জীবনের ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জিত হবে। অধ্যাবসায় এসব বাধা ভিন্ন দূর করে, সমস্ত প্রতিবন্ধী কথাকে অতিক্রম করে প্রেরণা যোগায়। পড়তে বসায়ের মাধ্যমে মানুষ শক্তির সাধন পায়, সাফল্যের পথে দেখে আর নিজেকে যোগ্যতার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

ছাত্র জীবনে অধ্যাবসায়

ছাত্র জীবনে অধ্যাবসায়ের প্রয়োজন সর্বাধিক। ছাত্ররাই ভবিষ্যতের কর্ণধার। তাদের উপরেই নির্ভর করে জাতির গৌরব অধ্যাবসায় ছাত্র অল্প মেধা শক্তি সম্পূর্ণ হলেও সাফল্য লাভ করতে পারে। কাজেই অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীকে হতাশ না হয়ে পূর্ণবার দ্বিগুণ উৎসাহে অধ্যায়নে মনোনিবেশ করা উচিত। কেননা অধ্যাবসাই পারে ব্যর্থতার গ্লানি মুছে দিয়ে সাফল্যের পথ দেখাতে।

ব্যক্তি জীবনে অধ্যাবসায়

অধ্যাবসায় জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে সেখানে সফলতা নিশ্চিত। মানুষ সারা জীবন চলে সাধনার পথে। মানুষ পৃথিবীতে যখন আসে তখন সে অত্যন্ত দুর্বল থাকে। কিন্তু সাধনার মাধ্যমে সেই যোগ্য হয়ে ওঠে। জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন ব্যক্তিগত সাধনা। সংসারের সুখ অর্জন করতে হয়। অলস মানসিকতা এবং দুর্বল হতে তা অর্জন করা সম্ভব নয়।

তাই মানুষকে অধ্যাবসায় হতে হবে। অধ্যাবস্যার মাধ্যমে মানুষ স্বনির্ভর হয়ে বলিষ্ঠ সাধনার মাধ্যমে মানুষ সুখের সম্রাজ্য গড়ে তুলতে পারে। জীবনকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তোলা যায় এই মহৎ গুণের সাহায্যে। বড় হওয়ার সাধনায় অধ্যাবসায় একান্ত প্রয়োজনীয়। দৈনসর্য অবদানের ও ব্যক্তিগতভাবে মহিমান্বিত হতে হলে অধ্যাবসায়হতে হবে। অধ্যাবসাইকে জীবনের মূল মন্ত্র করতে হবে। তবে জীবন সাফল্য উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে।

জাতীয় জীবনে অধ্যাবসায়

অধ্যাবসায়ের মহৎ গুনে জাতীয় জীবন মর্যাদাবান হয়ে ওঠে। প্রতিটি মানুষ অধ্যাবসায় হবে জাতীয় জীবনে উন্নয়ন সম্ভব। যে জাতি যত বেশি অধ্যাবসায় সে জাতি তত বেশি গৌরবের অধিকারী। জাতির সাধনার মাধ্যমে সফল হয়ে গৌরব লাভ করেছেন।

বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরব দীপ্ত সাফল্য অধ্যাবসায়ের ফল। খুব সাধারণ অবস্থা হতে যারা জীবনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছেন এমন মহৎ মানুষের জীবন পর্যালোচনা করে দেখা যায় অধ্যাবসায় তাদের সাফল্যের মূল মন্ত্র। তাই জাতীয় জীবনে সাফল্য ও গৌরব আনয়নের জন্য সকল মানুষকে অত্যাবশাই হতে হবে।

উপসংহার

অধ্যাবসায় গুণে একেবারে সর্বনিম্ন থেকে সর্বস্তরে পৌঁছে যাওয়ার ইতিহাস কম নয়। মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী অধ্যায়নে আমরা জানতে পারি, তাদের অনেকেই একেবারে ক্ষুদ্র স্থর থেকে কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন। তাই একমাত্র অধ্যাবসায় পারে সমস্ত সম্ভাবনার তার উন্মোচন করতেন। তাই আত্মপ্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় জীবনের সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সবারই অধ্যাবসায় হতে হবে।

আমাদের শেষ কথা - অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট

আপনি যদি অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট উপরাক্ত ভালো হয়ে পড়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই আপনি যেকোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে খুব ভালো নাম্বার পেতে পারবেন।আমরা এতক্ষণ এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে দেখলাম অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট।


এবং দুইটি রচনা দেখলাম। আপনি যদি উপরোক্ত রচনাগুলি লিখে কোন পরীক্ষায় জমা দেন কিংবা উপরোক্ত রচনা গুলি যদি আপনি মুখস্ত করে ভালোভাবে পড়ে কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তাহলে আপনি অনেক নাম্বার পেতে পারেন।

এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্টের রিভিউ করি। আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url