জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

জন্ম ও শৈশবঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের জন্ম উৎসব সম্পর্কে আমাদের আগেই জেনে নেওয়া উচিত। গোপালগঞ্জ জেলায় মধুমতি নদীর তীরবর্তী টঙ্গীপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের শিক্ষালত পর রহমান ও সাহেরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে 1920 সালের 17 মার্চ(বাংলা ২০ চৈত্র ১৩৫৯) শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে গ্রামের অন্য দশটি সাধারণ ছেলের মত হেসে খেলে দুরস্তপণায়।

শিক্ষা জীবনঃ শেখ মুজিব প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন ডিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেভ অতঃপর গোপালগঞ্জ মিশন হাইস্কুল থেকে ১৯৪২ ইসলামিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি এবং 1947 সালের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে বিএ পাস করেন। সে বছর এই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন।

কিন্তু ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। উল্লেখ্য ৬১ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেখ মুজিবুর রহমান বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেই ১৪ই আগস্ট ২০১০ সালে।

বৈপ্লবিক রাজনৈতিক জীবনঃ ছাত্র জীবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন রাজনীতি সচেতন মানুষ। রাজনীতি যেন তার রক্তে মিশে আছে। তিনি উপলব্ধি করেছেন যে, রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে বৃহৎ কল্যাণ সম্ভব। তাইতো এ দেশের সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি সবসময়ই অগ্রভাগে ছিলেন। গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল অষ্টম শ্রেণীতে থাকাকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের জন্য ৭ দিন কারা ভোগ করেন।

শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধুঃ শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি যেমন নিঃস্বার্থভাবে জনকল্যাণের রাজনীতি করতেন তেমন ভালোবাসা ও পেয়েছেন। তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে বিশাল মিছিল, ছাত্রজনতা বিক্ষোভ অনশন তারই প্রমাণ।

তিনি ছিলেন জনগণের বন্ধু। এর স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন ভিপি তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৯ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক রিসকোচ ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। এই উপাধিটি যে কেবল তার জন্যই যথার্থ ছিল তার প্রমাণ হলো পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুই তার নাম হয়ে যাওয়া।

বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতাঃ বাঙালি জাতির স্বপ্ন দৃষ্টা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ জাতির কল্যাণ চিন্তা ভগ্ন থাকেন। পাশে ডিসেম্বর 1979 শহীদ সোহরাওয়ার্দী মৃত্যু দিবসটি নিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করেন বাংলাদেশ নামে। যা তাকে পিতার ভূমিকায় নিয়ে যায়। তাই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ৩ই মার্চের প্লাটন ময়দানে ডাকসুর ভিপি আসম আব্দুর রব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক উপাধি দেন।

ঐতিহাসিক সাথেই মার্চের ভাষণঃ ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির নতুন দিগন্তের সূচনা এক ঐতিহাসিক দিন। এই দিন ঐতিহাসিক রিসকোচ ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির ভবিষ্যৎ নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো। তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুঃ ৭ই মার্চের ভাষণ থেকেই আচঁ করা যায় যে তিনি আগাম যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৫ শে মার্চ রাত্রে গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, This is my last message to you. from today Bangladesh is independent. তার ডাকে সমগ্র বাঙালি মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানঃবঙ্গবন্ধুর সর্বপ্রথম ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে রাজসিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মন্ত্রিসভায় সমবায়, কৃষি ও বন বিষয়ক মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করে। ১৯৫৬ সালের প্রাথমিক মন্ত্রিসভায় শিল্প,-শ্রম ও দুর্নীতি দমন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনি পার্লামেন্টারি দলের নেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু কি আছে ক্ষমতা না ছাড়তে চাইলে তার পরিপেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি প্রধানমন্ত্রী তো ও গ্রহণ করেন।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও দেশ গঠনঃ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানের করাচি মিউয়ালি কারাগারের বন্দি থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশে পদার্পণ করেন বাঙালির প্রাণের স্পন্দন, কল্যানকামি স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। লাখ মানুষের ঢল বে মহান নেতা আসলেন চিরচেনা সেই রেসকোচ ময়দানে।

দিলেন দেশ গড়ার নির্দেশনা। ছুটি বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। সহযোগিতা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এমন এক সুষেনমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যেখানে সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করেন। আর এই জন্য জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

বিশ্ব সভায় বঙ্গবন্ধুঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টভাষী ও রসিক মানুষ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সভায় সমানভাবে সমাদৃত ছিলেন। তিনি প্রথম ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষণ প্রদান করেন তিনি ৭২ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান “জুলিও কুরি” পুরস্কার লাভ করেন।

অবহেলায় বিদায়ঃ বাংলার ইতিহাসে জঘন্যতম দিন 15ই আগস্ট ১৯৭৫। যার আঙ্গুলী ছিলেন কোটি মানুষের প্রাণ ভাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই মহামানবকে কতিপয় নরপিশাচ স্পরিবার হত্যা করে বাংলার মাটিকে কলঙ্কিত করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কতিপয় মানুষ নামের জানোয়াররা পিতা হত্যার মতচক ভিন্ন কাজের মধ্যে তার স্বপ্নকে বিলীন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। কারণ তার স্বপ্ন সারথিরা আজও জেগে আছে।

উপসংহারঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহা অনুভবতা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল। বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছেন-” আমি হিমালয় দেখিনি, আমি দেখেছি শেখ মুজিবর কে।” উপসংহারে উপকূলে দাঁড়িয়ে তাই বলতে হয়- “যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী, যমুনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।”

ভূমিকাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজহার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি ভাষা সৈনিক। তিনি জাতির পিতা। বাঙালির অধিকার ও স্বতন্ত্র মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য পরিচালিত সকল আন্দোলনের তিনি ছিলেন প্রধান চালিকাশক্তি।

তার নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে আমরা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছি স্বাধীন ও সর্বপ্রথম বাংলাদেশ তিনি বজ্রকন্ঠের অধিকারী। তিনি সেই সৃষ্টির সুখের উল্লাসে কাবা মহান পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও আত্মত্যাগ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

জন্ম ও পিতামাতাঃ বাংলাদেশের অভিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চের এক শুভক্ষণে গোপালগঞ্জ জেলা টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শেখ লুৎফর রহমান মাতা সায়েরা খাতুন সন্তান আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

শিখাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪১ সালে মেট্রিকুলেশন পাস করে গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল থেকে। কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজ থেকে 1944 সালে আইএ এবং ১৯৪৭ সালের বিএ পাস করেন তিনি। এরপর ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন শাস্ত্র অধ্যায়ন শুরু করে।

নেতৃত্বঃ তিনি ছাত্র জীবন থেকেই দেশ ও দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। ছাত্র জীবনের তিনি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং সুভাষচন্দ্র বোসের সান্নিধ্য লাভ করেন ও রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠেন। মাতৃভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের নিয়ে গঠিত হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।

তৎকালীন যেসব ছাত্র ও তরুন প্রতিষ্ঠার এই পরিশোধ গঠিত হয় তাদের মধ্যে বিশিষ্ট ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ ভাষার দাবিতে ধর্মঘট ঢাকা হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আলী আহাদ, গাজী গোলাম মাহবুব সহ অধিকাংশ ছাত্র নেতা গ্রেপ্তার হন। দিনকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেন।

পরে বারবার তাকে জেল খাটতে হয়। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোর বিরোধী দলের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালির সব ধরনের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ছয় দফা কর্মসূচি উপস্থাপন করেন। ছয় দফা আন্দোলনকে দমন করার জন্য পাকিস্তান শাসকেরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এই ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা পাকিস্তান শাসকদের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দকে গোপন বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দেওয়া। এভাবে নেতৃত্বশুন্ন করে আন্দোলন থামিয়ে ছিল তাদের লক্ষ্য। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২৫ শে মার্চ পর্যন্ত সংঘটিত অভ্যন্তরের জোয়ারে আইয়ুব খানের স্বৈরশাসন টিকে থাকতে পারেনি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি শাহরুখ খান আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে সব রাজবন্দী কে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য হন। কারা মুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশে ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে বিশাল গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সমাবেশের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে বঙ্গবন্ধুর উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর আতঙ্কিত ঝাপিয়ে পড়ে ও ব্যাপক হত্যাযোগ্য চালায়। গ্রেফতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহর এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ।

নয় মাস যুদ্ধের পর 30 লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে ১৬ই ডিসেম্বরে অর্জিত হয় বাঙালির বিজয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি জাতিসংঘের বাংলায় প্রথম ভাষণ দান করেন। এভাবে শুধু বাঙালি জাতি নয়, বাংলা ভাষার মর্যাদা কে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

পরলোকগমনঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কতিপয় বিপদগামী সেনা সদস্যের আক্রমণ ও নিষ্ঠুর আঘাতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। জঙ্গিপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। সে মাটির সান্নিধ্য ও যে প্রকৃতির পরিচর্যার তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বেড়ে উঠেছিলেন সেই মাটির সান্নিধ্য প্রাকৃতির শীতল স্নেহ ও একান্ত সংস্পর্শে তিনি শেষ সজ্জা গ্রহণ করেছেন।

উপসংহারঃ জাতির মহান নেতা হতে হলে যেসব গুণের প্রয়োজন হবে শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে তার সবই ছিল। তিনি ছিলেন সাহসী ও স্বাধীনতা প্রিয়। সকল প্রকার নিপীড় নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং অধিকার অর্জনের সংগ্রামের অপসীহিন। কোন প্রকার ভীতি কিংবা দ্বিধাতাকে কখনো বিচলিত করেনি। বাংলা ছিল তার দেশ, বাংলা ছিল তার ভাষা এবং তিনি নিজেকে বলতেন ”আমি বাঙালি”। কোভিদ উপলব্ধি যথার্থ, কোটি বাঙালির মনের কথা:

যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী, যমুনা বহমান

ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।

আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রচনা সকল শ্রেণীর জন্য এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি।

আপনি যদি উপরোক্ত রচনাটি ভালোভাবে পড়েন তাহলে আপনি খুব সহজে অধিক নাম্বার পেতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করবেন এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।