স্বদেশ প্রেম রচনা - স্বদেশ প্রেম রচনা ২০ পয়েন্ট সকল শ্রোণি

আপনি কি স্বদেশপ্রেম রচনা বা স্বদেশ প্রেম রচনা ২০ পয়েন্ট সকল শ্রেণীর জন্য খুঁজছেন? আপনি যে কোন শ্রেণীর হন না কেন নিম্নলিখিত স্বদেশপ্রেম রচনাটি আপনার কাজে আসবে। আপনি যদি খুব ভালোভাবে নিম্ন স্বদেশ প্রেম রচনাটি পড়ে ভালোভাবে মনে গেঁথে নিতে পারেন, এতে করে আপনি যখনই এই বিষয়ে কোন জায়গায় লিখে জমা দিবেন সেখানে আপনি সর্বোচ্চ মার্ক পাবেন।
স্বদেশ প্রেম রচনা
বর্তমানে খুবই কমন একটি রচনা পরীক্ষা আসার মত সেটি হচ্ছে স্বদেশ প্রেম রচনা। আপনারা যাতে করে সর্বোচ্চ মার্ক পেতে পারেন সে কথা বিবেচনা করে আমি এই স্বদেশ প্রেম রচনাটি আপনার সামনে তুলে ধরছি।

সূচিপত্রঃ স্বদেশপ্রেম রচনা - স্বদেশ প্রেম রচনা ২০ পয়েন্ট

ইভিভিটিভি

স্বদেশ প্রেম রচনা SSC, HSC, JOB

স্বদেশ প্রেম রচনা

ভূমিকাঃ 
“তোমার কোলে জন্ম আমার, মরণ তোমার বুকে
তোমার পরেই খেলা আমার সকল দুঃখের সুখে।”
স্বদেশপ্রেম মানুষের মহৎ গুণাবলীর অন্যতম। যে ব্যক্তি যে দেশে জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেখানকার আলো বাতাসে তার জীবন বিকাশিত হয়েছে, তার সেই দেশের প্রতি প্রেম-ভালোবাসা থাকা খুবই স্বাভাবিক। স্বদেশ প্রেম মানব জীবনের অপরিহার্য উপাদান।

দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার মাঝেই নাগরিক জীবনের সার্থকতা নিহিত। দেশ ও জাতির প্রতি প্রেমহীন মানুষ সত্যিকারের মানুষ হতে পারে না। এমন মানুষ ও পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যারা নিবেদিত চিত্তে দেশকে ভালোবাসে এবং দেশ ও জাতির উপকারের আত্মউৎসর্গ করে প্রকৃতপক্ষে তারাই মানুষ, তারাই দেশ প্রেমিক।

স্বদেশ প্রেমের স্বরূপঃ 
নিজের প্রতি ভালোবাসা জীবের সাধারণ ধর্ম। আর নিজের প্রতি এই ভালোবাসা থেকে সৃষ্টি হয় নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা। তাই দেশের প্রতি নিবিড় ভালোবাসা, গভীর অনুরাগ ও যথার্থ অনুত্যাগকে দেশপ্রেম বলা হয়। মানুষের অবচেতন মন থেকে দেশ প্রেম উৎসারিত হয়।

স্বদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনীতির প্রতি কত সালেই সে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। মা, মাতৃভূমি আর মাতৃভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসার আবেগময় প্রকাশ ঘটে স্বদেশপ্রেমের মধ্যে। আর তখন আবেগবিহ্বল কন্ঠে সেই গাইতে থাকে-
” ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা”
তোমাতে বিশ্বময়ী, তোমাতে বিশ্ব মায়ের আঁচল পাতা।
স্বদেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশঃ
ঐক্যবদ্ধভাবে যখন দেশের মানুষ এই জীবনধারায়, ঐতিসিক হয়ে উঠে তখনই দেশ প্রেম হয়ে ওঠে মাতৃস্বরূপ। ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থের গণ্ডি পেরিয়ে বৃহত্তম স্বার্থের দিকে মন যখন পরিচালিত হয়, যখন আরতো কল্যাণবোধ হতে বৃহত্তম কল্যাণ বোধ সক্রিয় হয়ে ওঠে তখনই জ্বলে উঠে স্বদেশ প্রেম উজ্জ্বল দীপশিখা।

সুফলা শস্য শ্যামলা দেশ তখন মাতৃরূপে স্বদেশপ্রেমিকের মানুসক্ষেত্রে অভিভূত হয়। এই স্বদেশ প্রীতির বিকাশ আমরা অনুভব করে বিদেশ থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কালে। দীর্ঘ পরবাসের পর সদস্যের স্নেহ সুটিল জীর্ণ কুঠিরখানির কথা মনে পড়লে চিত্রের উল্লাস হতে কি এই বাণী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বের হয়ে আসে না-

” আমার কুঠির খানি সে যেন গো আমার হৃদয় প্রাণে।”

স্বদেশ প্রেমের তাৎপর্যঃ
দেশ প্রেম দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসতে শেখায়। দেশের শান্তি ও মঙ্গলের জন্য ভাবতে শেখায়। এর ফলে শান্তি ও কল্যাণের তাৎপর্য একজন দেশ প্রেমিক ব্যক্তি অনুধাবন করে। শুধু স্বদেশের কল্যাণীই নয়, স্বদেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্ব কল্যাণের পক্ষে স্বদেশপ্রেমকে ব্যক্ত করে দেওয়ার মাধ্যমেই এর প্রকৃত সাফল্য নিহত।

দেশকে ভালোবাসার অর্থ হল স্বজাতি, স্বসমাজ, মাতৃভাষা, আপন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, স্বদেশের রীতিনীতি, আচার সংস্কার, সাহিত্য, কাব্য, মানুষ, প্রাকৃতিক সবকিছুকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসা। সবকিছুকেই শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করা। জীবনের সব ক্ষেত্রে কথায়, কাজে আচার-আচরণে দেশের গৌরব যাতে এতোটুকু ক্ষণ্য না হয় প্রকৃত দেশপ্রেমিক সে বিষয়ে সতর্ক থাকেন। নিজেকে দেশ ও জাতির একজন বলে পরিচয় দিতে দেশ প্রেমিক গর্ববোধ করেন।

দেশ প্রেমের দৃষ্টান্তঃ
স্বদেশের জন্য প্রত্যেকেরই প্রাণ কাঁদে। কেননা দেশের নাড়ির সঙ্গে প্রত্যেক মানুষের স্বার্থ চরিয়া আছে। এই স্বদেশ প্রেমের অনুপ্রেরণায় মানুষ সব যুগেই নিজের ব্যক্তি স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন। কত লোকেই জীবন উৎসর্গ করেছে। শত্রুর তরবারিকে ক্রুটি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট দিয়ে মেয়ের অত্যাচার উৎপীড়িত কয়েকজন দেশ প্রেমিক বদ্ধ নাগরিক অগ্নিকুন্ডে আত্মহতি দান করে।

আমাদের সোনার বাংলা প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশ শাসনামূলক ও ২৪ বর্বর পাকিস্তান আবদ্ধ ছিল। কিন্তু বাংলার মুক্তি আমি দামাল ছেলেদের নির্ধারণ দেশ প্রেম দুই শতাব্দীর অধিক কালের এই স্বাধীনতার শৃংখল ছুটে গেল। পৃথিবীর মানচিত্রে তাই বাংলাদেশ একটি ইতিহাসের জন্ম দিল।

স্বদেশ প্রেমের জন্য মৌলানা মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ আহমেদ, ক্ষুদিরাম, তিতুমীর, সিরাজউদ্দৌলা, ঈশাখা, রানী লক্ষ্মীবাঈ, সূর্যসেন, প্রীতিলতা সেন প্রমুখ দেশ প্রেমিক বিশ্ববরেণ্য হয়ে আছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে হাজারো শিল্প কোভিদ চিত্রকর দেশপ্রেম মহিমা ব্যক্ত করে সৃষ্টি করেছেন কত আবেগোদ্দীপক সঙ্গীত, অমরকাব্য আর অবিনশ্বর চিত্রমালা। আর এভাবেই ইতিহাসের পাতায় বঞ্চিত হয় দেশ প্রেমের অমর শিল্প নিদর্শন।


উপসংহারঃ
স্বদেশের প্রত্যেকের নিকট পরম সাধনার ধন, কামনার অক্ষয় স্বর্গ। সবাই যদি দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করি তবেই জাতির পদচারতা কাটবে এবং জাতি মর্যাদার আসরে অধিষ্ঠিত হবে। স্বদেশ প্রেম মাতৃভূমিকে গর্বিত করবে আর বিশ্বে আনবে সম্প্রীতি। স্বদেশপ্রেমের এই মহান আদর্শ প্রতিফলিত হওয়া দরকার। কারণ-
” মধুর চেয়ে আছে মধুর
সে আমার সে দেশের মাটি,
আমার দেশের পথের ধুলা
খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।”

স্বদেশ প্রেম রচনা ষষ্ঠ শ্রেণি/সপ্তম শ্রেণি/অষ্টম শ্রেণী

স্বদেশ প্রেম রচনা

ভূমিকাঃ স্বদেশপ্রেম হলো নিজে দেশের প্রতি এক ধরনের অনুরাগময় পবিত্র আবেগ। স্বদেশ প্রেম মানুষের মহৎ গুণাবলীর অন্যতম। একজন ব্যক্তি যে দেশের জন্ম গ্রহণ করেছে। যে দেশের মাটি আলো বাতাসে তার জীবন বিকাশিত হয়েছে সেটাই তার স্বদেশ। দেশের প্রতি প্রেম ভালোবাসা থাকা খুবই স্বাভাবিক। জীবনে সফলতার জন্য, দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য স্বদেশপ্রেম বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দিতে হবে।

স্বদেশ প্রেমের স্বরূপঃ
নিজের স্বার্থ বড় করে না ভেবে দেশের স্বার্থ বড় করে দেখার নামে স্বদেশ প্রেম। মাকে ভালোবাসা যেমন একটি চেতনা বা অনুভূতি থেকে সৃষ্টি হয় তেমনি স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা ও সচেতনাজাত। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন স্বদেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ। নিচের দেশ অন্য কোন দেশ থেকে যদি হীন হয়, তাহলে উপর থেকে মানুষের কাছে তার নিজ দেশের অবস্থান অন্য দেশের উপর। দেশ প্রেমিক কোভিদ কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে-

” এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।”
স্বদেশপ্রেম বহিঃপ্রকাশঃ
প্রত্যেক মানুষেরই দেশের প্রতি গভীর অনুরাগ থাকে। দেশ ও জাতির দুর্দিনে মানুষ চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারে না। একটি অদৃশ্য শক্তি তাকে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। গোটা দেশ আচ্ছন্ন করে তার মমতা গড়ে ওঠে। দেশের শিক্ষা সংস্কৃতি, আচার-আচরণ সব কিছুর প্রতি সৃষ্টি হয় মানুষের ভালোবাসা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন,

” ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা।”
দেশ প্রেমের মহিমাঃ
দেশ প্রেমের কারণে মানুষের মন-মানসিকতা উদার, মহৎ ও কল্যাণময় হয়। দেশপ্রেম মূলত অদৃশ্য এক ভাবাবেগ বা চেতনা। প্রকৃত দেশপ্রেমিকের অবস্থান জাতি থেকে আন্তর্জাতিক স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তখন সে বিশ্ব সমাজের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে পরিগণিত হয়। তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়
“নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
খয় নাই তার ক্ষয় নাই।”
স্বদেশ প্রেমের শিক্ষাঃ
প্রত্যেকটি মানুষের দেশ প্রেমের শিক্ষা থাকা উচিত। ছাত্রদের দেশ প্রেমের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে ছাত্র জীবন থেকেই। দেশপ্রেমের আদর্শ মানুষের জীবন একটি বৈশিষ্ট্য। আর এজন্যই কবি বলেছেন,

স্বদেশের উপকারে নেই যার মনে
কে বলে মানুষ তারে পশু সে জন।
দেশ প্রেমিকের উদাহরণঃ
বাংলাদেশের ইতিহাসে বা বিশ্বের ইতিহাসে অনেক খন জন্ম মহামানবের আগমন ঘটেছে, যারা তাদের দেশপ্রেমের কারণ যুগ যুগ ধরে মানব সমাজে স্মরণীয় হয়ে আছেন। বাঙালি জাতির কাছে যারা দেশপ্রেমের উজ্জ্বল আদর্শ হয়ে আছেন তারা হলেন- শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, জেনারেল ওসমানী প্রমুখ। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জজ ওয়াশিংটন, রাশিয়ার ভ্লদিমির লেনিন, চীনের মাও সেতুং উল্লেখযোগ্য।


উপসংহারঃ
দেশপ্রেমকে কোন আর্থিক বা অন্য কোন মানদন্ডে বিচার করা যায় না। দেশ প্রেম প্রতিটি আদর্শ মানুষের অপরিহার্য গুণ। মহৎ উদার ও অকৃতির এক অনুভূতির নাম দেশপ্রেম। আমাদের সকলের মধ্যেই দেশপ্রেম থাকা উচিত। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। স্বদেশপ্রেম থেকে জন্ম নেয় বিশ্ব প্রেম।

লেখক এর মন্তব্য

আমরা এতোক্ষন আলোচনা করলাম স্বদেশ প্রেম রচনা সকল শ্রেণীর জন্য। আপনি যদি এই স্বদেশ প্রেম রচনাটি ভালোভাবে পড়ে আপনি যে পরীক্ষায় দেখতে পারেন তাহলে আপনি সেখানে সর্বোচ্চ মার্ক পেতে পারেন। এ বিষয়ে যদি আপনি কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি। এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করবেন কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন তথ্য আপডেট করে থাকি। আমাদের সঙ্গে এতক্ষন থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
4 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • 26382parvez
    26382parvez March 14, 2024 at 9:37 AM

    ধন্যবাদ

    • EVVTV ✅
      EVVTV ✅ March 17, 2024 at 10:23 PM

      😊

  • Anonymous
    Anonymous March 14, 2024 at 9:40 AM

    জয় বাংলা, অনেক সুন্দর তথ্য

    • EVVTV ✅
      EVVTV ✅ March 17, 2024 at 10:22 PM

      ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url