গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ
আপনি কি গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ খুঁজছেন। আপনি যদি গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ খুঁজে থাকেন থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। নিম্নলিখিত গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণটি সকল শ্রেণীর জন্য এবং চাকরির ক্ষেত্রেও আপনি নিম্নলিখিত গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ টি ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি এই গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণটি তৈরি করেছি। নিম্নলিখিত ভাব সম্প্রসারণটি খুব ভালোভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা হয়েছে এজন্য আপনি যদি নিম্নলিখিত গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণটি লেখেন তাহলে অধিক নাম্বার পেতে পারেন।
সূচিপত্রঃ গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ
ইভিভিটিভি
গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ JOB SSC JSC
গ্রন্থগত বিদ্যা আর পড় হস্ত ধন
নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন
মূলভাবঃ প্রকৃত জ্ঞান হারনেই যথার্থ জ্ঞান এবং নিজস্ব সম্পদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ প্রয়োজনে কাজে লাগানো যেতে পারে।
অভিধানিক অর্থঃ মানুষ যে পিতা এবং ধন-সম্প দ অর্জন করে তার একমাত্র উদ্দেশ্য প্রয়োজন সাধন। পার্থক্যজীবনে বা প্রয়োজনে মানুষ তার অর্জিত বিদ্যা ও ধন সম্পদ কাজে লাগিয়ে থাকে। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যা ও পরের ধন কোনটাই মানুষের প্রয়োজনে কাজে লাগে না। তাই এর কোন মূল্য নেই।
ভাব-বিশ্লেষণঃ মানুষ জ্ঞান অর্জনের জন্যই বিভিন্ন বই পড়ে।
প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করে তা মানব সেবায় নিয়োগ করতে পারলে তবেই তার সার্থকতা। কিন্তু যে প্রয়োজনের সময় কাজে ব্যবহার করা যায় না প্রকৃতপক্ষে সে পিতার কোন মূল্য নেই। আবার তেমনি মানুষের জীবনে ধন সম্পদেরও প্রয়োজনে রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের সম্পদ নিজে অর্জন করতে হবে। অপরের হাতের ধন সম্পদ নিজের প্রয়োজনে সময় ব্যবহার করা যায় না।
আবার নিজের ধন অপরের কাছে গচ্ছিত রাখলে প্রয়োজনে সে ধন পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। গ্রন্থগত বিদ্যা বলতে গ্রন্থ থেকে অর্জিত তথা পুঁথিগত বিদ্যাকে বোঝায়। পুঁথিগত বিদ্যা মানুষকে যথার্থ জ্ঞানী করে তুলতে পারে না। বিদ্যাকে জীবনের উপযোগী করে তোলার মাধ্যমে যথার্থ জ্ঞান শক্তি নিহত। কাজেই তত্ত্বীয় জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা দরকার।
গীতা অর্জন করে তাকে কাজে লাগাতে হবে। কেবল মুখস্ত করে লেখাপড়া করলে তা দরকার মত ব্যবহার করা যায় না। এর দ্বারা নিজস্ব উদ্ভবনেই শক্তির বৃদ্ধি হয় না। পরের হাতে ধন ঐশ্বর্য থাকলে তা যেমন আপন প্রয়োজনে কাজে আসে না ঠিক তেমনি পুঁথিগত বিদ্যাকে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনের তাগিদে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে না পারলে তা মূল্যহীন হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম
মন্তব্যঃ কেবল নিজস্ব জ্ঞান ও নিজের কাছে থাকা অর্থই মানুষের প্রয়োজনে সঠিক সময়ে কাজে লাগাতে পারে।
গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণী
নিম্নলিখিত গ্রন্থ কত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণির জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ভাব সম্প্রসারণটি খুব সহজ ভাষায় সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা হয়েছে। যা আপনার সর্বোচ্চ নাম্বার নিশ্চিত করতে পারে।
গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্ত ধন
নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন
মূলভাবঃ বিদ্যা যদি বইয়ের পাতায় আবদ্ধ থাকে এবং সম্পত্তি নিজের আয়ত্বের বাইরে থাকে তবে তা কোন প্রয়োজন মেটাতে পারে না।
সম্প্রসারিত ভাবঃ মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। তার বিবেক আছে। মানুষ কেন অর্জন করে মহৎ গুণাবলীর অধিকারী হয়। পরিশ্রম ও বুদ্ধি দিয়ে সে অর্থ অর্জন করে। জ্ঞান ও অর্থ মানুষের মনুষ্যত্বকে পরিণত দেয়। জ্ঞান অর্জন করতে হলে তাকে পড়াশোনা করতে হয়। গ্রন্থ বা বই জ্ঞানের ভান্ডার, গ্রন্থপাঠ করে মানুষ তার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে পারে।
জ্ঞানের ধারক ও বাহক হচ্ছে বই। গ্রন্থে আবদ্ধ জ্ঞানের সাধ পেতে হলে আমাদেরকে বই পড়তে হবে। এবং ব্যক্তিগত সামাজিক ও জাতীয় জীবনের প্রয়োজনে সেবিতা কাজে লাগাতে হবে। ব্যক্তিগণের বিষয় গ্রন্থে আবদ্ধ রেখে মুখস্থ করে পরীক্ষায় পাস করে প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারে না, যদি গ্রন্থের আদর্শকে আত্মস্থ করা না যায়, তাহলে জীবনের কোন উপকারে আসে না।
বিদ্যার পোশাকী রূপে দেহশভিত করলেই যথার্থ বিদ্বান হওয়া যায় না। বিদ্যা ও ধন মানুষের অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। তাদের কাজে লাগাতে হলে পিতা কে করতে হয় আত্মস্থ আর ধানকে করতে হয় নিজের আয়ত্তে। প্রকৃতপক্ষে যে বিষয়টি আত্মস্থ করা যায় না, নিজের অধিকারের ও ব্যবহারের আনা যায় না তা যতই সমৃদ্ধ হোক ততই মানুষের কোন উপকার হয় না। সেজন্যই বলা হয়েছে-পুঁথিগত বিদ্যা যেমন নিষ্প্রয়োজন তেমনি পরহস্তে ধনও নিরর্থক।
আরো পড়ুনঃ শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ
মন্তব্যঃ মানব জীবনের সব ধরনের প্রয়োজন সাধনের জন্য বিদ্যা ও ধন একান্ত জরুরী সে প্রয়োজন যখন সিদ্ধ হয় না তখন এর কোন মূল্য থাকে না।
লেখক এর মন্তব্য
আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম গ্রন্থ কত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ সকল শ্রেণীর ক্ষেত্রে এবং চাকরির ক্ষেত্রেও। আপনি উল্লেখিত উপলব্ধ গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ যদি পরীক্ষা দিতে পারেন তাহলে আপনি সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে পারেন।
এই বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারন আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন কারণ আমরা এরকম তথ্য ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছি এবং নতুন নতুন তথ্য প্রতিদিন প্রকাশ করি।
ধন্যবাদ