সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কোনটি - সাধু রীতি সম্পর্কে সকল তথ্য
আপনি কি সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কোনটি বা সাধু রীতি সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে চান? আপনি যদি সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কোনটি জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে খুব ভালোভাবে বুঝিয়েছি সাধু রীতি বৈশিষ্ট্য কোনটি এবং সাধু রীতি সম্পর্কে সকল তথ্য।
আপনি এই নিবন্ধনটি যদি ভালোভাবে পড়েন তাহলে আপনি সাধু রীতি সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
সূচিপত্রঃ সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কোনটি - সাধু রীতি সম্পর্কে সকল তথ্য।
ইভিভিটিভি
সাধু রীতি
দাপ্তরিক কাজ, সাহিত্য রচনা, যোগাযোগ ও জ্ঞান চর্চার প্রয়োজনে লেখ্য বাংলা ভাষায় সাধুর রীতির জন্ম হয়। ১৯ শতকের শুরুর দিকে সাথরীতির বিকাশ ঘটে। তাই ২ শতাব্দী ধরে এই রীতি বাংলা লখ্য ভাষার আদর্শ রীতি হিসেবে চালু থাকে।
সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কোনটি
সাধু রীতিরর বৈশিষ্ট্য হল ক্রিয়ারূপ দীর্ঘ। সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কোনটি নিম্নলিখিত সকল তথ্য পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন। নিম্নে কিছু সাধু রীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো।
- সাধু রীতিতে কে আরো দীর্ঘতর, যেমনঃ ‘করা’ ক্রিয়ার রূপ : করিতেছে, করিয়াছে, করিল, করিলে, করিলাম, করিত, করিতেছিল, করিয়াছিল, করিব, করিবে, করিতে, করিয়া, করিলে, করিয়া।
- সাধু রীতির বহু সর্বনামে ‘হ’-বর্ণ যুক্ত থাকে যেমনঃ তাহারা, ইহাদের, যাহা, তাহা, উহা, কেহ ইত্যাদি।
- সাধু ভাষায় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের ব্যবহার বেশি।
- সুধু ভাষা গুরু গুম্ভির, ওজস্বী ও ভাবগৃঢ়।
- সাধু রীতিতে সমাস সাধিত শব্দের ব্যবহার বেশি।’
- সাধু রীতি মূলত লেখ্য ভাষা। সাধারন কথা বার্তায় এর ব্যবহার নেই।
- এ রীতেতে সংস্কৃত অব্যয় ব্যবহৃত হয়।]
- সাধু রীতি কৃত্রিম এবং তা প্রাচীন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
- সাধু রীতির শব্দ বিন্যাস সুনির্দিষ্ট ও সুনিয়ন্ত্রিত।
আর পড়ুনঃ মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
সাহিত্যে সাধু রীতির উদাহরণ
মহাসমুদ্রের শত বছরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাধিয়া রাখিতে পারি তো যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকি তো, তবে সেই নীরব মহা শব্দের সহিত এই লাইব্রেরীর তুলনা হইতো। এখন ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবতার অমর অলক কাল অক্ষরের শৃংখলে কাজের কারাগারে বাধা পড়ে আছে।
ইহার সহসা যদি বিদ্রোহ হইয়া উঠে, নিস্তব্ধতা ভেঙিয়া ফেলে, অক্ষরের বেড়া দগ্ধ করিয়া একেবারে বাহির হইয়া আসে। হিমালয়ের মাথার উপরে কঠিন বরফের মধ্যে যেমন কত কত বন্যা বাধা আছে, তেমনি এই লাইব্রেরীর মধ্যে মানব হৃদয়ের বন্যাকে বাঁধিয়া রাখিয়াছে। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯ শতক)
দাপ্তরিক কাজে সাধুরীতির উদাহরণ
আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আসা-আকাঙ্ক্ষার শহীদ সংহতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সেজন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তি স্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্য রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য। ( বাংলাদেশ সংবিধান, বিশ শতক)
সাধু ভাষার উদাহরণ
১. পরিধান তাতে হেডমাস্টার সাহেবের প্রস্তুত লিস্ট অনুসারে যে তিনজন শিক্ষক সাহেবের শহীদ সাক্ষাৎ কিরিবার অনুমতি পাইয়াছিলেন, তাহারা আটটার পূর্বে ডাকো-বাংলায় উপস্থিত হইলেন। একটু পরে আব্দুল্লাহ আসিয়া হাজির হইলো। তাহাকে দেখিয়া একজন শিক্ষক জিজ্ঞেস করিলেন-আপনি যে আপনার নাম তো হেডমাস্টার লিস্টে দেন নাই। - কাজী ইমদাদুল হক।
২. চঞ্চল কুমারী প্রভাতে উঠিয়া স্নান করিয়া রত্নালংঙ্কারেরভূষিত হইলেন। নির্মল অলংকার পড়াইল; চঞ্চল বলিল, “ফুলের মালা পড়াও সখী- আমি চিতারোহনে যাইতাছি।” প্রবলবেগে প্রবাহমান অশ্রুচল চক্ষু মধ্যে হঠাৎ পাঠিয়ে নির্মল বলিল, “ রত্নলঙ্কার পরাই সখী, তুমি উদয়পুরেশ্বরী হইতে যাইতাছো।” চঞ্চল বলিলো, “পরাও পরাও ! নির্মল! কুৎসিত হইয়া কেন মরিব?
রাজার মেয়ে আমি; রাজার মেয়ের মতো সুন্দর হইয়া মরিব। সৌন্দর্যের মতো কোন রাজ্য। রাজত্য কি বিনা সৌন্দর্যে সোভা পায়; নির্মল অলঙ্কার পরাইল। সে কুসুমিত তরু বিরিন্দিত কন্তি দেখিয়া কাঁদিল। কিছু বলিল না। চঞ্চল তখন নির্মল এর গলা ধরিয়া কাঁদিল।
আর পড়ুনঃ পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
লেখকের মন্তব্য
আমরা এতক্ষণ জানলাম সাধু রীতির বৈশিষ্ঠ কোনটি বা সাধু রীতির বৈশিষ্ঠ সম্পর্কে সকল তথ্য। এই বিষয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যেই কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমরা প্রত্যেক এর কমেন্ট রিভিউ করি। এই রকম গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমাদের সঙ্গে এতাক্ষন থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর তথ্য