পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা - মাতাপিতার প্রতি কর্তব্য ১০০% মার্ক নিশ্চিত
আপনি কি পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা খুঁজছেন? আপনি যদি পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা কোথায় থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে খুব ভালোভাবে আলোচনা করেছি।
আপনি যদি পরীক্ষার সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে চান তাহলে আপনি নিম্নলিখিত পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনাটি ভালো হবে মুখস্থ করুন। এই রচনাটি সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য।
ইভিভিটিভি
ভূমিকা - পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা
দায়িত্ব ও কর্তব্যের মাঝেও আবর্তিত হয়েছে মানব জীবনের সুগঠিত হয়। আর এই সুগঠিত জীবনকে পরিপূর্ণ বিকশিত করতে মানুষের কিছু কর্তব্য পালন আবশ্যক। পবিত্র কুরআন শরীফের নির্দেশ আছে- স্রষ্টার প্রতি কর্তব্য পালন করা পরে মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য পালনের কথা। এজন্য প্রত্যেক ধর্মই পিতামাতাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
হাদিসে বর্ণিত আছে “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্তা”। সংস্কৃতিতে বহুল প্রচলিত উক্তি ” জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গদাপি গরীয়সী’, বাংলায়- জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ট’। এই প্রসঙ্গে পশ্চাৎ মনীষী ও সু প্রদর্শিত লেখক রাস্কিন বলেছেন, এই পৃথিবীতে মানুষের তিনটি কর্তব্য আছে; যথাঃ ” duty towards God, duty towards parents and due to our mankind'. আর এইসব উক্তিটির সূত্র ধরে বলা যায় মাতা পিতাই পরম পূজ্য। তাদের সন্তুষ্টি। এই জন্য আমাদের সবার প্রতি মাতাপিতার যত্নবান হওয়া উচিতভ।
পিতামার ত্যাগ
মাতাপিতার অপর ত্যাগ ও তার পরে আমরা আজ পৃথিবীতে আলো বাতাস উপভোগ করতে পারছি না। মাথা অতি কষ্টে দশ মাস সন্তানকে গর্ভধারণ করে নিজের শরীরের রক্তবিন্দু দিয়ে তাকে বড় করে তোলেন। পিতা মাতা আমাদের নিজ অন্তরাত্মা জলে সর্বদা পালন করে থাকেন। লক্ষণ হতে আরম্ভ করে শৈশব বাল্যক
সহ যতদিন পিতা-মাতা বেঁচে থাকেন ততদিন সন্তানের সুস্থ সুন্দরের প্রত্যাশা নিচের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিয়ে থাকেন। আর সীমাহীন এই কষ্টের মাঝেও পিতা-মাতা আনন্দঘন ঘটের প্রত্যেকদিন ধোলাই দুইটা থাকে, কিভাবে সন্তানের মুখে হাসি ফোড়া করতে পারেন এই চেষ্টাই করে।
জীবনের সকল আচ্ছা তুমি আমায় ভুলেও সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পিতা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান, আর পিতা মাতার প্রাণের কমলা মতি সন্তানকে সব ধরনের অসভ্য ছায়া দেখে দূরে সরিয়ে রাখেন। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ছোট শিশুর একটি বড় হয়ে উঠে।
পরম আদরের কেন ছেলে সন্তানটি তখনই ডানা মেলে বাড়ির অগাধ উন্মুক্ত পরিবেশ। আর সে সময় পিতা-মাতা দূর থেকে আশীর্বাদের কোমল আর ভাই পরিপূর্ণ করে তোলেন চারপাশ। সারাক্ষণ সন্তানের মঙ্গলকামনা ধ্বনিত হতে থাকে পিতা-মাতার হৃদয়।
মাতা পিতার প্রত্যাশা
পৃথিবীর সব পিতা মাতার সন্তানের দুঃখ কাঁদেন এবং সন্তানের সাফল্য গর্বিত হয়ে ওঠেন। সন্তান মানুষের মতো মানুষ হয়ে সমাজের বুকে মাথা তুলে এটা তাদের একান্ত চাওয়া। তাদের সন্তানটি যেন সমাজ ছেড়ে মাছের সুস্থ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকে পিতা মাতার মুখ উজ্জ্বল করে এ কথা ভেবেই প্রভাত গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে।
আদর্শ পিতা-মাতা চান তাদের সন্তানকে যেন তাদের মধ্যই হয় অথবা তাদের চেয়েও ভালো গুণাবলী বৈশিষ্ট্য মানুষ হয়। সাধারণের অসত্য ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করুক এই প্রত্যাশা বিষয়টি পেলেই সমস্ত জীবনের দুঃখ ভুলে মাতা পিতার পরম আনন্দের নেচে ওঠেন। যখন এ প্রত্যাশা ব্যর্থ হয় তখন সীমাহীন কষ্টের পাহাড় ভর করে পিতা মাতার হৃদয়ে কোনে।
আরো পড়ুনঃ মে দিবস অনুচ্ছেদ
মাতা পিতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য
পৃথিবীতে মাতা পিতার মতো কল্যাণকামী বন্ধু আর দ্বিতীয়টি নেই। এ কারণে সর্বদা পিতা মাতাকে মান্য করে চলা প্রত্যেক সন্তানের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য। পিতা মাতার আদেশ পালনের সন্তানের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধ ভরে ওঠে। কারণ পিতা-মাতাই আন্তরিকভাবে সন্তানের মঙ্গলের জন্য বিধাতার কাছে প্রার্থনা করেন। কখনো পিতা-মাতাকে অপেক্ষা করে চলে ব্যর্থতার সীমাহীন যন্ত্রণার মাঝেও পতিত হয় সন্তানের জীবন।
পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, “হে মানব সন্তান! আল্লাহ তোমার পিতা মাতার প্রতি সদয়, মধুর ও বিনম্র ব্যবহার করতে আদেশ করেছেন। তাদের সন্তুষ্ট করা, তাদের হুকুম পালন করো। তারা বৃদ্ধ হলে তাদের প্রতি বিরক্ত প্রদর্শন করো না। আল্লাহর কাছে তাদের কল্যাণ ও শান্তি কামনা করো।”
যখন তারা জীবনের শেষ পর্যায়ে বিচরণ করিবেন, অসহায় হয়ে যাবেন শারীরিক ও মানসিকভাবে, তখন তাদের পাশে বসে কিছুটা সময় অতিবাহিত করতে হবে। পিতা-মাতার ইচ্ছা অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে বোঝানো উচিত তাদের গুরুত্ব আমাদের মাঝে কতখানি। আর এখনো যেন পিতা-মাতা সন্তানের ব্যবহারের দুঃখ না পান সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা আমাদের সবার একান্তই কর্তব্য।
সন্তানকে ঘিরে পিতা-মাতার নানা ধরনের স্বপ্ন থাকে। সন্তানের কর্তব্য হচ্ছে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা। পিতা-মাতা যেমন চান তেমনি ভাবে পড়ালেখা করে জীবন গঠন করে তাদের প্রতি কর্তব্যের পরিচয় দিতে হবে। তারপর সন্তান যদি বড় হয় কর্মজীবনে প্রবেশ করে তখন সন্তানের উপর বিভিন্নভাবে কর্তব্য আরোপিত হয়।
পিতা-মাতার ভরণপোষণের ভার পড়ে সন্তানের উপর। মাথাপিথা যখন বয়স বেড়ে প্রৌঢ়ত্বে বা বার্ধক্যে পৌঁছান। তাদের কর্ম জীবন থেকে অবসর নিতে হয়। অনেকেই তখন সন্তানের উপর নির্ভশীল হয়ে পড়েন্ তাদের স্বাস্থ্যের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে, মানসিক দিক থেকেও যাতে পরিবারিক পরিবেশ তারা সুখে থাকেন সেদিকে যত্নশীল হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অধ্যাবসায়ী রচনা 20 পয়েন্ট
উপসংহার
পিতা মাতায় সন্তানের জীবনে আলোক বর্ণিত স্বরূপ। যে সন্তান পরিণত বয়স পর্যন্ত মাতা পিতার পথ সংস্পর্শ পেয়েছে সেই ধন্য। বনে মাতা পিতার সন্তুষ্টি বিধান করাটাই সন্তানের প্রধান দায়িত্ব কর্তব্য। জীবনের নানা জটিলতার মধ্য দিয়েও আমরা যেন পিতা মাতা কে স্মরণ করতে পারি, তাদের সেবা যতনে তৎপর থাকতে পারি এ প্রত্যাশায় প্রতিটি প্রভাতকে বরণ করে প্রত্যেক সন্তানের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর সে পথ অনুসরণ করতে পারলে জীবন হবে ধন্য।
পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি
ভূমিকা
পিতা-মাতা আমাদের জন্মদাতা। পিতা মাতার সমতুল্য আপনজন পৃথিবীতে আর নেই। এই পৃথিবীতে পিতা মাতায় আমাদের জীবনের উৎসাহ। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকে পিতা-মাতাই নিজের সুখের কথা ভুলে গিয়ে সন্তানের সুখের কথা ভাবেন। তাই সন্তানের জীবন নিয়ে পিতার প্রতি অপরিসীম কর্তব্য রয়েছে।
সন্তানের জীবনে পিতা মাতার অবদান
পিতা মাতার জন্য সন্তানের এই সুন্দর পৃথিবীতে আগমন। সন্তানের জীবনের পিতা মাতার অবদান বর্ণনাতীত। মা বাবা সর্বদা সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন। সন্ধানকে বড় করে তোলার জন্য তারা সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করেন। সন্তান কিভাবে সুখী হবে তার সর্বদা সেদিকে দৃষ্টি রাখেন। সন্তানকে মানুষ করে তোলা তার পড়াশোনা তার সুখ স্বাচ্ছন্দ নিশ্চিত করতে তারা সদা ব্যস্ত সময় কাটান।
বাবা-মা নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ান। সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য পিতা-মাতা অনেক পরিশ্রম করেন। সন্তানের সুখই তাদের সুখ। সন্তানের মুখে হাসি ফুটলেই তাদের মুখে হাসি ফোটে। সন্তানের অসুখ হলে পিতা-মাতার চোখে ঘুম থাকে না। তাদের কোন প্রকার মঙ্গলে বাবা-মা বেদনাহত হন। সন্তানের জীবনের পিতা-মাতা এই প্রভাবের সন্তানের কর্তব্য হয়ে উঠে সীমাহীন।
পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য গুরুত্ব
পিতা-মাতার কষ্ট বৈধ, সাধনা ও শ্রমের ফলে সন্তানের সুন্দর জীবন গড়ে ওঠে। মা বাবা সন্তানের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করলে সন্তান যথার্থ মানুষ হতে পারে না। যারা এই বিশেষ জীবনে সফল স্মরণীয় বরণীয় হয়ে আছেন, তারা শৈশব সুযোগ্য পিতা মাতার স্নেহ ও শিক্ষাই লালিত পালিত হয়েছেন। মা-বাবার প্রতি কর্তব্য পলায়নের অর্থ তাদের সাধনার প্রতিদান দেয় না।
তাদের ঋণ পরিশোধের নয় একথা বিবেচনা করে তাদের প্রতি অকৃত্রিম ভক্তির শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। তাদের সুখ শান্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের পূর্ণ সন্তুষ্টির দিকে মনোযোগী হতে হবে। এমন অবস্থায় সৃষ্টি করতে হবে যাতে তারা সর্বদা খুশি থাকেন।
এই ব্যাপারে মহানবী (স.) বলেছেন- “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশতা।” তিনি আরো বলেছেন- “পিতার সন্তুষ্টিতেই আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং তার অসন্তুষ্টিতেই আল্লাহর অসন্তুষ্টি।” তাই তাদের সন্তুষ্টি ও সেবার আত্মনিয়োগ করতে হবে।
কর্তব্যের ধারণা
পিতা মাতার প্রতি অনুগত্য প্রকাশের মধ্যে শিশুর কর্তব্য পালন শুরু হয়। শিশুকে ঘিরে বাবা-মার অনেক স্বপ্ন থাকে। সন্তানের কর্তব্য বাবা মার সেই স্বপ্নকে সফল করা। সন্তান যখন বড় হয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করে তখন তার উপর আরো বেশি কর্তব্য হওয়ার পড়ে।
ভরণপোষণের দায়িত্ব তার উপর নেস্ত হয়। বাবা-মা বার্ধক্য পৌঁছালে যখন কর্ম জীবন থেকে অবসর নেন তখন তারা সন্তানের উপর অধিক নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় সব রকম আরাম-আয়েশ ব্যবস্থা করা সন্তানের কর্তব্য। নিজের জীবনের সুখ না থাকলেও পিতা-মাতার সুখের বিষয়টিতে প্রাধান্য দিতে হবে। তাদের সঙ্গে এমন কোন আচরণ করা উচিত নয় যা তাদের মন কষ্ট কারণ হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রবন্ধ লেখার নিয়ম
ছাত্র-ছাত্রীর কর্তব্য
পিতা মাতার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের কর্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশোনা চলাকালীন সন্তানের প্রধান কাজ বাবা-মা স্বপ্নপূরণ করা আর এই জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া। সন্তান লেখাপড়া শিখে মানুষ হোক এটাই তাদের কামনা। এই অবস্থায় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাজ হচ্ছে পিতা-মাতা যেভাবে জীবন গঠনের নির্দেশ দেন সেভাবে নিজেকে গড়ে তোলা। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক জীবন গঠনে সচেতন হওয়া।
উপসংহার
সন্তানের সাফল্যের গৌরবে পিতামাতাই সর্বাধিক সুখী হন। সন্তান সর্বত্রভাবে মা-বাবাকে খুশি রেখে নিজের কর্তব্য পালন করবে এটাই অভিপ্রেত। জীবনের সকল পরিস্থিতিতে পিতা-মাতার মুখে খুশির দীপ্তি যেন ম্লান না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
জীবনে কখনো ও কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হওয়া চলবে না। পিতা-মাতার প্রতি যথার্থ কর্তব্য পরায়ণ সন্তান সে এই যে তাদের ইচ্ছে অনুসারে জীবন গঠন করে এবং তার জীবনের কর্ম দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন। পিতা মাতার স্নেহ মমতা মহান আল্লাহর সৃষ্টি দান।
আর পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রচনা
লেখকের মন্তব্য
আমরা তখন আলোচনা করলাম পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা এবং পিতা মাতার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের কর্তব্য ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা করলাম আপনি যদি উপরোক্ত পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনাটি লিখেছে কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তাহলে আমরা খুব সহজে অধিক নাম্বার পেতে পারেন।
এই বিষয় যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করুন ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url