ভাবসম্প্রসারণ: পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি JOB, SSC, HSC, JSC
আপনি কি পরিশ্রম সৌভাগের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ খুঁজছেন? আপনি যদি চাকরির ক্ষেত্রে কিংবা সকল শ্রেণীর ক্ষেত্রে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ খুলে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। নিম্নলিখিত ভাব সম্প্রসারণটি যদি আপনি ভালোভাবে পড়ে মনে গেঁথে নিতে পারেন তাহলে আপনি পরীক্ষায় লিখলে সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে পারেন।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের জন্মদাতা। পরিশ্রমের কারণে মানুষ তার সফলতা পায়। এর জন্য এ বিষয়টি নিয়ে সকল শিক্ষার্থীর জানা উচিত এবং সকলের জানা উচিত। চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ
ইভিভিটিভি
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ পরিশ্রম সৌভাগ্যের জন্মদাতা। সৌভাগ্য অনায়াসলব্ধ নয়। একে অর্জন করতে হয় নিরালজ পরিশ্রম ও একনিষ্ঠ সাধনায়।
সম্প্রসারিত ভাবঃ ব্যক্তিগত ও জাতীয় উন্নতি সাধনার জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য। বর্তমান সমৃদ্ধ ও উন্নত সভ্যতা বহুদিনের ক্রমবর্ধন পরিশ্রমী ফসল। পরিশ্রম ও উদ্যম ছাড়া কেউ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনা। সাধারণভাবে মানুষের বিশ্বাস, সুখ ও উন্নতি পুরোপুরি ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কেবল বোকারাই ভাগ্য বিশ্বাস করে হাত গুটিয়ে বসে থাকে। আসলে সৌভাগ্য নিয়ে কেউ পৃথিবীতে আসে না। কঠিন কঠোর পরিশ্রম করে বিরূপ ভাগ্যকে জয় করতে হয়।
যে ব্যক্তি অলস কর্মবিমুখ তার ভাগ্য নেমে আসে ব্যর্থতা ও হতাশার কালরাত্রি। জীবনে অর্থ, বিদ্যা, যশ, প্রতিপত্তি অর্জন করতে হলে তার জন্য তাকে একনিষ্ঠ ও নিরালস পরিশ্রম করতে হবে। কর্ম সাধনার মাধ্যমে মানুষ সফলতার স্বর্ণ দুয়ারে পৌঁছাতে পারে। যে জাতি পরিশ্রমী নয় সে জাতি উন্নতি অগ্রগতি আশা করতে পারে না। মহামানবদের জীবন পাতার দিকে তাকালে ওই সত্য উদ্ভাসিত হয়, অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে তার জীবনের সাফল্য অর্জন করেছেন।
সম্রাট বাবর তার সংগ্রামশালী জীবনে নিজের শ্রমের দ্বারাই মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ফ্রাঙ্কিলিন গরিব পরিবারের জন্মগ্রহণ করে শিক্ষা গ্রহণের কোনো সুযোগ না পেয়েও পরিশ্রম দাঁড়ায় পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। পরিশ্রমের জীবনকে সাফল্য গৌরবময় সমৃদ্ধ ও ছাত্রময় করে তোলে। পরিশ্রম দাঁড়ায় মানুষ নশ্বর পৃথিবীতে পরিবারের জন্মগ্রহণ করেও নিরলস পরিশ্রম ও সাধারণ ও মাধ্যমে লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয় এক বিশাল স্থান দখল করে আছেন।
আধুনিক বিশ্বের উন্নত্য দেশগুলোর দিকে তাকালে কিংবা তাদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তার নিয়ে লাশ পরিশ্রম করেই উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছেন। একমাত্র সম শক্তি তাদেরকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের স্বর্ণদ্বারে পৌঁছে দিয়েছে। অন্যদিকে অলস কত যুবক বেকার হয়ে অভিশপ্ত জীবন কাটাচ্ছে। কাজের পরিশ্রম উন্নতির স্বপন এবং সমৃদ্ধির চাবিকাঠি।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা
মন্তব্যঃ পরিশ্রমই ব্যক্তিকে দেয় প্রতিষ্ঠা আর জাতিকে দেয় আত্মমর্যাদা। ব্যক্তির ও জাতীয় জীবনে পরিশ্রম নিশ্চিত করতে পারে সৌভাগ্যের হরিনয় প্রভাত।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাব সম্প্রসারণ JOB
মূলভাবঃ শিক্ষার ফলেই একটি জাতি প্রকৃত জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে Industry is the key to success. এটি ধ্রুবক। কেননা প্রকৃত ও যথার্থ পরিশ্রম ছাড়া মানুষের জীবনে সেও ভাগ্যের লক্ষ্মী ডেকে আনা সম্ভব নয়। অলস ব্যক্তির জন্য তার কাম্যস্ত লাগানের বাহিরে থাকতে বাধ্য। কারণ পরিশ্রম ছাড়া নিতান্তই তুচ্ছ জিনিসও লাভ করা যায় না। জীবন পুষ্পসার্য নয়; কণ্টাকাকীর্ণ। প্রতিষ্ঠান লাভ প্রতিটি মুহূর্তেই সংগ্রাম লিপ্ত থাকতে হয়। বিনা আয়েশে কিছু সম্ভব হয় না। জীবনের সর্বক্ষেত্রে উন্নতির একমাত্র চাবিকাঠি পরিশ্রম।
প্রতিষ্ঠা খ্যাতি প্রতিপত্তি সুনাম মর্যাদা এসব ত্রিবেণী ক্রিয়াধারার মুখে টিকে থাকার জন্য কঠোর সাধনা দরকার। অন্যথায় ব্যর্থতা এসে জীবনকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ফেলে। কথায় বলে ”পরিশ্রম ধন আনে, পূর্ণ আসে সুখে.” একথা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। পৃথিবীর অর্থ বিদ্যা খ্যাতি প্রতিষ্ঠা কিছুই পরিশ্রম ছাড়া লাভ করা যায় না।
এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে যারা প্রতি সাধারণ দরিদ্র অবস্থা থেকে নিজ পরিশ্রম ও কর্মকৌশল দ্বারা জগৎবিখ্যাত হয়েছেন। পরিশ্রম দ্বারা চীন, জাপান, আমেরিকা, ব্রিটিশ প্রভৃতি দেশ আজ উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আরোহন করেছে এবং বিশ্বের মানচিত্রে খ্যাতনামা শক্তিশালী ও প্রতিষ্ঠিত দেশ হিসেবে স্থান গ্রহণ করেছে পরিশ্রমের কল্যাণী। মৌমাছি ও পিপীলিকা ভবিষ্যৎ সুখের কি পরিশ্রম করছে।
আরো পড়ুনঃ মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা
মন্তব্যঃ ভাগ্যোন্নোয়ন ও জাতির কল্যাণে আমাদের নিরালস প্ররিশ্রম করা অবশ্যই কর্তব্য।
লেখকের মন্তব্য - পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ
আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ উপরের অংশটি সকল শ্রেণীর জন্য এবং নিম্নলিখিত ভাব সম্প্রসারণটি বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে আপনি লিখতে পারেন অথবা আপনি সকল শ্রেণীর জন্য নিচের ভাব সম্প্রসারণটিও ব্যবহার করতে পারেন। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিপি করি আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ করে থাকি তাই এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটির নাম মনে রাখুন এরপর সেটি সার্চ করুন এরপর আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে নিন।
ধন্যবাদ
😊