শিষ্টাচার রচনা SSC JSC HSC

নমস্কার এবং অন্যান্য ধর্মের প্রতি আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনি কি শিষ্টাচার রচনা খুঁজছেন? আপনি যদি শিষ্টাচার রচনা খুঁজে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। পরীক্ষায় খাতায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে হলে শিষ্টাচার রচনা ভালো হবে লিখতে হবে সাজিয়ে গুছে লিখতে না পারলে আপনি কখনোই চেষ্টা আলোচনা লিখে সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে পারবেন না।
শিষ্টাচার রচনা
আপনার কথা চিন্তা করে আমি আজকে শিষ্টাচার রচনাটি তুলে ধরছি আপনার সামনে। নিম্নলিখিত শিষ্টাচার রচনাটি লিখে আপনি খুব সহজেই সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে পারেন। কারণ আপনাদের কথা চিন্তা করেই আমি এই শিষ্টাচার রচনাটি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছি যে আপনার সর্বোচ্চ নাম্বার নিশ্চিত করতে পার।

সূচিপত্রঃ শিষ্টাচার রচনা

ইভিভিটিভি

শিষ্টাচার রচনা

ভূমিকাঃ মানব জীবনে যেসব গুনাবলী চরিত্রকে সুন্দর আকর্ষণীয় ও গৌরবান্বিত করে তোলে তার মধ্যে শিষ্টাচার বিশেষ গুরুত্বের অধিকারী। মানব চরিত্রের সবচেয়ে বড় গুণী হচ্ছে এই শিষ্টাচার। এটি ব্যক্তিজীবনের শোভা বা অলংকার স্বরূপ।

বিনয়ী ও ভদ্রতা দ্বারা গোটা জগতকেই বশীভূত করা যায়। সম্ভাষণ প্রীতি স্নিগ্ধ মধুর আচরণ হৃদয়কেও বিগলিত করে। তাইতো বলা হয়, শিষ্টাচার পরিমার্জত রুচিন পরিচায়ক। জীবনকে বিশিষ্ট রূপে স্থানের জন্য শিষ্টাচার বা সুন্দর আদব-কায়দা বিকল্প নেই।
কবি শেখ সাদী বলেছেন-
” বিনয় উন্নতিপথে প্রধান সোপান
বিনয়ে মানব হয় মহামহীয়ান।
মধুর ভাষায় কাজ হবে সফল,
তিক্তভাষী পাবে মনে বেদনা কেবল।”

শিষ্টাচার কিঃ ‘শিষ্ট’ কথাটির অর্থ সুশীল, ভদ্র বা বিনয়ী। সভ্য ও ভদ্র ব্যক্তি লোক সমাজে চলাফেরা, কথাবার্তায়, আচার-আচারণে যে শালীনতার বা সৌজন্যতার পরিচয় দেয় তাকেই শিষ্টাচার বলে। মানুষের বেশভূষাা, রুচি, নীতি, আদর্শক এসবের মাধ্যমে যখন ৈসৌজনন্য বা শালীনতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তখন তাতে শিষ্টাচার আছে বলে বিবেচনা করা হয়। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব।

সমাজের অপারাপর মানুষের সঙ্গে তার আছে সম্পর্ক। সমাজে বসবাস করার জন্য তাকে নানা রকম মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। পারিবারিক শিষ্টাচারের মাধ্যমে পারস্পরিক আচরণের সুষ্ঠু রুচিবোধ অভদ্রতা নম্রতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেতে মানবিক সম্পর্ক সুন্দর ও নিবিড় হয়ে ওঠে। আদব কায়দা সম্পন্ন ব্যক্তি সমাজে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হন এবং তিনি তার এই মহৎ বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারেন।

ছাত্র জীবনে শিষ্টাচারঃ ছাত্র জীবনের শিষ্টাচার জীবনকে দেয় সৌরভ, কমনীয়তা আর চলার পথকে করে সুখম, সুন্দর ও সুনির্দিষ্ট। যার মধ্যে এই গুণের সমাবেশ ঘটেছে, জীবনের উদ্দেশ্য কে সার্থকতা এই মন্দিত করা তার পক্ষে অপেক্ষাকৃত সহজ। তাইতো ছাত্র জীবনের শিষ্টাচারের গুরুত্ব বিকাশোন্মুখ হওয়ার মতো।

আবহাওয়া না পেলে করি যেমন প্রস্ফুটিত হয় না, তেমনি শিষ্টাচার বা সৌজন্যবোধ না থাকলে ছাত্র জীবনের প্রকৃত আদর্শ ও ব্যর্থ হয়। কোন ছাত্র সেই যতই মেধাবী হোক, যদি বিনিময়ী ও ভদ্র না হয়, তবে সে পরিবার, সমাজ তাথা দেশের কলংকার স্বরূপ। উদ্বুদ্ধ ও দূরবীনত ভালো ছাত্র অপেক্ষা ভদ্র, রুচিশীল ও বিনয়ী অতি সাধারণ ছাত্র ও দেশের জন্য কল্যাণকর। ছাত্র জীবনে অন্যায় ও অসত্যের পথে গেলে ভবিষ্যৎ জীবনে সেখান থেকে ফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

রাজনৈতিক অঙ্গনে শিষ্টাচারঃ বিশ্বের বর্তমান দ্বন্দ্ব বৃক্ষুদ্ধ ও প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে চলছে ক্রমাগত চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। রাজনৈতিক দলসমূহ একে অপরকে প্রতিরোধ প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে পরস্পরের বিরুদ্ধচারণে লিপ্ত। কেউ কেউ সহ্য করতে পারেনা, একের ভালো অন্য দেখতে পারেনা। সবাই প্রতিযোগিতার পদলতি করে উপরে উঠতে চায়।

এটি করে রাজনৈতিক পরিবেশ কলুষিত হয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের দেশের ভাষা মূর্তি ও বিনষ্ট হয়। এ কারণে রাজনৈতিক অঙ্গনে শিষ্টাচার শিক্ষা ও তার প্রয়োগ একান্ত জরুরী। রাজনৈতিক দলসমূহের পরস্পর পরস্পরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা উচিত, একে অপরকে আদর্শকে সম্মান দেখানো উচিত।

শিষ্টাচার ও সমাজ জীবনঃ শিষ্টাচার ও সমাজ জীবন সম্পর্কিত। কারণ মানুষ সামাজিক জীব। সমাজ বর্তমানে কেউই স্বাধীন নয়, একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। তাই পরস্পর পরস্পরের প্রতি শিষ্টাচার প্রদর্শন করা জরুরি। অপরের সুবিধা অসুবিধা মতামত ও অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে চলায় শিষ্টাচারের লক্ষ্য।

দৈনন্দিন জীবনে শিষ্টাচারঃ মানুষ সব সময় একে অন্যের কাছ থেকে ভদ্র ব্যবহার আশা করে। সে কাঙ্খিত ব্যবহারের পরবর্তীতে ভদ্র চিত ব্যাবহার পেলে কখনো এটাকে সুনজড়ে দেখবে না। সমাজে সে হবে নিন্দিত। দৈনন্দিন জীবনে মানুষকে হাজারো ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হয়, ভাব বিনিময় করতে হয়, বিভিন্ন রকম কাজকর্ম আজান প্রদান করতে হয়।

সুতরাং জীবন চলার পথে মানুষের সাথে মার্জিত ও ভদ্র চচিত ব্যবহার করলে অনেক কঠিন কাজও সহজসাধ্য হয়ে যায়। মানুষ যখন মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করে উপযুক্ত সৌজন্যে রেখে আচার-আচরণ করে তখন তার উপর সন্তুষ্ট হয় এবং সে ওই ব্যক্তির সামগ্রিক চাহিদার যতটুকু পূরণ করা সম্ভব ততটুকু পূরণের এগিয়ে আসে। সুতরাং দলিল জীবনে শিষ্টাচার প্রদর্শন করলে সমাজে নিবিচ্ছিন্ন সুখ শান্তি বিরাজ করবে। একমাত্র শিষ্টাচারের অভাবে নানান ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং সমাজে নানান অঘটন ঘটে।

শিষ্টাচার অর্জনের উপায়ঃ আমাদের দেশে আজকাল অধিকাংশ লোকের আচরণ এই শিষ্টতা ও ভদ্রতা দেখা যায় না। তার শিষ্টাচারের অধিকারী হতে হলে অন্যান্য গুণের মতোই তার চর্চা প্রয়োজন। আদর্শ মানব চরিত্রের অন্যতম গুণ সৃষ্ট থাকে নিষ্ঠার সাহায্যে অর্জন করতে হয়। সংগ্রাম ভদ্রতা ও বিনিময়ে অর্জন বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও পরিপার্শ্বিকাত সাহায্য করে বটে, কিন্তু এর প্রধান শিক্ষালয় হচ্ছে পরিবার।

এটি শিশুকে তার মা-বাবা ভাই-বোন বায়োজ্যেষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের যেভাবে শিক্ষা দেবেন, তার সচরিত্র বিকাশ গুণগুলোও সেভাবে অর্জিত হবে। তাই তো মানুষকে সংগ্রাম ও মার্জিত রুচির অনুশীলন করতে হয়। এই পৃথিবীতে যারাই সফলতা ও কৃতিত্বের অবদান রেখে গেছেন, তারা সবাই বিনয়ী ও ভদ্র ছিলেন, অপরকে ভালোবেসে ছিলেন, তাই পৃথিবীর লোক তাদের আচরণ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।


উপসংহারঃ জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তুলতে চাইলে শিষ্টাচারের অনুবর্তিত হয়ে চলা আমাদের সবারই কর্তব্য। শিক্ষা ও শিক্ষা বিদেশি সংস্কৃতি অগ্রসন প্রতিনিয়ত সমাজ জীবন করেছে। আর এই সংকট থেকে উদ্ধার লাভের একমাত্র উপায় হচ্ছে শিষ্টাচারকে লালন করা। তার শিষ্টাচারের অনুশীলন করতে হবে ব্যক্তির জীবনে, আর এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে জাতীয় জীবনে। তবেই পাওয়া যাবে একটি উন্নত জাতি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র। কারণ, “The greatest ornament of an illustrious life is modesty and humanities."

লেখকের মন্তব্য

আমরা তখন আলোচনা করলাম শিষ্টাচার রচনা। আপনি উল্লেখিত উপলব্ধ রচনাটি লিখে যে কোন পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে পারেন। এই বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারণ প্রত্যেকের কমেন্ট আমরা রিভিউ করি। এই রকম আর গুরুত্বপূর্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিটি করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Anonymous
    Anonymous March 18, 2024 at 2:19 AM

    ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url