পদ্মা সেতু রচনা - স্বপ্নের পদ্মা সেতু রচনা ৫০০ / ১,৫০০ পয়েন্ট

বাংলাদেশের সব থেকে বড় সেতু হচ্ছে পদ্মা সেতু্। আর এই পদ্মা সেতু কে নিয়ে আলোচনা হতে পারে এটাই স্বাভাবিক। আপনি যদি পদ্মা সেতু রচনা বা স্বপ্নের পদ্মা সেতু রচনা খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা যেহেতু এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে পদ্মা সেতু নিয়ে খুব ভালোভাবে রচনা তৈরি করেছি,
পদ্মা সেতু রচনা
আপনি এই রচনাটি যে কোন পরীক্ষায় আসলে আপনি লিখতে পারবেন যেমন চাকরির পরীক্ষা অথবা যে কোন ক্লাসের পরীক্ষা। এই পদ্মা সেতু রচনাটি সকল শ্রেণীর এবং চাকরির পরীক্ষার জন্য। আপনি যদি পদ্মা সেতু রচনা লিখে অধিক নাম্বার পেতে চান তাহলে নিম্নলিখিত রচনাটি ভালভাবে আপনার মনে গেথে নিন।

সূচিপত্রঃ পদ্মা সেতু রচনা - স্বপ্নের পদ্মা সেতু রচনা

ইভিভিটিভি

পদ্মা সেতু রচনা - স্বপ্নের পদ্মা সেতু রচনা

পদ্মা সেতু

ভূমিকাঃ
নদীমাতৃক বাংলাদেশের সর্বত্র নদী পথ জালের মতো ছড়িয়ে আছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় আবহমান বাংলায় ২৩০টিরও অধিক ছোট বড় নদী রয়েছে। পদ্মা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী যার দীর্ঘ ৩৬৬ কিলোমিটার। আর এই পদ্মা নদীতেই খুব শীঘ্রই নির্মিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুটি নির্মিত হলে এটিই হবে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। পদ্মা সেতুর দ্বারা দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের অনুষ্ঠি জেলা রাজধানী ঢাকা সহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সাথে যুক্ত হবে।

পদ্মা সেতুর অবস্থানঃ
ভারতের হিমালয়ের গাঙ্গেত্রীয় হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভিতর দিয়ে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে পদ্মা নদী বাংলাদেশের প্রবেশ করেছে। নদীটির কুষ্টিয়া জেলার উত্তর থেকে প্রবাহিত হয়ে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার দৌলতদিয়া নামক স্থানে যমুনার সাথে মিলিত হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেলা এবং শরীয়তপুর জেলার মাঝে পদ্মা সেতুর অবস্থান মাওয়া ও জাজিরা পয়েন্ট। রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর দূরত্ব হবে ৩০ কিলোমিটার।


এক নজরে পদ্মা সেতুঃ
দেশের প্রথম দ্বিতল সেতু (উপরে সড়ক ও নিচের রেল)। বাংলাদেশের একক বা যৌথভাবে (সড়ক রেল) দীর্ঘতম সেতু। দক্ষিণ এশিয়ার ও দীর্ঘতম সেতু। দৈর্ঘ্য হবে 6.15 কিলোমিটার। অবস্থান হবে মাওয়া জাজিরা পয়েন্ট (মুন্সিগঞ্জ-শরীয়তপুর)। প্রস্থ হবে ১৮.১০ মিটার।

নির্মাণ ২৯০ কোটি ডলার, উভয় প্রান্তে সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার, নদীর শাসন ১৪ কিলোমিটার, ভূমিকম্প ও সহনশীল মাত্রা স্কেল ৯, সেতুর আয়ুকাল হবে ১০০ বছর, লেন ৪াট, পাইল সংখ্যা ২৬০ টি. নির্মাণ দ্রব্য ইস্পাত সড়ক ভায়াডাক্ট-৩.১৪৮ কি.মি রেল ভায়াডাক্ট ০.৫৩২ কি.মি। ভূমি অধিগ্রহন হবে ১,১২৪.৭৭ হেক্টর।

পদ্মা সেতুর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ
একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন হচ্ছে পর্দা। দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ নদীর দাবি এটি। এর প্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালে সেতু নির্মাণের স্থান ও প্রাক সম্ভবতা যাচাইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শ প্রতিষ্ঠানকে (BCL/RPT/NEDO) দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৯ সালের অক্টোবরের খসড়া প্রতিবেদন দেয়।

প্রতিবেদনে দুটি স্থানের কথা বলা হয় মাওয়া ও গোয়ালন্দ। মাওয়াকেই বেশি উপযুক্ত বলে প্রথম পদ্মা সেতু মাওয়া জাজিরা পয়েন্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতু ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

পরে নানান জটিলতার কাজটি থমকে যায়। এরপর যায়েট ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আবারো সমীক্ষা চালিয়ে মাওয়া-জাতিরা পয়েন্ট কে উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে। পরে উন্নয়ন সহযোগিতার অর্থায়নের সম্মত হলে ২০০৭ সালে একনেকে পদ্মা সেতু প্রকল্প টি পাস করা হয়।

পদ্মা সেতুর অর্থায়নঃ
পদ্মা সেতু প্রকল্পটি তিন বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল মেগা প্রকল্প। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের আগস্ট একনেকের বৈঠক ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার টাকা বে পদ্মা সেতু প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছিল। পরবর্তীতে নির্মাণ ব্যয় সংশোধন করে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা ধরা হয়। এতে অর্থায়নের জন্য ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় চারটি দাতা গোষ্ঠীর সাথে এগুলি হল।

দাতা--চুক্তি স্বাক্ষর--পরিমাণ (মার্কিন ডলার)
WB--২৮ এপ্রিল ২০১১--১২০ কোটি
ADB--৬জুন ২০১১--৬২ কোটি
JICA--১৮ মে ২০১১--৪০ কোটি
IDB--২৪ মে ২০১১--১৪ কোটি
মোটঃ ২৩৬ কোটি (মার্কিন ডলার)

অবশিষ্ট অর্থ বাংলাদেশ সরকারের বহন করবে। উল্লেখ্য, এই দাতা গোষ্ঠীগুলো পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ 2013 সালে ঋণশক্তি বাতিল করে দেয়। ফলে বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে চীনা কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে পদ্মা সেতু নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পদ্মা সেতুর অব কাঠামোঃ
পদ্মা সেতুটি হবে দ্বিতল এর উপর থাকবে সড়ক. নিচে থাকবে রেল। মূল সেতুটি হবে ৪ লেনের। টোল তোলার জন্য দুটি টোল প্লাজা থাকবে। উভয় পাশে 12 কি.মি দীর্ঘ সংযোগ সড়ক হবে। সেতুটি আয়ষ্কাল হবে ১০০ বছর। ইস্পাত দ্বারা নির্মিত সেতুটির পাইল হবে 268 টি। এর উপর দিয়ে গ্যাস লাইন. বিদ্যুৎ লাইন যাবে।

পদ্মা সেতু ও দক্ষিণবঙ্গের উন্নয়ন সম্ভাবনাঃ
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের ৪৭ ৩0 শতাংশ লোক কৃষির সাথে সরাসরি জড়িত। দেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে ব্যাপক হারে কৃষিকার্য সংঘটিত হলেও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে কৃষকরা এসব দ্রব্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার জন্যই গড়ে ওঠেনি শিল্প-কর কারখানা। সে তো নির্মিত হলে এ অঞ্চলে শিল্প উন্নয়ন সহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপখারে বেড়ে যাবে।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ
দেশের জনগোষ্ঠীর এক বৃহত্তর অংশের বসবাস দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে। বিপুলের জনগোষ্ঠীর যাওয়া আসার জন্য মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট এবং পুটুরিয়া-দৌলতদিয়া হিমশিম খায়। এটি দীর্ঘ যানজট, যাত্রী দুর্ভোগ, ব্যবসা-বাণিজ্যের চরম ক্ষতিসাধন হয়। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার অপার খুলে যাবে।

দরিদ্র দূরীকরণঃ
পদ্মা সেতু পরোক্ষভাবে দরিদ্র দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে। এই প্রজেক্ট অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। ফলে প্রতিবছর ০.৮৪ শতাংশ দরিদ্র নিদর্শন হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

শিল্পায়নঃ
শিল্পায়নের পূর্ব শর্ত হলো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অপকাঠামো। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণবঙ্গে শিল্পায়নের ব্যাপক গতি বেড়ে যাবে। ইতোমধ্যেই দেশীয় বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান পর্দার উপর শিল্প স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাণিজ্য বৃদ্ধিঃ
দেশের দুটি প্রধান সমুদ্র বন্দর মংলা ও চট্টগ্রাম। মংলা বান্দরবনের সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের উপর নির্ভর করতে হয় বেশি। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে বেনাপোল স্থল বন্দর ও মংলা বন্দরের মাধ্যমে অধিক বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাবে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও অভ্যন্তরে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণীয় পদ্মা সেতুর ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।

জিডিপি বৃদ্ধিঃ
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জিডিপির অবস্থান দাঁড়াবে ১.২ শতাংশ। যদি এভাবে জিডিপি বৃদ্ধি পায় তাহলে 2021 সালের মধ্যে বাংলাদেশের মধ্যে আয়ের দেশে পরিণত হবে।

বাজার সৃষ্টিঃ
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ৩০ মিলিয়ন লোকের বসবাস। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে এই বিপুল জনগোষ্ঠীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এই ব্যাপক মানুষের চাহিদা মেটাতে সৃষ্টি হবে নতুন বাজার।

যানবাহনের চলাচল বৃদ্ধিঃ
জাইকার সমীক্ষা মতে, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে প্রতিদিন ২১ হাজার ৩০০ যানবাহন যাতায়াত সক্ষম হবে আর ২০২৫ সালে এর পরিবারকে দাঁড়াবে 41 হাজার 600 তে। দেশের ১.২ শতাংশ জিডিপিতে আঞ্চলিক জিডিপি ৩.৫ শতাংশ।

জাতীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্কঃ
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৪ মতে মোট জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য 35038 কি.মি আঞ্চলিক মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৪২৭৬ কি.মি আর রেলপথের দৈর্ঘ্য ২,৮৩৫ কি.মি। পদ্মা সেতুর নির্মাণ হলে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে তেমনি ঢাকা বিভাগের পাঁচটি জেলা, খুলনার ১০ জেলা এবং বরিশালের 6 জেলার জাতীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্ক যুক্ত হবে।

উপসংহারঃ
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সোনালী স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু শনি দক্ষিণ বঙ্গের সাথে ঢাকার সংযোগ নয় বরং উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশ সমূহ এশিয়া হাইওয়ের নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সৃষ্টি করবেভ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে অনেক দূর।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কিত কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর

স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কিত কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর আপনি দেখে নিতে পারেন যেগুলি আপনার অনেকটাই কাজে আসতে পারে। নিম্নলিখিত প্রশ্ন এবং উত্তরগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • পদ্মা সেতুর উদ্বোধন -২৫ জুন ২০২২
  • পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন -বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • পদ্মা সেতুর যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় - ২৬ শে জুন ২০২২
  • অবস্থান-মাওয়া (মুন্সিগঞ্জ)-জাজিরা(শরীয়তপুর)
  • সেতুর দৈর্ঘ্য-6.15 কি:মি:।
  • সেতুর প্রস্থ -১৮.১০ মিটার।
  • মূল সেতুর স্প্যান -৪১ টি।
  • পিলার সংখ্যা-৪২ টি (নদীতে ৪০টি)।
  • পদ্মা সেতুর ধরন - দ্বিতল বিশিষ্ট (উপরের অংশ সড়ক এবং নিচে রেলপথ)।
  • পদ্মা সেতু ল্যাম্পপোস্ট -৪১৫ টি।
  • পদ্মা সেতু সংযোগ করে-২১ টি জেলাকে।
  • পাইল - ২৯৪ টি (262 টি স্টিল ৩২ টি কংক্রিট)।
  • প্রতিটি পাইল এর পরিধি-৩ মিটার।
  • প্রতিটা পাইল মাটির নিচে-১০১-১২৫ মিটার।
  • সেতুর উচ্চতা 16.6 মিটার।
  • পানির স্তর থেকে উচ্চতা-৬০ ফুট।
  • পাইলিং গভীরতা-৩৮০ ফুট।
  • সেতুতে লেনের সংখ্যা- ৪টি।
  • সেতুর আয়ুষ্কাল- ১০০ বছর
  • স্কেল সেতুর ভূমিকম্প সহনীয় মাত্রা - ৯ মাত্রা।
  • ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন- ৪ জুলাই ২০০১।
  • সম্ভাব্যতা যাচাই - ২০০৩-২০০৫।
  • পূর্ণাঙ্গ নকশা প্রণয়ন। ২০০৯--২০১১।
  • বিশ্ব ব্যাংকের সাথে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর- ২৮ এপ্রিল 2011।
  • দুর্নীতির অভিযোগ বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ চুক্তি বাতিল করে- ২৯ জুলাই ২০১২।
  • নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা- ৫ জুলাই ২০১২।
  • মূল সেতুর কার্যদেশ প্রধান-২৬ শে নভেম্বর ২০১৪।
  • নির্মাণ কাজ শুরু- ৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
  • পরীক্ষামূলক পাইলিং শুরু- মার্চ ২০১৫।
  • সেতুর প্রথম স্পেন সংযোজিত হয়- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ (৩৭ ও ৩৮ নং পিলারের উপর)
  • পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়- ১০ ডিসেম্বর ২০২০।
  • পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান (৪০তম) সংযোজিত হয়- ১০ ডিসেম্বর ২০২১ (১২ ও ১৩ নং পিলারের উপর)।
  • নির্মাণ কাজ শেষ হয় - ২০২২ সালে।
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূলত নির্মাণ কাজ ও নদী শাসন কাজের উদ্বোধন করেন- ১২ ডিসেম্বর ২০১৫।
  • নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান- চেনা কোম্পানির চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
  • নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়-১৭ জুন ২০১৪।
  • নির্মাণ পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের নাম- করিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন (দক্ষিণ কোরিয়া)
  • নদী শাসন প্রতিষ্ঠানের নাম- সিনেমা হাইড্রোক কর্পোরেশন (চীন)।
  • সেতু ডিজাইনার [ নকশা]- Maunsell AECOM ট্রাস্ট ব্রিজ।

আমাদের শেষ কথা

আমরা তখন আলোচনা করলাম পদ্মা সেতু রচনা বা স্বপ্নের পদ্মা সেতু রচনা এবং সাথে পদ্মা সেতু নিয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারণ আমরা প্রতীকের কমিটি রিভিউ করি।

এরকম শিক্ষামূলক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট আমরা প্রতিদিন প্রকাশ করে থাকি যা আপনার কাজে আসতে পারে। নতুন নতুন দিনে নতুন নতুন আপডেট পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ থাকার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Anonymous
    Anonymous March 14, 2024 at 9:53 PM

    ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url