প্রবন্ধ লেখার নিয়ম জেনে প্রবন্ধ রচনা লিখুন সঠিক নিয়মে

আপনি কি প্রবন্ধ লেখার নিয়ম খুঁজছেন? আপনি কি প্রবন্ধ লেখার নিয়ম জানতে চান। আপনি যদি প্রবন্ধ লেখার নিয়ম না জেনে থাকেন আপনি যদি প্রবন্ধ লেখার নিয়ম জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমি আপনাদেরকে এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে জানাবো কিভাবে আপনি একটি প্রবন্ধ লিখতে পারেন সঠিক নিয়মে।
প্রবন্ধ লেখার নিয়ম
প্রবন্ধ রচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমলের শিক্ষার্থীদের জন্য। কারণ প্রবন্ধ লেখার মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক ভালো নাম্বার পাওয়া যায় আর প্রবন্ধ প্রত্যেকটা পরীক্ষায় এসে থাকে। তাই আমাদেরকে ভালো নাম্বার পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে প্রবন তো রচনা লেখার নিয়ম। আমরা যদি সঠিকভাবে প্রবন্ধ লেখার নিয়ম না জানি তাহলে আমরা কখনই পরীক্ষায় ভালো নাম্বার তুলতে পারবো না।
ইভিভিটিভি

প্রবন্ধ রচনা বিষয়ক প্রাথমিক আলোচনা

রচনা একটি অর্থ সৃজন। এই উদ্দেশে যা কিছু সৃষ্টি নির্মাণ গঠন বা উৎপাদন করা হয় তাই রচনা। সাধারণত রচনা বলতে কোন বিষয়বস্তু অবলম্বনে রচিত লেখকদের বুদ্ধিবৃত্তি মূলক গদ্য রীতির এক ধরনের সাহিত্য সৃষ্টিকে বোঝায়। ইংরেজি Essay শব্দটি বাংলায় রচনা অর্থের ব্যবহৃত হয়।

কল্পনা ও বোধশক্তিকে আশ্রয় করে লেখক যে আত্মসচেতনামূলক নীতি দীর্ঘ সাহিত্যরূপে সৃষ্টি করেন, তাকে প্রবন্ধ বলে উল্লেখ করা যায়। সংস্কৃতিতে অবশ্য প্রকৃষ্ট রূপে বন্ধন যুক্ত রচনাকে প্রবন্ধ বলে আখ্যা দেওয়া হতো এবং সেই প্রবন্ধ গত দুইভাবেই লেখা চলতো। তবে বর্তমানে প্রবন্ধ বলতে সমৃদ্ধ মনশীল গোত্র রচনাকে বুঝায়।

প্রবন্ধ রচনা শ্রেণীবিন্যাস

বিষয়বস্তু অনুসারে প্রবন্ধ কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ ১, বর্ণনামূলক প্রবন্ধ (Descriptive Essay) 2, চিন্তা মূলক প্রবন্ধ ( Formal Essay ) 3, ব্যক্তির অনুভূতিমূলক প্রবন্ধ ( Individual Essays ) প্রথমটিতে বিষয়বস্তুর প্রাধান্য। ে লেখকের বিশিষ্ট মনোভাব প্রাধান্য লাভ করা।

আবার, কোন কোন রচনা বিট প্রবন্ধ কে ১. তন্ময় বাবস্তনিষ্ঠ প্রবন্ধ ও ২. মন্ময় বা ব্যক্তিগত প্রবন্ধ এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করেন। বিষয়বস্তুর প্রাধান্য স্বীকার করে যেসব প্রবন্ধ রচিত হয়, সেগুলোকে বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ বলা হয়। লেখকের জ্ঞানের পরিধি বা অন্যান্য সাধারণ চিন্তাশীলতা এই শ্রেণীর প্রবন্ধ রূপায়িত হয়।

আবার যেসব প্রবন্ধ লেখকের ব্যক্তি হৃদয় প্রধান হয়ে দেখা যায়, সেগুলোকে ব্যক্তিগত প্রবন্ধ বলা হয়। বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ লেখকের বিচার বুদ্ধি ও চিন্তাশীলতা প্রাধান্য পায়। এ জাতীয় প্রবন্ধে লেখকের অনুভূতি স্নিগ্ধ সরল হাস্য মধুর আত্ম সংস্পর্শ প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠে্ লেখক নিজেকে এখানে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করেন,

পাঠকের সঙ্গে অভিনয় হয়ে একান্ত আপনজনের মত নিজের কথাটি বলে যান অন্যের অবগতির জন্য। আর এই বস্তু নিষ্ঠুর রচনায় কেই প্রবন্ধ বলে অভিহিত করা হয়। বস্তুপা বিষয়ের পরিচয় মত বিশ্বের উপস্থাপনা ও আলোচনা তথ্য ও তথ্যের আবিষ্কার, বৃদ্ধির প্রকাশ, চিন্তা শক্তির অভিব্যক্তি সবকিছু প্রবন্ধের আলোচিত বিষয়।

আরো পড়ুনঃ Bangabundhu paragraph

বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধকে আরো কয়েকটি উপবিভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেমনঃ

১. বিবৃতিমূলক প্রবন্ধঃ এই জাতীয় প্রবন্ধে কাহিনী বা ঘটনার বিবরণ স্মৃতিচারন মূলক ইত্যাদি বিষয়বস্তুর রূপায়িত হয়ে ওঠে।

২. বাক্ষামূলক প্রবন্ধঃ কোন বিশেষ মত, তত্ত্ব বা তথ্যকে ব্যাখ্যা মূলকভাবে বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে এই জাতীয় প্রবন্ধে।

৩. বর্ণনামূলক প্রবন্ধঃ কোন স্থান বস্তু বা দৃশ্যের সচিত্র বর্ণনা প্রকাশ পায় বর্ণনামূলক প্রবন্ধ।

৪. বিতর্কমূলক প্রবন্ধঃ কোন মতবাদকে বিশ্লেষণ করা ও এর পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করা হয় এই জাতীয় প্রবন্ধে।

৫. চিন্তা মূলক প্রবন্ধঃ কোন বিশেষ দৃষ্টিতে কোন প্রসঙ্গের আত্ম সচেতন মূলক উপলব্ধি চিন্তামূলক প্রবন্ধের স্থান পায়।

৬. তথ্য মূলক প্রবন্ধঃ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নানা প্রকার তথ্য সর্বহাহের মাধ্যমে তথ্যমূলক প্রবন্ধ রচিত হয়।

৭. নীতি কথার আলোচনা মূলক প্রবন্ধঃ প্রচলিত নীতি কথা আলোচনা ও সমালোচনা এ জাতীয় প্রবন্ধের স্থান পায়।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ রচনার এই শ্রেণীভাতটি যথেষ্ট নয়। বিভিন্ন পণ্ডিত কোণের মতবাদ সাপেক্ষে এর পার্থক্য পরিখিত হয়।

প্রবন্ধ লেখার নিয়ম - প্রবন্ধ লেখার কিছু অসাধারণ নিয়ম নীচে উল্লেখ করা হলো

১. ভূমিকা হল প্রবন্ধের প্রবেশক অংশ। এটি সাধারনত এক অনুচ্ছেদের হয়। এই অংশে প্রায়ই মূল্য আলোচনার ইঙ্গিত থাকে।

২. উপসংহার হলো প্রবন্ধের সমাপ্তি অংশ। প্রবন্ধের প্রকৃত অনুযায়ী এখানে সাধারণত ফলাফল সম্ভাবনা, সীমাবদ্ধতা প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি স্থান পায়।

৩. প্রবন্ধের মূল অংশ একাধিক অনুচ্ছেদ বিভক্তি হয়ে থাকে। অনুচ্ছেদ গুলো যাতে সমরূপ থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। মনে রেখে অনুচ্ছেদ গুলোর সমান রূপকথা ঠিক করা যেতে পারে।

৪. বিশেষ করে বর্ণনামূলক ও চিন্তামক প্রবন্ধের বেলায় অনুচ্ছেদ গুলোর আলাদা শিরোনাম থাকে। এগুলোর নাম অনুচ্ছেদ শিরোনাম। ৎ এসব শিরোনামের পর কোলন যতি ( : ) দিয়ে লেখা শুরু করা যায়।

৫. হওয়া উচিত সহজ সরল প্রাণানজল।

৬. আর সময় প্রবন্ধের শিরোনাম কথা মনে রাখতে হয়। তাতে প্রবন্ধের মাধ্যমে অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা প্রবেশ করতে পারেনা।

৭. উদ্ধৃত ব্যবহার সতর্ক থাকা উচিত। অপরিহার্য না হলে উদ্ধৃত ব্যবহার করা ঠিক নয়্ বিশেষভাবে বাংলা প্রবন্ধের মধ্যে অন্য কোন ভাষ উদ্ধৃত বর্জনীয়।

৮. প্রবন্ধের নির্দিষ্ট কোন আয়তন নেই। এমনকি এর অনুচ্ছেদ সংখ্যা অনির্দিষ্ট করা যায় না। তবে নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য শব্দ সংখ্যা কমবেশি এক হাজারের হতে পারে। এরকম ভাবে ক্লাস ভিত্তিক শব্দের কমবেশি হতে পারে।


৯. প্রবন্ধ রচনা সময় অবশ্যই আপনার মাথায় খেয়াল রাখতে হবে প্রথমে ভূমিকা লিখতে হবে এরপর মূলভাব দেখতে হবে এরপর উপসংহার। অথবা আপনি প্রথমে ভূমিকা লিখতে পারেন এরপর মূলভাব সমস্যা সমস্যার সমাধানের প্রস্তাবনা এবং উপসংহার লিখে একটি প্রস্তাবনা শেষ করতে পারেন।

প্রবন্ধ লেখার নিয়ম ভিডিওর মাধ্যমে

আমাদের শেষ কথা - প্রবন্ধ লেখার নিয়ম

প্রবন্ধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই বিষয়টি বা এই প্রশ্নটি সব পরীক্ষায় আসে এবং প্রত্যেকটা পরীক্ষায় আমাদেরকে প্রবন্ধ লিখতে হয়। আপনি উপরোক্ত নিয়মটি দেখে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী একটি প্রবন্ধা লিখলে খুব সহজে আপনি পরীক্ষায় কিংবা যেকোনো জায়গায় ভাল নাম্বার পেতে পারেন। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে

কিংবা কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্টের রিপ্লাই করি। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন কারণ আমরা প্রতিদিন এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে থাকি এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url