আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত ভাষার উদাহারণপাঠক আপনি কি বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক ভাষা জানতে জানতে আগ্রহী? প্রিয় পাঠক আপনি যদি বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক ভাষা জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা আলোচনা করেছি।

যারা জানতে চান বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক ভাষা সম্পর্কে। তাদের জন্য আমি আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করেছি। চলুন তাহলে বেশি কথা না বলে বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক ভাষা জেনে নেওয়া যাক।

কে পাঠক আজকে আমরা মজার মজার বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক ভাষা সম্পর্কে জানতে পারব। এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে কোন জেলার ভাষা কি রকম আপনি সেই ধারণা নিতে পারবেন। বাংলাদেশের যেহেতু বর্তমানে 64 টি জেলা আজকে আমি এই 64 টি জেলার আঞ্চলিক ভাষা তুলে ধরব আপনার সামনে। তো চলুন বন্ধুরা বেশি দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

ঢাকা জেলার ভাষা প্রায় প্রত্যেকেই জানতে চান এর মূল কারণ হচ্ছে ঢাকা আমাদের বাংলাদেশের রাজধানী আর এখানে বাইরের দেশ থেকে কিংবা পুরো বাংলাদেশ থেকে ঢাকাতে কাজ করার উদ্দেশ্যে কিংবা বিভিন্ন কাজে যেয়ে থাকেন। ঢাকা জেলার আঞ্চলিক ভাষা নিম্নরূপ।

ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াইবেন বেশি পড়াইবেন আপনার পোলা জানতে জানতে জানোয়ার হয়ে যাবো গা।

প্রে পাঠক ফরিদপুর জেলার ভাষা অনেকের বুঝতে অসুবিধা হবে তাই আমি শুদ্ধ ভাষা এবং ফরিদপুর জেলার ভাষা দুইটি আলোচনা করছি আপনার বোঝার সুবিধার্থে। জামা গায়ে দাও লুঙ্গি পরো। এই শুদ্ধ ভাষাটির ফরিদপুর জেলার আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে বলে ঠিক এরকম হবে। পেরন গায়ে দাও তখন পিনদো।

শুদ্ধ ভাষার থেকে টাঙ্গাইল জেলার আঞ্চলিক ভাষার অন্যরকম হয়ে থাকে ঠিক নিম্নলিখিত ভাষাটি হল টাঙ্গাইল জেলার আঞ্চলিক ভাষা।

গোপালগঞ্জ জেলার আঞ্চলিক ভাষা হলো ইস বোদা কলি হবেনি? আমি গেছিলাম না কি? কলি হয় না।

এই তুমি না ঢাকার ছেলে এই রায় আমরা মানি না এখান থেকে চলো। এই ভাষাটির গোপালগঞ্জ জেলার আঞ্চলিক ভাষা হল এ তুই ঢাকার ছোল না কাটা বারার সালিস আমরা মানি না তুই এটি আয় তুই আইগে এটি আয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা = ফইনি ঘরের ফইনি তুই আমারে চিনস তোরে মাটির নিচে গাইরা ফাইলাবাম।

গাজীপুর জেলা = আমাগোা ভাষা বাংলা

মাদারিপুর জেলা = আমাগো ভাষার লগে বরিশাল ভাষ অনেকটাই মিল আছে।

মানিকগঞ্জ জেলা = মা কেমন আচান।

মুন্সিগঞ্জ জেলা = বরশি তে একটু খরচ হয়না আদারে একটু খরচ কম।

রাজবাড়ী জেলা = শালদার বিলে যায়য়া দেহি মেলা মাানষির ভীর পলোয় পলোয় ঢেইহা গেচে শালদা বিলের তীর।

শরীয়তপুর জেলা = মাজামুজা ভাইংগা যাই একদিন যে যায় হেই পরে আর ঘুইরা আসে না।

নারায়ণগঞ্জ জেলা = ভাইগা বিয়ে করা।

নরসিংদী জেলা = আমরা না চিনচেন নি না চিনলে সমস্যইসা না।

চট্টগ্রাম জেলার ভাষা = তোঁয়ার লাইও আঁর ফেড ফুরের আঁতে তুয়ার বেশি গঅঁম লাগে।

কুমিলা জেলার ভাষা = হোওর আব্ব আপনার মাইয়াই তো আমার বউ।

নোয়াখালি জেলার ভাষা = তাইলো হোন ওইনে মাডি শক্ত আছে তককা দিইলেই মরি যাইবা।

রাঙ্গামাটি জেলার ভাষা = মাইস দিয়ে হাই মাইস দিয়ে। হয় হয় = হোই হোই।

বান্দবন জেলার ভাষা = আমি পচিস টাকা রাখচি দা দা পচিস টাকা কোরে।

খাগরাছঢ়ি জেলার ভাষা = খেলা পাড়া করতে গিইয় তো কষ্ট করি আরকি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাষা = বাইত যাস না কেরে।

চাঁদপুর জেলার ভাষা = বৌমা কতটি হাপেইচো।

উপরোক্ত কয়টি জেলা ছাড়া আরো অন্যান্য জেলা রয়েছে যে জেলাগুলোর ভাষা আলাদা হয়ে থাকে। আপনি যদি এরকম আলাদা অন্য কোন জেলার ভাষা জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আমরা এতক্ষণ জানলাম বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক ভাষা।আপনি যদি আরও অন্য কোন জেলার ভাষা সম্পর্কে জানতে চান আমাদেরকে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেটি রিভিউ করি এবং আপনার কমেন্ট দেখে আমরা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। এরকম যদি আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।