বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় - কত বছর বয়স পর্যন্ত দাঁত পড়ে
বাচ্চাদের নাত তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং সঠিক নিয়মে সঠিকভাবে দাঁত না তুলে বাচ্চার অনেক কষ্ট হতে পারে। কে পাঠক আপনাদের কথা চিন্তা করে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় এবং কত বছর বয়স পর্যন্ত দাঁত পড়ে সেই সম্পর্কে আলোচনা করছি। আপনি যদি বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় বা কত বছর বয়স পর্যন্ত দাঁত পড়ে তার বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন।
প্রিয় পাঠক আপনার যদি কোন পরিচিত বাচ্চা থেকে থাকে অথবা আপনার যদি বাচ্চা থাকে তাহলে সেই বাচ্চার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। এবং বাচ্চার সুরক্ষা রাখার জন্য বাচ্চা সকল প্রকার যত্ন নিতে হবে। অনেক ধরনের যত্নের মধ্যে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাচ্চাদের দাঁতের প্রতি খেয়াল না দিলে পরবর্তীতে বাচ্চার তাদের সমস্যা হতে পারে। আপনাদের কথা চিন্তা করে আমি আজকের এই নিবন্ধনটি তৈরি করেছি চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় - কত বছর বয়স পর্যন্ত দাঁত পড়ে
ইভিভিটিভি
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ
বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে জানার আগে প্রথমে আমরা জানবো বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে। তাহলে আপনার খুব সহজেই নির্বাচন করতে পারবো কোন জাতটি তোলার যোগ্য। বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমাদেরকে জানতে হবে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ। আমরা যদি এই বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ না জানি তাহলে দাঁত তোলার সময় অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাঁত ওঠার সময় নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। আপনি যদি নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি দেখে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন এগুলি হল বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ।
দাঁত ব্যথাঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় হলে বাচ্চাদের দাঁত ব্যথা করতে শুরু করে। তখন বাচ্চারা সেই দাঁতের ব্যথায় কান্নাকাটি করে। অথবা অতিরিক্ত দাঁত ব্যথা না হয়ে হালকা দাঁতে ব্যথা করা কিট কিট করা। যদি এমনটা হয় তাহলে সে বাচ্চাটি আপনাকে অবশ্যই করবে কারণ সে ততক্ষণে প্রায় কথা বলতে শিখে যায়। অবশ্যই আপনি যখন দেখবেন বাচ্চা বারবার দাঁতে হাত দিচ্ছে তখন অবশ্যই আপনি কেউ বুঝে নিতে হবে বাচ্চার দাঁতের ব্যথা অথবা বাচ্চার মুখে কোন সমস্যা হয়েছে অবশ্যই সব সময় আপনাকে বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দাঁতের রং পরিবর্তনঃ বাচ্চার দাঁত ওঠার সময় হইলে বাচ্চার দাঁতের রং পরিবর্তন হতে পারে। আপনি অবশ্যই বাচ্চার দাঁতের দিকে খেয়াল রাখবেন বিশেষ করে শুধু তাদের দিকে নয় বাচ্চার সবদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যেহেতু বাচ্চার সবদিকে খেয়াল রাখছেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চার দাঁত তোলার সময় হলে দাঁত ওঠার লক্ষণ আপনি দাঁতের রং পরিবর্তন হতে দেখবেন।
এবং তার সঙ্গে অবশ্যই দেখবেন বাচ্চার কোন দাঁত নড়াচড়া করছে নাকি। দাঁতের রং পরিবর্তন হওয়ার পর আপনি সেই দাঁতটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখবেন আসলে দাঁতের সমস্যা কি যদি রং পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে নড়াচড়া করে তাহলে বুঝবেন দাঁত ওঠার লক্ষণ।
দাঁত ব্যথা দাঁত নড়াচড়াঃ বাচ্চার দাঁত ওঠার লক্ষণ গুলির মধ্যে অন্যতম একটি দাঁত ব্যথা এবং গাথা নড়াচড়া করা। দাঁত ওঠার বয়স বা দাঁত ওঠার সময় হলে বাচ্চা যদি কোন ঠান্ডা জিনিস খায় অথবা কোন কিছু খায় তখন দাঁত ব্যথা করবেন। ব্যথার সঙ্গে যখন বাচ্চা তাতে হাত দেবে অথবা আপনি যখন বাচ্চার দাঁতে একটু হাত দিবেন তখন সেই তারটি নড়াচড়া করবে। দাঁত নড়াচাড় করলে বুঝবেন এটি দাঁত ওঠার লক্ষণ।
আরো পড়ুনঃ রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
উপরোক্ত এই কয়েকটি লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন বাচ্চার দাঁত ওঠার সময় হয়েছে।
বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার সিরাপ
বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় জানার পর আমরা যখন দাঁত তুলে তখন বাচ্চাদের দাঁত ব্যথা হতে পারে তাই আমাদের উচিত বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার সিরাপ সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা। আপনাদের আরো জানা উচিত বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার সিরাপ। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আপনার কেনই বা জানা উচিত বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার সিরাপ সম্পর্কে। এর মূল কারণ হলো আপনি যখন বাচ্চার দাঁত তুলতে যাবেন অথবা দাঁত তোলার পর বাচ্চাদের দাঁতে অথবা দাঁত তোলার আগেই বাচ্চাদের দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হতে পারে।
বাচ্চাদের এই দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার সিরাপ ব্যবহার করতে হবে। বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার সেরাফ হিসাবে আপনি নিম্নলিখিত সিরাপ গুলি ব্যবহার করতে পারেন।
- ফেব্রিনিল পি ১২৫ এ ম জি
- ২.৫ এমজি সিরাপ
- পিগান প্লাস সাসপেনশন
- নেকটার পি সিরাপ
বাচ্চার যদি রাত ব্যাথা হয় তাহলে বাচ্চাদের দাঁত বাঁচার সেরা হিসাবে আপনি উপরোক্ত কয়েকটি সেভাবে ব্যবহার করতে পারেন। সেরা ব্যাবহার করা আগে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিবেন তারপরেও ব্যবহার করবেন।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়
আমরা যেহেতু বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় জানব তারা কি আমরা জানবো বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কি। বাচ্চাদের দাঁত তোলা সহজ উপায় বা কত বছর বয়স পর্যন্ত দাঁত পড়ে তা জানার আগে আমাদেরকে জানতে হবে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কি কি। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় আপনাকে বিশেষ করে বাচ্চার থেকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। এর মূল কারণ হচ্ছে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার পর বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
যেমন পেট ব্যথা, ক্ষুধা লাগা, হালকা জ্বর, মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা এমন অবস্থায় অবশ্যই বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। উপরোক্ত কয়টা সমস্যা থাকলে অথবা দাঁত তোলার পর যদি বাচ্চার কোন হালকা কিংবা সামান্য পরিমাণের সমস্যা দেখা দেয় জ্বর পেট ব্যথা ক্ষুধা লাগা ইত্যাদি যেকোনো বিষয়েই যদি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অবশ্যই কোন ধরনের সমস্যা থাকলে অথবা মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা পড়লে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিবেন। মুখ থেকে লালা পড়লে অবশ্যই সুতি কাপড় দিয়ে আলতোভাবে শিশুর মুখ মুছে দিবেন সব সময় শিশুকে পরিষ্কার রাখবেন। দাঁত তোলার সময় কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অথবা দাঁত তুলার পর সামান্য পরিমাণ সমস্যা দেখা দিলে ডক্টরের পণ্য হওয়া খুবই জরুরী। তাই বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় কোন ধরনের সমস্যা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ডক্টরের পরামর্শ নিবেন।
বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমরা জানবো বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়। বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে অবশ্যই আপনি ডক্টরের শরণাপন্ন হবেন? শিশুর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকার কারণে অথবা বংশগত বিভিন্ন সমস্যার থাকার কারণে শিশুর দাঁত ওঠেনা। সে ক্ষেত্রে আপনি যত দ্রুত পারেন ডক্টরের পরামর্শ নেওয়ার ডক্টরের শরণাপন্ন হওয়ার। অনেক সময় বা অনেক বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয় কি এ বিষয়ে জেনে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকেই রয়েছে যাদের দাঁত ওঠেনা। এবং দাঁত ওঠে না তাদের পরবর্তীতে সময় দেখলে সহজেই দাঁত উঠে যায়। ওঠার ক্ষেত্রে কোন কোন বয়সের কিংবা কোন কোন বংশগত কারণে বয়স কম বেশি হতে পারে। যেমন কারো এক বছরের মধ্যেই পড়ে যায় আবার আরো দুধের দাঁত ৬ থেকে ১৫ মাস লাগে। এই সময় এর মধ্যে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে শুরু করেন। বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে
এই বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত কোন চিন্তা করার কারণ নেই। এরকম সমস্যা যদি দেখাতেই যে বাচ্চার বয়স অনেক বেড়ে গেছে কিন্তু দাঁত উঠছে না তখন আপনার উচিত ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া। নিম্নলিখিত কয়েকটি কারণ দেয়া হলো। নিম্নলিখিত এই কারণগুলির কারণে বাচ্চার দাঁত ওঠে না কিংবা দাঁত উঠলেও উঠতে দেরি হয়।
বংশগত কারণঃ কোন কোন ক্ষেত্রে বংশগত কারণে যেমন বাবা-মার কারণে দাঁত উঠতে দেরি হয়। এমন অবস্থা দেখা দিলে অবশ্যই আপনাকে ডঃ পরামর্শ নিতে হবে।
হরমোনের সমস্যাঃ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুর হরমোনের সমস্যা হলে বাচ্চার দাঁত উঠতে দেরি হয়।
ভিটামিনের অভাবঃ অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চাদের বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে দাঁত উঠতে দেরি হয় বা দাঁত ওঠেনা।
বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে অবশ্যই আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি যখন দেখবেন বাচ্চার দাঁত ওঠার বয়স হয়েছে কিন্তু দাঁত উঠছে না তখন আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অবশ্যই আপনি এই বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখবেন কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্রিটিকাল একটি বিষয়। না ওঠার উপরোক্ত কারণ গুলি ছাড়া আরও অনেক কারণ রয়েছে যে কারণে থাকতে পারে।
বাচ্চাদের দাঁত উঠে কত মাসে - বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়
অনেকেই রয়েছেন যারা জানেন না বাচ্চাদের দাঁত উঠে কত মাসে। সাধারণত বাচ্চাদের দাঁত ওঠে ছয় ৬ মাসে। আপনি যদি দেখেন বাচ্চাদের দাঁত উঠতে অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার উচিত ডক্টরের শরণাপন্ন হওয়া বা ডক্টরের সঙ্গে পরামর্শ করা।
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুর বয়স ১৫ মাসেরও বেশি হওয়ার পরও দাঁত ওঠে। তাহলে বুঝতেই পারছেন শিশুর এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই দাঁত উড়তে শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের মারি বা চাওয়ার কিংবা বিভিন্ন শারীরিক কিংবা বংশগত সমস্যা থাকার কারণে দাঁত উঠতে দেরি হয়।
কত বছর বয়স পর্যন্ত দাঁত পড়ে
শিশুদের দুধের দাঁত হয় ছয় মাস পর থেকেই। বিভিন্ন গবেষণায় কিংবা বিভিন্ন বাচ্চাদের দেখে বোঝা গেছে বাচ্চাদের সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত দাঁত পড়তে পারে। তবে বিভিন্ন বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন হতে পারে সব বাচ্চার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন টাইম থাকে না এই টাইমটি আলাদা হয়ে থাকে তবে বলা যায় সাত থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চার দাঁত পড়তে থাকে।
তবে আপনাকে আরেকটি কথা মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো বাচ্চাদের বেশি বয়স যদি 10 বছরে ঊর্ধ্বে 15 বছরের পুরতে হয়ে যায় সেক্ষেত্রে বাচ্চার দাঁত পড়ে গেলে আর ওঠার সম্ভাবনা থাকে না।
আর পড়ুনঃ মেয়েদের ব্রণ দূর করার ফেসওয়াশ
বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়
আপনাদের মধ্যে রয়েছেন যারা জানেন না কিভাবে বাচ্চাদের দাঁত তোলা যায়। অথবা অনেকে রয়েছে তুলতে ভয় করেন। সত্যি কথা বলতে বাচ্চাদের দাঁত তোলার সময় ভয় করার কোনো কারণ নেই বাচ্চারি ভাল। তবে সঠিকভাবে দাঁত না তুলতে পারলেন বাচ্চার অনেক ব্যথা অনুভব হতে পারে যা বাচ্চা সহ্য করতে পারেনা। আর আপনাদের কথা চিন্তা করে যারা জানে না কিভাবে দাঁত তুলতে হয় তাদের উপকারার্থে আমি নিম্নে কয়েকটি উপায় বলে দিলাম।
তার আগে অবশ্যই আপনাকে বলে রাখি ভালোভাবে নড়াচড়া ভালোভাবে বাচ্চার দাঁত ঢিল না হওয়া পর্যন্ত আপনি কখনোই বাচ্চা দাঁত তোলার চেষ্টা করবেন না এতে বাচ্চার কষ্ট হতে পারে। বাচ্চার দাঁত তোলার আগে অবশ্যই ভালোভাবে লক্ষ্য করবেন বাচ্চার দাঁতটা যেন অনেকটাই ঢিল ঢেলে বা নড়াচড়া করে একেবারেই যেন ঢিল ঢিল হয়ে যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
হাত দিয়ে দাঁত নড়াচড়াঃ দাঁত তোলার প্রথম উপায় হচ্ছে যদি নরমাল করে বা নড়াচড়া করে, সেই অবস্থায় ধাত্রীকে বেশি ভাবে নড়াচড়া করতে হবে এবং অনেক ঢিল করতে হবে। দাঁত ওঠার সময় হলে অবশ্যই প্রথমে আপনাকে সেই ধারটি নড়াচড়া করে অনেক দিন ঢিলে করে নিতে হবে। যখন দেখছেন তার তোলার সময় হয়েছে কিংবা দাঁত নড়ছেন তখন বাচ্চাকে বলতে হবে সে যেন সব সময় যে দাঁতটি নড়ছে কিংবা যে ওঠার বয়স হয়েছে সেই দাঁতটি হাতে নাড়াচাড়া করতে।
হাতে দাতা নড়াচড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সাবধান থাকতে হবে পরিষ্কার হাত ছাড়া যেন বাচ্চা কখনোই নড়াচড়া না করে। বাচ্চা যদি পরিষ্কার হাত ছাড়াই দাঁত নড়াচড়া করতে শুরু করে তখন তার বিভিন্ন রোগ হতে পারে এবং অসুস্থ হতে পারে শরীর খারাপ করতে পারে। দাঁত তোলার আগে দাঁত ভালোভাবে নড়ে নেওয়ার সময় হাতে নাড়াচাড়া করার সময় ভালো হবে লক্ষ্য রাখতে হবে হাতে যেন কোন ধরনের ময়লা না থাকে।
জিব্বা দিয়ে দাঁত ঢিল করাঃ বাচ্চাকে অবশ্যই বলবেন তার যে ধাত্রী নড়ছে সেই দাত থেকে যেন জিব্বা দিয়ে নাড়াচাড়া করে নাড়াচাড়া করে যেন সেই দাঁতটিকে ঢিল করে। বাচ্চাকে অবশ্যই ভালো হবে বলবেন যেন সে জিব্বা দিয়ে দাঁতটিকে নড়াচাড়া করে এবং এমনভাবে বুঝাবেন যেন বাচ্চা রা খুব সহজেই সেই দাঁতকে কেনড়াচাড়া করতে থাকে।
উপরোক্ত দুটি নিয়মে যখন আপনি দেখবেন দাঁত একেবারে ঢিলঢিল হয়ে গেছে দাঁত একা একাই খুলে পড়তে যাচ্ছেন তখন আপনি আপনার হাত দিয়ে হালকাভাবে একটু নড়াচাড়া করতে করতে শিশু যেন বুঝতে না পারে যেটা তা তুলতে যাচ্ছেন সে অবস্থায় হালকাভাবে নাড়াচাড়া করতে করতে জোরে দাঁতে ঠেলা দিবেন যাতে করে দাঁতটি উঠে আসে। এমনি কিছু আঞ্চলিক বা পুরাতন দাঁত তোলার উপায় বলে দেয়া হলো।
ফ্লায় বল পদ্ধতিঃ বাচ্চাদের দাঁত তোলার ক্ষেত্রে পুরনো ফ্লাই বল পদ্ধতির ব্যবহার করতে পারেন। যেমন প্রথমে আপনি দেখবেন বাচ্চার দাঁতে ভালোভাবে ঢিল হয়েছে কিনা। যদি দেখেন বাচ্চার দাঁত ভালোভাবে ঢিল হয়েছে এবং একটুখানি ডাক লেগে আছে মনে হচ্ছে যেন একাই খুলে পড়ে যাবে। সে অবস্থায় বাচ্চার দাঁতে শুধু ভাবতে হবে শুধু বেঁধে সেটি নড়াচড়া করতে হবে বা নিচের দিকে টানতে হবে।
বাচ্চার দাঁতে সুতো বাধার পর বাচ্চাকে বলতে হবে যেন সেই সেতুটি টানাটানি করে তাহলে সেই দাঁতটি খুলে আসবে। এই পদ্ধতিটি আগে পুরনোযোগের মানুষ বেশি ব্যবহার করত। বর্তমানে সবাই এক্সপার্ট এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই যা তুলছে এই কারণে এই পদ্ধতি আর দেখা যায় না।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পাতলা পায়খানা
আমরা বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন আমরা জানবো বাচ্চাদের ওঠার সময় পাতলা পায়খানা হয় এ বিষয়ে। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পাতলা পায়খানা হতে পারে। এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে সঙ্গে সঙ্গে আপনি ডক্টরের পরামর্শ নিবেন। এবং বাচ্চাকে এ সময় মতন খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
দাঁত তোলার সময় বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। কিন্তু বিশেষ করে এই সমস্যাটি সকল বাচ্চার হয়ে থাকে না। যেহেতু এই সমস্যাটি সব বাচ্চার হয় না সে ক্ষেত্রে আপনাকে দ্রুত ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে। তবে দাঁত তোলার সময় এই সমস্যাটি সাধারণ বলে ধরা যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে বাচ্চার তোলার পর এ ধরনের একটু সমস্যা হতে পারে, এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
বাচ্চাদের দাঁত ব্যথায় করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত ব্যথা হতে পারে এই বিষয়টি স্বাভাবিক। তাই আমাদের উচিত বাচ্চাদের দাঁত ব্যথায় করণীয় কি এই বিষয় জানার। বাচ্চাদের যদি দাঁত ব্যথা হয় তাহলে গরম পানি নিয়ে সেখানে দুই তিন চামচ লবণ দিয়ে মুখে গুলি খোঁচা করতে হবে। এরপরেও যদি অতিরিক্ত ব্যথা থাকে তাহলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে।
বাচ্চাদের দাঁত ব্যথা হলে বাচ্চাদের অনেক কষ্ট হয়। আপনি যত দ্রুত সম্ভব পারবেন ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া এবং সেই ব্যথা থেকে সারিয়ে নেওয়ার। তবে বিশেষ করে বাচ্চার মুখে সব সময় পরিষ্কার রাখবেন এবং বাঁচার রাখলে বাঁচার মুখে আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন মুখ থেকে দুর্গন্ধ থেকে শুরু করে আরো অনেক ধরনের তাদের সমস্যা হতে পারে।
বাচ্চার দাঁত ব্রাশ - বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়
আপনি আরেকটি কথা মাথায় রাখবেন বাচ্চার বয়স যখন অল্প যখন বাচ্চা কলি করতে শেখেনি মুখে পানিতে শিখে নি কিংবা কোন কিছু বুঝতে শিখে নেই তখন আপনি ছোট বাচ্চার মুখ কখনোই ব্রাশ করবেন না। যখন দেখছেন বাচ্চার কুলি করতে শিখছে কিংবা একটু হালকা কিছু বুঝতে শিখছে তখন থেকে আপনি বাচ্চার দাঁত ব্রাশ করতে পারেন। ছোট বাচ্চা যদি কোন কিছু খেয়ে থাকে তখন আপনি তার মুখ অবশ্যই ধুয়ে দিবেন এবং কাপড় দিয়ে মুছে দিবেন।
এবং যখন বাচ্চা একটু বড় হবে যখন কুলি করতে শিখবে তখন যদি বাচ্চা কে আপনি কিছু খেতে দেন তারপরে অবশ্যই বাচ্চার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে দিবেন এবং প্রতিদিন তাকে ব্রাশ করতে দিবেন। বাচ্চাদের ব্রাশ আলাদা হয়ে থাকে। অবশ্যই আপনি বাচ্চাদের জন্য ছোট এবং নরম ব্রাশগুলি কিনবেন। আপনি এই প্রাসগুলি অনলাইন থেকেও কিনে নিতে পারেন অনলাইন থেকে ব্রাশ কিনতে এখানে ক্লিক করুন।
আরো পড়ুনঃ দাঁতে গর্ত হলে করণীয়
আমাদের শেষ কথা - বাচ্চদের দাঁত তোলার সহজ উপায়
আমরা এতক্ষণ জানলাম দাঁত নিয়ে অনেক বিস্তারিত এবং আমরা আরো চিনেছি বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায় থেকে শুরু করে কত বছর বয়স পর্যন্ত তারপরে এবং আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url