রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনুচ্ছেদ রচনা - রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট ও বাংলাদেশ রচনা

আপনি কি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনুচ্ছেদ রচনা খুঁজছেন? কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ প্রবেশ করছেন। তাই এটা নিয়ে একটু আলোচনা সমালোচনা হতে পারে বাংলাদেশে। আপনি যদি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনুচ্ছেদ রচনা খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনুচ্ছেদ রচনা
আমি এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে জানাবো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশঃ বাংলাদেশ সামাজিক অর্থনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা প্রভাব ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। আপনি যদি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনুচ্ছেদ রচনা খুজে থাকেন তাহলে এখানে আপনাকে স্বাগতম।
সূচিপত্র 

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনুচ্ছেদ রচনা - রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট ও বাংলাদেশ রচনা

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশঃ বাংলাদেশের সামাজিক,
অর্থনৈতিক ও আইন শৃঙ্খলার প্রভাব

ভূমিকাঃ রোহিঙ্গারা মায়ানমার অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা। তাদের মূল সমস্যা হলো রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি নাগরিক নয় তাড়া। রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী বাঙালি ও বাংলাদেশি বলে মনে করে। সাম্প্রতিককালে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে

তাড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য সেনা অভিযান পরিচালিত হয়। ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে সৈন্যরা রোহিঙ্গা নিধনের উদ্দেশ্য পরিচালিত অভিযান হত্যা, নারী ধর্ষণ শিশু হত্যা, ঘরবাড়ির পুরানো প্রকৃতি অপরাধে যুক্ত হয়। স্ত্রীর সামনে স্বামীকে হত্যা করে তার দেহ চালিয়ে দেয়া। মিয়ানমার সেনাদের অমানবিক একটি নির্যাতন। মানবিক সভ্যতার ঐতিহাসিক এরকম লোমহর্ষ ঘটনা বাস্তবে বিরল।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশঃ ১৯৮২ সালে এক আইনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকত্ব হারায়। তখন থেকে মূলত রোহিঙ্গাদের বিতরণ শুরু হয়। মিয়ানমার শাসকগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদেরকে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী হিসেবে আখ্যায়িত করে। তবে এর মূলে রয়েছে বৌদ্ধ জাতীয় সন্ত্রাস কুষ্টি।

ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যায় যে মিয়ানমারের এই দাবি সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক। যুদ্ধ সন্ত্রাসীরা সম্প্রদায়িকতা ছাড়তে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে তথা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে। 1982 সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের প্রবেশ করেছে।

তার বেশির ভাগ্য রোহিঙ্গা এ দেশে রয়ে গেছে। যা বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য খুবই আতঙ্ক জনক। নিচের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আলোচনা সাথে সাথে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ফলে বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলার প্রভাব আলোচনা করা হলো।

রোহিঙ্গা কারাঃ অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আরাকানে আগমনের মধ্য দিয়ে সেখানে মুসলিমদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভুত এই জনগোষ্ঠীর মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের চেয়ে মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতা এই শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতো। এই অঞ্চলে বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিত লাভ করে।

১৭৮৫ সালে বারমারা আরাকান্দ দখল করে। এরপর ১৭৯৯ সালে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বার্মাদের গ্রেপ্তার এড়াতে এবং আশ্রয়ের নিমিত্তে আরাকান থেকে নিকটবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে। ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে যখন তখন এটি ছিল একটি মৃত্যুপুরী।

কৃষকদের জন্য আরাকানের কম জন অধ্যক্ষিত এবং উর্বর্ত উপত্যকায় আশেপাশের এলাকা থেকে বাঙালি অধিবাসীদের অভিবাসন করার নীতি গ্রহণ করেছিল ব্রিটিশরা। অনুভবংশ শতাব্দীতে হাজার হাজার বাঙালি কাজের সন্ধানে চট্টগ্রাম থেকে ছিল। এছাড়াও হাজার হাজার রাখাইন আর এখান থেকে বাংলায় চলে এসেছিল। অভিবাসনের ফলে সংঘাত মূলত আরাকানরাই ছিল সবচেয়ে প্রকট।

১৯৩৯ সালে রোহিঙ্গা মুসলিম ও রাখাইন বৌদ্ধদের দীর্ঘ শত্রুতার অবসানের জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন জেমস ভেক্টর এবং তিন তুতের দ্বারা একটি বিশেষ অনুসন্ধান কমিশন গঠন করে।

রোহিঙ্গা গণহত্যাঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মুসলিম রোহিঙ্গারা মিত্রশক্তিকে সমর্থন দেওয়ায় জাপানিরা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে নির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যা করেছিল্য। এই সময় প্রায় ২২ হাজার রোহিঙ্গা সংঘর্ষ এড়াতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলায় চলে এসেছিল। ১৯৪৭ সালের ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টির সময় রোহিঙ্গারা পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল জিন্নাহের সাথে একাধিক বৈঠক করে পাকিস্তানের সাথে থাকার ইছা ব্যক্ত করে।

তাদের এই কাজটা আরাকানের অন্য জাতি গোষ্ঠীরা মেনে নিতে পারেনি। তাদের কপালে ”বেইমান” এ কথা লেগে যায়। এদিকে জিন্নাহ রোহিঙ্গাদের প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানান। তখন তারা নিজেরাই রোহিঙ্গা মুসলিম পার্টি গঠন করে আরা কান্না স্বাধীন করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে।

১৯৬২ সালে সামরিক সরকার বার্মা ক্ষমতা পেলে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। ১৯৭৮ এর ১৯৯২ সালে দুইবার তাদের উপর সামরিক অভিযান চালানো হলে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

সাম্প্রতিককালে রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ কারণঃ প্রায় অর্থ শতাব্দী ধরে বার্মা শাসন করছে মায়ানমার সামরিক জান্ত। ক্ষমতা কি গত করার জন্য এরা বার্মিজ জাতীয়তাবাদ এবং ঠেরাভের বৌদ্ধ ধর্মীয় মতবাদ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকে। আর এর ফলেই তারা রোহিঙ্গা, চেনা জনগোষ্ঠী যেমন- কোকা ং পান্থারের মতো ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে ব্যাপকভাবে নির্যাতন করে। কিছু নব্য তন্ত্র পন্থী নেতা যারা বার্মার প্রধান জনগোষ্ঠী থেকে এসেছে, তারা ও রোহিঙ্গাদের বার্মার জনগণের হিসাবে স্বীকার করে না।

বার্মার সরকার রোহিঙ্গা ও চীনা জনগোষ্ঠীর মত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিরুদ্ধে দাঙ্গার উস্কানি দিয়ে থাকে। যার ফলে বৌদ্ধ সম্প্রদায় মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালায়। যার ফলশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা জীবন বাজি রেখে জীবন রক্ষার্থে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। নিচে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কতিপয় কারণ আলোচনা করা হলোঃ

রাখাইন সম্প্রদায়িক দাঙ্গা - ২০১২ঃ রাখাই রে ২০১২ সালে রোহিঙ্গা মুসলিম ও বৌদ্ধ রাখাইনদের মধ্যে দাঙ্গা হয়। দাঙ্গা শুরু হয় জাতিগত কোন দলকে কেন্দ্র করে এবং দাঙ্গার ফলে রাখাইনে খুবই খারাপ ব্যবস্থা বিরাজ করে। বহু রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়, ধর্ষণ করা হয়, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়। নির্যাতন থেকে বাঁচতে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ করে। আর এই অনুপ্রবেশ বর্তমানে পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী মনে করাঃ মায়ানমার সরকার, সেনাবাহিনী কিংবা বৌদ্ধ নাগরিকরা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী বা বাঙালি মনে করে। এই কারণে তাদেরকে বিদেশী হিসেবে আখ্যায়িত করে কোন প্রকার নাগরিক অধিকার দেওয়া হয়নি। তবে এমন মনে করার প্রধান কারণ হলো রোহিঙ্গার ভাষা। মায়ানমারের আরাকানের রাজ্য (রাখাইন) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লিখিত ভাষায় হলো রোহিঙ্গার ভাষা।

এটি ইন্দ্র ইউরোপিয়ান ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত যার সাথে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা মিল রয়েছে। রোহিঙ্গার গবেষকগণ আরবি, হানিফি, উর্দু, রোমান এবং বারমেট স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সফলতার সাথে রোহিঙ্গা ভাষা লিখতে সক্ষম হয়েছে। হানিফী হল নতুন তৈরি করা স্ট্রিপ্ট যা আরবি এবং তার সাথে চারটি বর্ণ (ল্যাটিন এবং বার্মিজ) সংযোগ সৃষ্টি। ভাষার সাথে মিল কম থাকার কারণে বার্মিজরা রোহিঙ্গাদের নাগরিক মানতে চায় না।

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও শরণার্থী হিসেবে রোহিঙ্গাঃ জাতিসংঘ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বিশ্বের সবচেয়ে নি-গৃহীত সংঘ ও কম প্রত্যাশিত জনপদ বলে আখ্যায়িত করে। ১৯৮৩ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে রোহিঙ্গারা নাগরিক থেকে বঞ্চিত হয়। তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারে না, জমির মালিক হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়।

তাদেরকে জোরপূর্বক শ্রমিক হিসাবে কাজে লাগানো হয়। সাধারণত সপ্তাহে একদিন করে বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনী অথবা সরকারি প্রকল্পে কিংবা সপ্তাহে একদিন প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হয়। এছাড়াও সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের অনেক আবাদি জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানকার বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীকে অথবা মায়ানমারের অন্য স্থানের বৌদ্ধদের দিয়েছে।

সাম্প্রতিককালে সংঘর্ষ ও সেনাবাহিনীঃ সাম্প্রতিককালে আরাকান মুসলিম বাহিনী মিয়ানমার নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা করে এবং তা স্বীকার করে। এতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা মুক্ত করতে তথা রোহিঙ্গা দাঁড়ানো অভিযান শুরু করেন। সেনাবাহিনী মনে করে রোহিঙ্গারা হলেও সন্ত্রাসবাদী এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তাই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শুরু করে নরকীয় অভিযান।

আর এ অভিযানে সাহায্য এগিয়ে আসেন মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা। তারা একে একে হত্যা করে রোহিঙ্গা পুরুষদের, মায়ের সামনে সন্তানকে জবাই করা। স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তার যৌনাঙ্গ পড়ে হত্যা করা। স্ত্রীর সামনে স্বামীর যৌবন অঙ্গ কেটে ফেলা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা। বাড়িঘর পুড়িয়ে হত্যা করে হাজার হাজার শিশু, হত্যা করে নারী পুরুষ কিংবা রোহিঙ্গা নামের পরিচয় দেওয়া আবাল বৃদ্ধ বনিতাকে।

বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকে পাশে পাওয়ার হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে জবাই করে অথবা জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল রোহিঙ্গাদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া। মানবতার জয় গানের বিশ্ববাসী আজ অবাক তাকিয়ে আছে। কিন্তু রোহিঙ্গা হত্যাই বিশ্ব নেতারা আজ চুপ আছে, তাদের দোষ তারা মুসলিম। জাতি নিধনের ষড়যন্ত্র বিরুদ্ধে মুসলিম জাহানের নেতৃত্বকারী সৌদি আরব ও মুখে গ্রুপ এটে বসে আছে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ মানবতাবাদী স্লোগানঃ রোহিঙ্গারা পতি নিয়ত বাংলাদেশের প্রবেশ করছেন। সীমান্ত খুলে দেয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ আসলে তারা আর ফেরত যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু প্রতিবছর যদি ৭০ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করে, তাহলে ১০ বছরের পর রোহিঙ্গাদের অবস্থা কি হবে মানবতাবাদীর তা ভেবে দেখেনা।

শুধু বাংলাদেশীদের কি মানবতা দেখতে হবে? কোন সরকারি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তাই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছেই। বাংলাদেশের আয়তন কিংবা সম্প্রদায়ের তুলনায় মানুষ অনেক বেশি। এ কারণেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে।

বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলার প্রভাবঃ নিচে বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলার প্রভাব আলোচনা করা হলো:

সামাজিক প্রভাবঃ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সামাজিক অবস্থান আর বাঙ্গালীদের সামাজিক অবস্থান এক নয়। তারা এদেশের শরণার্থী। কেবল জাতিসংঘ কিংবা বিশ্বের বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্য পেয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকবেনা। কারণ তাদের প্রজন্ম কেবল সাহায্য দিয়েই শেষ নয়। প্রবাদে আছে অভাবে স্বভাব নষ্ট। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস রোগী সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদেশের কিছু নারীর লোভী গোষ্ঠী নারীদের কে দিয়ে নানান প্রকার অপকর্ম সংঘটিত করছে। ইতিমধ্যে অনেক বাঙালি রোহিঙ্গা মহিলাদের বিবাহ করেছে। এমন কি তাদের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত আছে। অনেক রোহিঙ্গা নারী সাহায্য পাওয়ার লোভে কিংবা অর্থের লোভে দেহ ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের আবাসিক হোটেল গুলোতে রোহিঙ্গা পতিতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

 তাছাড়া রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসা সাথে যুক্ত। তারা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী হিসেবে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্য গমন করছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও পরিচয় গোপন রেখে চাকরি লাভের চেষ্টা করছে এমনকি চাকরিতে ঢুকেও যাচ্ছে।

যা বাংলাদেশীদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এক্ষেত্রে সামাজিক দিক থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাংলাদেশ বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ৯৭ জন এইচআইভি পজেটিভ। নতুন আর পুরনো মিলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে এখন প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গার বসবাস। ফলে মারাত্মক ভাবে এইডস তথা স্বাস্থ্যের দিকে আছে বাংলাদেশ।
অর্থনৈতিক প্রভাবঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকল্প অনুসারে 2016-17 অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১২৬০২ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে ৭ লক্ষ রোহিঙ্গার মাথাপিছু আয় হওয়ার কথা ১১২ কোটি ডলার বা ৮৯৭১ কোটি টাকা। কিন্তু রাষ্ট্রীয় হিসেবে রোহিঙ্গাদের আয়ের কোন উৎস নেই।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় প্রায় ৭০০ ডলার। কিন্তু রোহিঙ্গাদের থাকলেও বৈধ পথে আয়ের কোন উৎস নেই। সে হিসাবে ৭ লক্ষ রহিঙ্গা পেছনে সরকারের বছরের তাই হবে প্রায় 49 কোটি ডলার বা ৩৯৯২ কোটি টাকা, যা অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।

বর্তমানে কিছু সাহায্য ও সহযোগিতা পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদি সেই সাহায্য অব্যাহত থাকবে সেটা বলা মুশকিল। যখন পাওয়া যাবে না তখন বাংলাদেশীকেই এ টাকা খরচ করতে হবে। অর্থের অভাবে রোহিঙ্গারা বাঙালি পরিচয় বাংলাদেশের বিভিন্ন কলকারখানা চোখ দিতে পারে।

যার কারণে বেকার জনগোষ্ঠীর ব্যবস্থা আরো করুন হতে পারে। কৃষিকাজে রোহিঙ্গারা যোগদান করলে মজুরি কমে যেতে পারে। যা বাংলাদেশীদের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব দেখা দিবে। পরে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করা খুবই প্রয়োজন।

আইন শৃঙ্খলার উপর প্রভাবঃ রোহিঙ্গা কোন প্রবেশের কারণে আইন শৃঙ্খলার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুপাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা নগণ্য। তাছাড়া দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রায়ই অস্থিতিশীল থাকে।

অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযোগ ও বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রায় ব্যস্ত আছে। বর্তমানে প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে।

এদেরকে নিরাপত্তা দিতে পৃথকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাইরে কাজ করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গারা অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গারা নির্ধারিত জাতি হওয়ার যেকোনো সময় তারা স্থানীয়দের আক্রমণ করতে পারে। রোহিঙ্গারা জঙ্গিবাদী কিংবা সন্ত্রাস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে তখন আইনশৃঙ্খলার উপর মারাত্মক প্রভাব বিরাজ করতে পারে।

উপসংহারঃ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই মানবিকতার কারণেই এখন নানান ঝুঁকিতে পড়ছে এদেশে। খুব সহসাই এ সংকটের সমাধান হবে না। দুই লাখ মানুষের জন্য যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি, সেখানে ১২ থেকে ১৩ লক্ষ মানুষের সেবা হচ্ছে। আমাদের শিশুদের জন্য রাখা হাম রুবেলের টিকা রোহিঙ্গা শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। কারণ হাম একবার দেখা দিয়ে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোহিঙ্গা শরণার্থী পেছনে বাড়িতে মনোযোগ দিতে হয়।

সেজন্যই পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজেপি সহ বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন নিয়োগ করতে হয়েছে। এ কারণে রাষ্ট্রীয় বেয়াই বেড়েছে। আরে ব্যাটা খরচ হয় বাজেট থেকে। এমনিতেই অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাকরি দিশেহারা বাংলাদেশ বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করছে সবেমাত্র। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের এমন একটি দেশ বারবার রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ ঠেকাতে না পারলে ভবিষ্যতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববাসীকে প্রথম এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

আমাদের শেষ কথা - রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনুচ্ছেদ রচনা

আপনি এই নিবন্ধনটি পড়ে জানতে পারছেন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনুচ্ছেদ রচনা বা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট ও বাংলাদেশের রচনা সম্পর্কে। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকে কমেন্ট করি। এই রকম গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য পেতে আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইট টি প্রতিদিন ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url