শীতের সকাল অনুচ্ছেদ SSC, JSC, HSC
নমস্কার এবং অন্যান্য ধর্মের প্রতি আসসালামু আলাইকুম আপনি কি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ খুঁজছেন? আপনি যদি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ খোঁজে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। শীতের সকাল অনুচ্ছেদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি শীতের সকাল অনুচ্ছেদটি ভালোভাবে লিখতে না পারেন তাহলে আপনি অধিক নাম্বার পাবেন না।
আপনি যদি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ লিখে অধিক নাম্বার পেতে চান তাহলে নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদটি ভালোভাবে পড়ে নিতে পারেন। চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্রঃ শীতের সকাল অনুচ্ছেদ
ইভিভিটিভি
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ SSC, JSC, HSC
পৌষমাগ দুই মাস নিয়ে আসে শীতকাল। শীতের সকাল সত্যিই অসাধারণ। বাংলার গ্রামে গ্রামে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে শীতের মনোরম সকাল। সকাল বেলার সূর্যটা যখন পূর্ব আকাশে উঁকি দেয়, তখনও বিছানা ছাড়ে না মানুষ। কেউ লেপের নিচে কম্বলের নিচে গুটিয়ে রাখে নিজের শরীরটাকে, কিন্তু বেশিক্ষণ নয়। এক সময় কুয়াশার আচ্ছাদন মিশে যায় শূন্য লোকে।
সবাই তখন বিছানা ছেড়ে গায়ে চাদর জড়িয়ে আগুনের কাছে বসে শরীর গরম করে নেয়। রাখালেরা গরুর পাল নিয়ে মাঠের দিকে যায়। চাষী বউ বসে যাই পিঠা তৈরি কাজে। ভাপা পিঠা আর খেজুর রস প্রতিদিনকার ব্যাপার।
পুকুরপাড়ে রোদে বসে অনেকেই দেহের জড়তা কাটায়। গ্রামীন পরিবেশে শিশির ভেজা শীতের সকাল এভাবেই আসে আর যায়। শরীরের শীতের সকাল আসে একটু দেরিতে। সেখানে ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য কোন মোরগের ডাক শোনা যায় না। শহরের শীতের সকাল মানেই নানা রঙের পাহাড়ি সোয়েটারের প্রদর্শনী। ফুটপাতে আগুনের অস্থায়ী চলির সংখ্যা বাড়ে।
আর পড়ুনঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ
আর বারে ঘুমকাতুরের ছোট ছোট বুড়াদের ঘুম থেকে তোলা নিয়ে মায়েদের তর্জন গর্জন। চায়ের দোকানে চা-স্পৃহ চঞ্চল চাতক’মানুষের সংখ্যা বাড়ে। শীতের সকাল মানেই একপ্রকার ক্লান্তিবিহীন শুচিতা, অথচ কর্মচঞ্চল জীবন যাত্রার নিশব্দ আহ্বান। শীতের সকালে ধোনির অঙ্গে চাপে শিত নিবারণি পোশাক, আর গরিবদের দেহ কাপে হি হি করে। শীতের সকাল কারও সুবিধা বা অসুবিধার কথা ভেবে আসে না, প্রাকৃতির ছেঁড়া চায়িত্য নিরাময়েই এর আসা-যাওয়া।
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ
রাতের অবসানে দিনে আসে। দিনের সূচনা হয় সকাল দিয়ে। সকাল হলো কাজের জগতে প্রবেশের শুভ সময়। পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে কালেরও বৈচিত্র দেখা যায়। এককেক ঋতুর সকাল একেক রকম। তেমনি শীতের সকাল আসে তার নিজস্ব রূপ নিয়ে। কুয়াশার চাদর পরে আবির্ভাব শীতের সকালের। কুয়াশার ঢাকা সকালে সূর্য ওঠার দৃশ্য দেখার সুযোগ অনেকেরই হয় না।
প্রাকৃতিক রূপ ও রঙ তখন বদলে যায়। শীতের সকালের রোদ খুব মিষ্টি। শীতের সকালে অনেকেই শীতের কাঁপুনি থেকে রক্ষা পাবার জন্য রোদ পোহায়। শীতের রাতে শিশির পরে। সকালবেলা ঘাসের ডগাই মুক্তার মত শিশির দেখা যায়। শিশির আর রোদের ঝিকিমিকিতে চলে ঝলমলে খেলা। চারপাশে তাকালে মনে হয় প্রাকৃতিক এক নব সাজে সজ্জিত।
শীতের আগমনে বাংলার প্রকৃতি হয়ে যায় শুষ্ক ও রুক্ষ। গাছের পাতা ঝরে যায়। সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের সকালের হিমেল হওয়ার হারে কাঁপন জাগায়। নির্মল প্রকৃতি উৎসব ও পিঠা পায়েসের আয়োজন শীতের সকালের প্রধান বৈশিষ্ট্য। শীতের সকালে গ্রামগঞ্জের ঘরে ঘরে দেখা যায় পিঠা খাওয়ানোর ধুম। হেমন্তর ফসল কাটা শূন্য মাঠ শীতকালে আস্তে আস্তে ভরে উঠতে থাকে রবিশস্য। গ্রামের পাশাপাশি শহরের শীতের সকাল দৃশ্য কম মনোমুগ্ধকর নয়।
আর পড়ুনঃ মে দিবস অনুচ্ছেদ
সকালবেলায় শুরু হয় কর্মব্যস্ততার শহুরে মানুষের জীবন। সবাই বর্ণিল পোশাকে সজ্জিত হয়ে অফিস আদালতে যায়। রিক্সা চালক বেবি চালক বাস ড্রাইভার বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ সকালের কুয়াশা ভেদ করে চলাচল করে। শীতের সকালে প্রচন্ড ভিড়ে থাকে চায়ের দোকানগুলোতে। চায়ের কাপে ফু দিয়ে জাপান সে কি এক অপূর্ব তৃপ্তি! শীতের প্রভাব ঝেড়ে ফেলে মানুষ কাজে মন দেয়। শুরু হয় কর্মমুখর দিনের ব্যস্ততা।
লেখকের মন্তব্য
আমরা এতক্ষণ দেখলাম দুইটি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ। এই বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্টে রিভিউ করি এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে অবশ্যই প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর তথ্য
ধন্যবাদ, সুন্দর তথ্য