গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় - গর্ভাবস্থায় এলার্জির ঔষধ

আপনি কি গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় বা গর্ভাবস্থায় ঔষধ এর নাম জানতে চান? আপনি যদি গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় বা গর্ভাবস্থায় এলার্জি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান না অথবা গর্ভবস্থায় এলার্জি অবসর সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।
গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয়
আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় বা গর্ভাবস্থায় এলার্জি ঔষধ সম্পর্কে বিস্তরিত খুটিনাটি আলোচনা করেছি।

সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় - গর্ভাবস্থায় এলার্জি ঔষধ

ইভিভিটিভি

ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় কি এই বিষয় নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। কিন্তু গর্ভকালীন হালকা চুলকানি হওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রায় ২০ শতাংশ গর্ভবতী মহিলার চুলকানি সমস্যা। এ সময় মেয়েদের পেটে কিংবা স্তনের আশেপাশে চুলকানি বেশি হতে পারে, কারণ এই দুটো স্থানের চামড়ায় এ সময়ে প্রসারিত হয়।

শুষ্ক ত্বক এবং হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও অনেক সময় চুলকানি দেখা দিতে পারে। আমরা এই নিবন্ধটির মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় এনার্জি হলে করণীয় বা গর্ভাবস্থায় এলার্জি ঔষধ বা এই এনার্জি সম্পর্কে আরো অনেকে তথ্য জানবো তাই এই নিবন্ধনটি পড়তে থাকুন।

গর্ভাবস্থায় চুলকানি হলে প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় কি এ বিষয় নিয়ে চিন্তার কোন বিষয় নেই এই মূল কারণ হচ্ছে গর্ভাবস্থায় চুলকানি হলে প্রতিকার ও আরো হয়েছে চুলকানি হলে যত কম সম্ভব চুলকানোর চেষ্টা করুন। বেশি চুলকালে ত্বক আরো ফেটে যেতে পারে এবং ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। যদি শুষ্ক কিংবা প্রসারিত চামড়ার কারণে গর্ভাবস্থায় চুলকানি দেখা দেয় তাহলে চুলকানির স্থানে বেশি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুতে হবে।

অথবা আইসপ্যাক কিংবা ঠান্ডা পানিতে চুবানো কাপড় পাঁচ থেকে দশ মিনিট কিংবা চুলকানি কমা পর্যন্ত দিয়ে রাখা যেতে পারে। ত্বক আর্দ্র রাখতে মায়েশ্চরইজার ক্রিম ব্যবহার করতে গবে। এগুলো সুগন্ধযুক্ত না হলেই বেশি ভালো একজিমা থাকলে অবশ্যয় ডাক্তারের পরামর্শকৃত ক্রিম অথাব লোকশন ব্যবহা করতে হবে। আর বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন।

গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করনীয়

গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এবং আপনি গর্ভাবস্থায় যদি এনার্জি শিকার হন গর্ভাবস্থায় যদি অ্যালার্জি হয় তাহলে এলার্জির প্রতিকার সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। গর্ভবতী থাকার সময় হবু মায়ের হরমোন গ্রুপ পরিবর্তন হতে থাকে তাই সকল হবু মায়েদের এক যত ধ্বংসের মধ্যে সবথেকে সাধারণ একটি পরিবর্তন ঘটতে থাকে যা হলো এনার্জি।

গর্ভাবস্থায় এলার্জি কিংবা হালকা চুলকানি হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার, এবং এটি প্রত্যাশিত তবে। আপনি যদি তীব্র এনার্জি বা চুলকানির কবলে পড়েন সেক্ষেত্রে এটি গর্ভবতী মায়ের দেহের কোন একটি অকার্যকর অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার কারণ হতে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি এই বিষয়েকে হালকাভাবে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চলুন তাহলে আমরা কিছু নিয়ম বা কিছু উপায় দেখে নেই। আপনি কাছে যাওয়ার আগে নিম্নলিখিত এই ঘরোয়া উপায় গুলি ব্যবহার করতে পারেন আপনার এলার্জি বা চুলকানি কমানোর জন্য।

গর্ভাবস্থায় এলার্জি কমানোর ঘরোয়া উপায়

গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় কি এ বিষয় যদি আপনার আর মতামত থাকে তাহলে ঘরুয়া কিছু উপায় নিচে আলোচনা করা। গর্ভাবস্থায় এলার্জি কমানোর ঘরোয়া উপায় অনেক রয়েছে আমি কার্যকরী কিছু উপায় নিম্নে উল্লেখ করছি। নিম্নলিখিত এই উপায় গুলি ব্যবহার করে গর্ভাবস্থায় এলার্জি খুব সহজেই কমানো সম্ভব। চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে গর্ভাবস্থায় এলার্জি বা চুলকানির চিকিৎসার জন্য ঘরোয়া উপায় দেখে নেওয়া যাক।

চুলকানি দূর করতে ভেষজের ব্যবহারঃ ড্যান্ডেলিয়ানের মূল এবং মল্কি থিশলের মত ভেষজগুলি এলার্জি কমাতে দারুন ভাবে সাহায্য করে।

ওটমিল দিয়ে গোসল করুনঃ চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি দুর্দান্ত উপায় হলো-ওটমিল দিয়ে গোসল করা। এক বাটি ওটমিল নিয়ে সেটিকে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে মিশ্রণটিকে দেহের যেবোন ও চুলকানি অংশে ব্যবহার করলেম অস্বস্তি ও জ্বলন কমাতে পরবেন।

অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল হল একটি গুণধর প্রাকৃতিক পণ্য। এটি বিভিন্ন অবস্থার চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই জেলটিকে এলার্জি আক্রান্ত জায়গায় প্রয়োগ করলে আপনি ব্যাথা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। ইন্সাল্টি প্রাকৃতিক ভাবেই জ্বলন, ঘা, ব্যাথা কমাবে।

ক্যালেন্ডুলা ক্রিমঃ ক্যালেন্ডুলা লোশন এবং ক্রিম গুলি গর্ভাবস্থায় চুলকানি থেকে সাহায্য করে এবং চলন জলন থেকে স্বস্থি এন দেয়। আর এগুলি গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। আপনি খুব সাধারন ভাবে এলার্জির জায়গা গুলোর উপর লোশনটিকে লাগিয়ে দিতে পারেন।


মালিশের জন্য তেলঃ যে সকল গর্ভবতী মহিলাদের ত্বক মুষ্ক প্রকৃতির হয়ে থাকে তাদের কাচে চুলকানি যেন একটা দুঃস্বপ্ন। আপনির আপনার পেট, উরু, স্তন এবং শরীরের অন্যােন্য অংশে যেখানে যেখানে জ্বলন এবং অস্বস্তি অনুভব করনে সেই জায়গাগুলির উপর

ল্যাভেরন্ডার তেলের পাশাপাশি জলপাই এবং আমশু বাদামের মত অপরিহার্য তেলগুলিকে মালিশের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই অপরিহার্য তেল গুলি ব্যবহার শুরু করার পূর্বে নিশ্চিত ভাবে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

ঠান্ডা কম্প্রেস ব্যবহার করুনঃ একটি ঠান্ডা কমপ্রেসের ব্যবহার চুলকানিকে দূর করতে সাহায্য করে।আপনি আবর একটি ঠান্ডা বরফের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার শরীরের কোনও অংশে প্রদাহ এবং জ্বলন থেকে থাকে বিশেষ করে সেই সকল জায়গা গুলোকে প্রশমিত করার জন্য ঠান্ডা কম্প্রেশন ভীষণভাবে সহায়ক। এর ঠান্ডা অনুভবটি আপনাকে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেবে। এটি বিশেষত গ্রীষ্মকালের জন্য খুবই সাহায্যকারী হয়ে ওঠে।

ঠান্ডা ভেজিয়ে তরে প্রয়োগঃ বেশি ঠান্ডা তোয়ালে গর্ভস্থায় ত্বকের জ্বলন এবং এলার্জি কে প্রশমিত করতে সাহায়তা করে। একটি তোয়ারাকে এক বাটি ঠান্ডা জলের মতে বিচি নেওয়ার পর এটিকে মুড়িয়ে নিন। এবার সিক্ত তোয়ালিটিকে র‌্যাশের ক্ষতযুক্ত অঞ্চল গুলির উপর স্থাপন করে শিথিল হন। আপনি আগের থেকে আনেক বেশি ভালোবোদ করবেন।

চুলকানি থেকে স্বস্তি পাওয়ার জন্য তুলশীল চাঃ তুলসী একে জনপ্রিয় ভেষজ একটি দুর্দান্ত চুলকানির ঔষধ। ইউজেনল নামে একটি যৌগ রয়েছে যা চুলকানি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। কয়েকটি তুলসী পাতাকে ফুটন্ত জলের মধ্যে ফেলে দিন। একবার মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি নরম সুতির কাপড়ের টুকরোকে তার মধ্যে ভিজিয়ে নিয়ে সেটিকে প্রভাবিত এলাকার ওপর স্থাপন করুন।

নিয়ে আবার এর কয়েকটি পাতা নিয়ে সেগুলিকে আপনার খাদ্যের সাথেও খেতে পারেন। এছাড়া এলার্জি সমস্যা প্রকট আকরের দেখা গেলে অবশ্যই এর জন্য মেডিসিন নিতে হবে। অবশ্যই আপনি ডক্টরের পরামর্শ নিবেন। আপনি এই বিষয়টাকে ছোট করে দেখলে কখনোই চলবে না। অবশ্যয় আপনি এই বিষয় টিকে গুরুত্বসহকারে নিবেন। 

আমরা এতক্ষণ জানলাম গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় এখন আমাদের জানা উচিত গর্ভাবস্থায় এলার্জি ওষুধ সম্পর্কে।

গর্ভাবস্থায় এলার্জির ঔষধ

আপনি যদি গর্ভাবস্থায় এলার্জির সমস্যায় ভুগে থাকেন। এবং আপনি যদি গর্ভাবস্থায় এলার্জি ঔষধ খুজে থাকেন তাহলে আপনি দ্রুত ডক্টরের পরামর্শ নিন। কারণ আপনার যেকোনো সামান্য পরিমাণ সমস্যা ও হলেও আপনাকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে। তাই আপনি গর্ভাবস্থায় এলার্জির ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই উপরোক্ত ঘরোয়া উপায়ে সকল কিছু চেষ্টা করবেন।

তাহলে আপনার গর্ব অবস্থায় অ্যালার্জি অনেকটাই কমতে সাহায্য করবে। আপনি যত দ্রুত সম্ভব গর্ভাবস্থায় এলার্জি ঔষধ খাওয়ার আগে ডক্টরের পরামর্শ নিবেন। ডক্টরের পরামর্শ না নিয়ে আপনি কোন প্রকার দোকান থেকে গরবস্থায় এলার্জি ওষুধ সেবন করবেন না। ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।

লেখকের মন্তব্য - গর্ভাস্থায় এলার্জি হলে করণীয়

আমরা তখন আলোচনা করলাম গর্ভাবস্থায় এলার্জি হলে করণীয় বা গর্ভাবস্থায় এলার্জি ঔষধ এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্টের রিভিউ করি। আমরা এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিদিন আপডেট করে থাকি। তাহলে আমাদের ইভিভিটিভি ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করবেন। আমাদের সাথে এতাক্ষন থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url