সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম ও নমুনা দেখে নিন
আপনি কি সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম খুঁজছেন? আপনি যদি সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম খুঁজে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এখন এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে আলোচনা করব সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম নিয়ে। এবং আপনার সামনে আমরা আরো কিছু সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়মের নমুনা তুলে ধরব।
আপনি দেখে খুব সহজে সংবাদ প্রতিবেদন লিখতে পারেন। আপনি যদি নিম্নলিখিত সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম এর সঙ্গে সেই নমুনাগুলো দেখেন তাহলে আপনি ভালোভাবে সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়
ইভিভিটিভি
সংবাদ প্রতিবেদন কি
আমরা যেহুতু এই নিবন্ধন টির মাধ্যমে সংবাদ প্রতিবেদন লেথার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো তাই আমাদের প্রথমে জানতে হবে সংবাদ প্রতিবেদন কি এই বিষয়ে। আমরা আমাদের সমস্যা কিংবা যে কোন খবর সংবাদা প্রত্রে প্রকাশের জন্য যে প্রতিবেদন বা চিঠি লিখি তাই সংবাদদ প্রতিবেদন।
সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য চিঠি
প্রথমেই আমরা জানবো সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য চিঠির বিস্তারিত। এলাকার অভাব অভিযোগ, স্থানীয় কোন সমস্যা,জন গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনেক সময় সংবাদপত্রের শরণাপন্ন হতে হয়। কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও যথাযথ প্রতিকার পেতে ব্যর্থ হন। তাই সমস্যার আশু সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পত্রপত্রিকায় চিঠি লিখতে হয়।
বিভিন্ন পত্রিকায় চিঠিপত্র দিয়ে ছাপা হয়ে থাকে। যেমন : ইত্তেফাকের ’চিঠিপত্র’, প্রথম আলোর ‘পাঠকের অভিমত’, জনকণ্ঠের ‘সম্পাদক সমীপে’ ইত্যাদি। প্রকাশিত চিঠির বক্তব্য ও দায়দায়িত্ব লেখকের উপর বার্তায়। সম্পাদক প্রকাশিত চিঠির কোন দায়-দায়িত্ব নেন না। এসব কলামের নিচে তাই লেখা থাকে-মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।
সংবাদপত্রের প্রকাশের জন্য কয়টি চিঠি লিখতে হয়
আমাদের জানা প্রয়োজন সংবাদপত্রের প্রকাশের জন্য কয়টি চিঠি লিখতে হয়। আপনি যদি সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম খুজে থাকেন এর মানে এই আপনি সংবাদ প্রতিবেদন লিখতে চান। আর এই সংবাদ প্রতিবেদন লেখার জন্য সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য আসলে দুটো চিঠি লিখতে হয়ঃ
- পত্রিকায় প্রকাশিতব্য চিঠি
- সম্পাদককে লেখা অনুরোধপত্র
পত্রিকায় প্রকাশিত্যব চিঠি
পত্রিকায় প্রকাশিতব্য চিঠিই মূল চিঠি। এ ধরনের চিঠি লেখার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
- এ ধরনের চিঠি তথ্য সমৃদ্ধ, যুক্তিযুক্ত ও বাস্তব ভিত্তিক হওয়া উচিত যেন কতৃপক্ষ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে পদক্ষেপ গ্রহণে অগ্রসর হন।
- এ ধরনের চিঠি পত্র মূল বিষয় অনুযায়ী উপযুক্ত শিরোনাম দিতে হয়।
- চিঠির শেষে প্রেরকের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। পত্র প্রেরক কোনো সংগঠন, প্রতিষ্ঠান বা এলাকাবাসীর পক্ষে চিঠি লিখলে তার নাম উল্লেখ করা উচিত। পত্র প্রকাশের পরে যার বিরুদ্ধে পত্র লেখা হয়েছে তার বা তাদের পক্ষ থেকে কোন ক্ষতির আশঙ্কা করলে ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’কথাটি উল্লেখ করা যায়।
সম্পাদককে লেখা অনুরোধ পত্র
পত্র পত্র লেখক যে সংবাদপত্রে চিঠি প্রকাশ করতে চান সেই পত্রিকার সম্পাদককে অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি লিখতে হয়। এই চিঠিটি যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া ভালো। এই চিঠিতে সম্পাদক কে সম্বোধন ছাড়াও যথাস্থানে তারিখ এবং নিচের প্রবক্তার নাম ঠিকানা স্বাক্ষর দিতে হয়।
সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
আমরা ইতিমধ্যে সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে বেশ কিছু ধারনা পেয়েছি। আপনি যদি উপরোক্ত সমস্ত কিছু ভালোভাবে পড়েন তাহলে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পেয়েছেন। আমি এখন আপনাদেরকে সংক্ষিপ্ত এবং কিভাবে লিখবেন তার একটি নিয়ম বলবো। আপনি সংবাদ প্রতিবেদন লেখার জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম অনুসারে লিখতে পারেন।
তারিখঃ এখানে আপনি যেই তারিখে এই প্রতিবেদনটি লিখছেন সেই তারিখটি এখানে দিবেন।
সম্পাদকঃ এরপর আপনাকে এ জায়গায় সম্পাদক লিখতে হবে। সম্পাদকের লেখার পর নিচে আপনি যেই পত্রিকায় আপনার এই পত্রটি প্রকাশ করতে চান সেই পত্রিকার নাম দিবেন।
ঠিকানাঃ সম্পাদক এবং পত্রিকার নাম লেখার পর আপনাকে ঠিকানা দিতে হবে। এখানে আপনি যে পত্রিকায় সংবাদ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে চান সেই সংবাদ প্রতিবেদনের অফিসের ঠিকানা দিবেন।
বিষয়ঃ এরপর আপনি কি বিষয়ে সংবাদ লিখছেন সে বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে। বিষয় লেখার সময় অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে বিষয়টি যেন যুক্তিযুক্ত পূর্ণ হয়। অ্যাট একটিভ হয় যাতে করে আপনি যে পত্রিকায় এই চিঠি লিখছেন তারা যেন আপনার বিষয়টি দেখে আপনার পাঠানো চিঠিটি যেন প্রকাশ করতে আগ্রহী হয়। তাই সংবাদপত্র প্রতিবেদন লেখার জন্য অবশ্যই বিষয় ভালোভাবেই চিন্তা-ভাবনা করে লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুরোধ মূলক বাক্যঃ বিষয় লেখার পর এর নিচে আপনাকে অবশ্যই একটি অনুরোধ মূলক বাক্য লিখতে হবে। যেমন আপনি লিখতে পারেন মহোদয় কিংবা এরকম আরো অন্যান্য শব্দ রয়েছে আপনি সেই শব্দগুলি ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনি এখানে লিখতে পারেন আপনার বহুল প্রচলিত দৈনিকে সংযুক্ত প্রকাশ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
এরপর নিচে আপনি বিনীত লিখে আপনার নাম এবং ঠিকানা উল্লেখ করতে পারেন।
শিরোনামঃ আপনি যে বিষয়ের জন্য পত্রিকা লিখছেন এবং আপনার যে মূল বক্তব্যটি পত্রিকায় প্রকাশ করতে চান সেই বক্তব্যটি এই শিরোনামেই লিখতে হবে। আপনার কি কি সমস্যা এবং আপনি সেই সমস্যাগুলি তুলে ধরতে পারেন এবং আপনি এই শিটুর নামে যে অংশটি তুলে ধরবেন সেই অংশটি পত্রিকায় প্রকাশ করবে। এরপর আপনি লেখা শেষ করলে লাস্টে আপনার ঠিকানা এবং নাম লিখে দিবেন।
সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়মের নমুনা
এখন আমরা আপনাদেরকে কয়েকটি নমুনা দেখাবো আপনি এই নমুনা অনুসারে সংবাদ প্রতিবেদন লিখতে পারেন। আপনি এই নিম্নলিখিত নিয়ম কয়টি অনুসরণ করলে আপনার আর কোন নিয়ম দেখতে হবে না। আপনি খুব সহজেই সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জেনে খুব সুন্দরভাবে একটি সংবাদ প্রতিবেদন লিখতে পারবেন।
আর পড়ুনঃ অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারন
চিঠিপত্র কলামে প্রকাশের জন্য পত্র
তারিখঃ ১২ জুলায় ২০২৪
সম্পাদক
দৈনিক যুগান্তর
২৪৪ প্রগতি সরণি, বারিধারা
ঢাকা ১২২৯
বিষয়ঃ ‘চিঠিপত্র’কলামে প্রকাশের জন্য পত্র।
মহোদয়,
আপনার বহুল প্রচারিত দৈনিকে সংযুক্ত পত্রিকাটি প্রকাশ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত,
কাজী একরাম
জুলাগাঁও, শ্রীবার্দী, শেরপুর।
জুলগাঁও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দিকে নজর দিন
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার জুলঁগাও একটি সীমান্তবর্তী গ্রাম। দুই দশক আগে কমিটির স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় পাহাড়-টিলা-পরিবেষ্টিত দুর্গম এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের ১০-১২ হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এখানকার চিকিৎসা সেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য অত্যন্ত ৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা, আছেন তিনজন; তারাও নিয়মিত আসেন না। ভাবনাটি ও সংস্কারের অভাবে স্বরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। নিয়মিত ওষুধের সরবরাহ নেই। সাধারণ মানুষের যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। ধনাঢ্য ব্যক্তিরা হয়তো জেলা শহরে বা ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা পেতে ভোক্তা ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি, এই করুন অবস্থা থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে রক্ষা করা হোক। যেহেতু স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। অবিলম্বে জুলগাঁও গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জুলগাঁও গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা করে।
কাজী একরাম
জুলগাঁও, শেরপুর।
এইডস মশার উপদ্রব্য নির্ধারণের জন্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা
তারিখঃ ২৩ - ০৪-২০২৩
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
১০০, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা -১২১৫।
বিষয়ঃ সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় চিঠিপত্র প্রকাশ করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
বিনীত
শাহজাহান খান
ধানমন্ডি. ঢাকা
এইডস মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি চাই
রাজধানী শহর ঢাকার ‘ধানমন্ডি’ একটি জনবহুল ও অভিজাত এলাকা। অথচ, এখানকার রাস্তার অপরিচ্ছন্নতা ও ড্রেন আবর্জনা থেকে জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য মশা। তাই এই এলাকায় মশার উপদ্রব্য ও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ডেঙ্গুচরের জীবাণু বহনকারী মশার প্রকোপে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। গত মাসে এ মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়েছে। এই জোরে সাত আট জনের মৃত্যু ঘটেছে।
সাধারণ মানুষের মনে ডেঙ্গুজোড়ের আক্রান্ত হওয়ার এক অজানা ভয়। তাই এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ডেঙ্গু আতঙ্ককে স্থবির হয়ে পড়েছে। দিন রাত সব সময়ই মশার উপদ্রব্য। মশার উপদ্রব্যে দিন ও অস্তিত্ব কাজ করা যায় না। ছাত্রছাত্রীদের দিনের বেলাতেও মশারি ভেতর পড়াশোনা করতে হচ্ছে। ঢাকায় মশক নিধন অভিযান শুরু হলেও এই এলাকা তার ছোঁয়া পায়নি। এ ব্যাপারে নগর প্রধানের কাছে বরাবর আবেদন করা হলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এমতা অবস্থায়, আক্রমণ থেকে অত্র এলাকার জনসাধারণকে বাঁচানোর জন্য সিটি কর্পোরেশন সহ শাস্ত্র মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিনীত
এলাকাবাসীর পক্ষে
শাহজাহান খান
ধানমন্ডি, ঢাকা।
চাই দুর্নীতিমুক্ত সমাজ এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিবেদন
তারিখঃ ২৩-১২-২০২৪
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
৪০, কারওয়ান বাজার, ঢাকা -১২১৫
বিষয়ঃ সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য চাই দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, চাই আমার স্বপ্নের বাংলাদে ‘শিরোনামে একটি পত্র পাঠিয়েছি। আশা করি সময়োপযোগী এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করে এবং পাঠকের অবাধ মতামত প্রকাশের সুযোগ সুবিধা দিয়ে এই মহৎ উদ্দেশে সমর্থক করবেন।
শামসুল হক
কুমারখালী, কুষ্টিয়া
চাই দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, চাই আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ
দুর্নীতি জাতীয় ও অর্থনৈতিক জীবনে এক দুষ্ট রাহু। দুরারোগ্য ব্যাধির মতোই তা সমাজের সব শ্রেণীর ও সব পেশার লোকের গ্রাস করে। ফলের দুর্নীতি প্রভাবে ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে অধঃপতন নেমে আসে। দুর্নীতির ফলে একদিকে যেমন রাষ্ট্রীয় সব নিয়ম-নীতি দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলা তেমনি সমাজ জীবনেও অবক্ষয়ের চিত্র প্রকট হয়ে ওঠে। দুর্নীতির ফলে প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। সমাজে দেখা দেয় খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাত, ি ছিনতাই মারামারি সহ নানান অপকর্ম। একজন দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি কখনোই সুস্থ স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারেনা. সে দেশ ও দেশের মঙ্গলের কথা ভেবে স্বাস্থ্য চিন্তায় মগ্ন হয়।
তখন তার কাছে ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ গৌণ হয়ে ওঠে, সততা সেখানে হয় লঞ্চিত অসহায়,। বিবেক সেখানে বিবর্জিত। সে বেঁচে নেই অন্যায় ও অসত্যের পথ। এভাবে দেশ ও সমাজ ক্রমেই দেখি বিষয়ের এই তীব্র প্রতিযোগিতার যুগে আমরা অর্থাৎ বাংলাদেশিরা দুর্নীতির কারণে এভাবে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারি না। আমাদের রয়েছে আল্লাহ প্রদত্ত প্রাকৃতিক সম্পদ ও জাতিকে উজ্জীবিত করার শক্তিশালী আশীর্বাদ। শুধু প্রয়োজন সু চিন্তিত ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ। ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার মধ্যে শুরু হোক আমাদের হাজার মাইল পথযাত্রার প্রথম পদক্ষেপ। বাস স্ট্যান্ড শপিং সেন্টার নাটক সর্বত্রই উচ্চারিত হবে আমাদের স্লোগান।
’ঘুষ নেব না, ঘুষ দেবনা, কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না।’
নিবেদক
শামসুল হক
কুমারখালী, ঢাকা
আর পড়ুনঃ বিাভন্ন জেলার আঞ্চালিক ভাষা
সন্ত্রাস মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই সংবাদ প্রতিবেদন সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
তারিখঃ ২৩-০৩-২০২৫
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
সিএ ভবন
১০০, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ
কারওয়ান বাজার, ঢাকা -১২১৫
বিষয়ঃ সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন
জনাব
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার বহুল প্রচলিত প্রথম আলো পত্রিকায় নিম্নলিখিত পত্রটি প্রকাশ করে যথাযথ প্রতিপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়তা করলে কৃতার্থ হব।
বিনীত
ফারাহন
বনালতা বভন, কুমিল্লা
সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাজ্ঞান চাই
শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড। এ শিক্ষাঙ্গন একটি পবিত্র স্থান। এখানে ছাত্রছাত্রীরা আসে জ্ঞান অর্জনের এবং সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করে দেশ, জাতীয় অর্থাৎ মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত মানসে। কিন্তু সন্ত্রাসের কারণে এই পবিত্র স্থান আজ কলুষিত। প্রতিটি শিক্ষার অঙ্গনে আজ সন্ত্রাসীদের পদধ্বনি। গঠিত বেশিরভাগ অশিক্ষিতদের দাপটে শিক্ষাঙ্গনের মতো পবিত্র তীর্থস্থান আজ কলঙ্কের কালিমায় লিপ্ত।
হাজার হাজার বিরহ ও মেধাবী মুখ সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি। সন্ত্রাসের ভান্ডবে কেউ প্রতিটি সচেতন অভিভাবক আতঙ্কিত। তাদের মনে মূর্তি মান জিজ্ঞাসা, আমার সন্তান নিরাপদে বাড়ি ফিরবে তো? হয়তো ফেরে কেউ কেউ, হয়তো কেউ আবার রাজপথে কাগজ- কলম ফেলে রেখেই চেরনিদ্রায় শায়ত হয়। অন্যদিকে নষ্ট রাজনিতি খপ্পরে পড়ে অনেক মেধাবি ছাত্র ছাত্রী নিজেই হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী। আমাদের রাজনৈতিক সংগঠন গুলো নিজেদের হীন স্বার্থ উদ্ধারের করার জন্য ব্যবহার করছে ছাত্রদের। ফলে অনেক ছাত্র কলম ছরে তুলে নিচ্ছে অস্ত্র।
অধ্যায়ন ছেড়ে ছাত্ররা জরিয়ে পড়ছে ্বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন সন্ত্রাস কর্মকান্ডে। আজ শিক্ষাগণ ভরে উটেঠে সন্ত্রাস, মাস্তান আর চাঁদা বাজে।ফলে শিক্ষার সাভাবিক কার্যক্রম ব্যবহৃত হচ্ছে। নকল বাজারদের বাধা দিয়ে শিক্ষক হচ্ছেন লাঞ্ছিত। ছাত্রীরা হচ্ছেনা না গঞ্জনার শিকার। কখনো বা মেধাবী কখনো সুন্দরী ছাত্রীকে এইডসদগ্ধ করা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার পথপিট বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস অবহিত হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকছে বন্ধ। সেশান জেড এর জটিল আপদ দে আটকে যাচ্ছে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের মূল্যবান সময়।
সন্ত্রাস নির্মূলের আমি নিম্নরূপ সুপারিশ পেশ করছি
- ছাত্র রাজনীতিকে দলীয় লিচুবৃত্ত থেকে মুক্ত করলে কল্যাণকর দৃষ্টিভঙ্গি রাজনীতির চর্চা করতে হবে।
- শিক্ষাগণকে সন্ত্রাস মুক্ত এলাকা বলে সরকারিভাবে ঘোষণা করতে হবে।
- অনলাইনে ফাঁক দিয়ে সন্ত্রাসীরা যাতে মুক্তি না পাই তার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে। শুধু আইন প্রণয়ন নয়; আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও আন্তরিক হতে হবে।
- জনমত সৃষ্টির করে সন্ত্রাসীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
ছাত্র নামধারী কেউ সন্ত্রাসে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার ছাত্রত্ব বাতিল করে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতে হবে। আশা করি উপরক তো ব্যবস্থাদি গ্রহণের মাধ্যমে সন্ত্রাস চিরতরে নির্মূল হবে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
বিনীত
ফারহান
বনলতা ভবন
দেবিদ্বার, কুমিল্লা
মনন বিকাশের জন্য গ্রন্থাগার চেয়ে সংবাদ প্রতিবেদন
তারিখঃ ২৩-০৪-২০২৫
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক জনকণ্ঠ
২৪, নিউ স্কার্জেন রোড, ঢাকা
বিষয়ঃ সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন
জনাব
আপনার বহুল প্রচারিত এই বস্তুনিষ্ট সংবাদপত্র ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় প্রকাশের জন্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি চিঠি এইসঙ্গে পাঠাচ্ছি। আশা করি, এটি প্রকাশ করে এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞভাজন হবেন।
নিবেদক
হারুন হাসান
হরিনাথপুর, পলাশবাড়ি
গাইবান্ধা।
’মনন বিকাশের জন্য গ্রন্থাগার চাই’
গাইবান্ধ্যা জেলার হরিনাথপুর একটি জনবহুল ও বির্ধিষ্ণু গ্যাম। এ গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার লোক বসবাস করে। এখানে একাধিক, স্কুল, বাজার, মাদ্রাসা, ব্যাংক সহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অত্যান্ত পরিত্রা আপের বিষয়, এখানে কোন গ্রন্থকার নেই। ফলে জ্ঞান পিপাসু ও শিক্ষা দের বহুদূর জেলা শহরে গিয়ে বই বা পত্রিকার সংগ্রহ করতে হয়।
অথচ গ্রামে একটা গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী থাকলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী শিক্ষক চাকরিজীবী সকল অবসরের অবকাশে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেত। উঠিতে বয়সী তরুণরা বই, পত্রিকা পড়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ পেত। এর ব্যাপারে নানা সময় বিভিন্ন মহল থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।
নিবেদক
এলাকাবাসীর পক্ষে.হারুন হাসান
হরিনাথপুর, পলাশবাড়ী
গাইবান্ধা।
আর পড়ুনঃ বাচ্চাদরে দাত তোলার সহজ উপায়
আমাদের শেষ কথা - সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
আমরা এতোক্ষণ জানলাম সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম ও নুমুনা যা আমাদের সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম কে আরো বিদ্ধী করে। আপনি যদি উপরক্ত সব কিছু ভালভাবে পড়ে থাকেন তাহলে আসা করি এই বিষয়ে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয়। তবে তাও যদি এই বিষয়ে আপনার কোন মাতামত থাকে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। কারন আমরাপ প্রত্যেক েএর কমেন্ট রিভিউ করি। আমার বিভিন্ন ধরনের তধ্য প্রতিদিন আপডে করে থাকি তাই আমাদের ওয়েবসাইটি প্রতিদিন ভিজিট করুন।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url