আজ বাংলা কি মাস কত তারিখআপনি কি জানতে যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে বা যুক্তিবিদ্যা বলতে কি বুঝা? আপনি যদি জানতে চান সত্যি পিতা কাকে বলে বা যুক্তিবিদ্যা বলতে কি বুঝা তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই বিষয় নিয়ে খুব ভালোভাবে আলোচনা করছি।

তাই আপনি যদি জানতে চান যুক্তিবিদ্যা বলতে কী বুঝ বা যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে? তহলে আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

যুক্তিবিদ্যা বলতে কি বুঝ এবং যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে এই বিষয়ে জানার আগে আমাদের জানতে হবে যুক্তিবিদ্যার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে তাহলে আমরা পরবর্তি বিষেয়টি ভাল করে বুঝতে পরবো। মানব ইতিহাসে সব পর্যায়েই কার্যকারণের বিদ্যার বিষয় টি বিদ্যমান ছিলো।

মানুষ বিভিন্ন ঘটনা পত্যক্ষ করে তার করণ নিয়ে ভাবত। নীতিগল্প অনুযায়ী, প্রথম জ্যামিতির সূত্র ধরেই যুক্তি প্রতিষ্ঠা সম্পকির্ত ধারণা উদ্ভব। জ্যামেতি বলতে বোঝানো হতো পরিমাপ। এই ক্ষেত্রে প্রচিন মিশিরিয়রাই অগ্রনি ভূমিকা পালন করেছিলেন। তারা জ্যামেতির কিছৃ প্রায়োগিক সূত্র আবিকষ্কার করেণ; যেমন ছিন্নাগ্র পিরাুমডের আয়তন নির্ণয়ের সূর্ত্র।

যুক্তিবিদ্যার আরে একটি চর্চাস্থল ছিল ব্যাবিলনিয়া। কতিপয় যৌক্তিক স্বতঃসিদ্ধ ও অনুমতির ওপর ভিক্তি করে খ্রিস্টপূর্ব একাদশ শতাব্দীতে ইসাগিস-কিন-অ্যাপিলের রোগ নির্নয় পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাছাড়া সপ্তম ও অষ্টম খিষ্টপূর্বাদ্বে ব্যাবিলনিয়ান জ্যেতির্বিদগণ গ্রহণক্ষত্র সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করেন যা বৈজ্ঞানিক দর্শনের ক্ষেত্রে একে বিশাল অবদান। এরপর এই চর্চা অব্যাহত থাকে এবং বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

যুক্তিবিদ্যার চর্চার ইতিহাসকে পর্যায়ক্রমে আমরা চারটি যুগে ভাগ করতে পারি। এগুলো হল- প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ ও সাম্প্রতিক।

অবৈধ নেই বা যুক্তি থেকে বৈধ নেই বা যুক্তিকে পৃথক করার পদ্ধতি ও নীতিসমূহের একটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যা হল যুক্তিবিদ্যা।

যুক্তিবিদ্যা বলতে আমি যুক্তিসংক্রান্ত বিজ্ঞানকে বুঝি। যুক্তির বিজ্ঞান হিসেবে যুক্তি হলো যুক্তিবিদ্যার প্রধান আলোচ্য বিষয়। যুক্তিবিদ্যা যুক্তির বৈধতা অবৈধতা নির্ণয় করে। তাই বলা চাই অবৈধ যুক্তি থেকে বৈধ যুক্তির পার্থক্য করনের একটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যা হল যুক্তিবিদ্যা।

পদ্ধতিগত জ্ঞান বিকাশের বিভিন্ন স্তরে যুক্তিযুক্ত চিন্তার জটিল পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও যুক্তিযুক্ত চিন্তার তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্লেষণের জ্ঞানশালা হিসেবে যুক্তিবিদ্যার বিকাশ প্রাচীন, ভারত ও গ্রিসে। যদিও সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করা একটু সুদৃহ তথাপি এই তিনটি জ্ঞান ভিত্তিক পরিমাণগুলো চুক্তি বিদ্যার বিকাশ লাভ করেছে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে।

এ সময় পদ্ধতিগত যৌগিক চিন্তা এবং যুক্তিবিদ্যার বিভিন্ন উপায় নির্ধারণের বিক্ষিপ্ত চেষ্টা করা হয়েছে। পদ্ধতিগত জ্ঞানশালা হিসেবে যুক্তিবিদ্যার যাত্রা প্রাচীন গ্রিস এবং পরবর্তীকালে মধ্য ইউরোপীয় ও ইসলামী দার্শনিকদের দ্বারা গ্রিসীয় যুক্তিবিদ্যার বিশেষ করে অ্যারিস্টটলীয় যুক্তিবিদ্যা, গঠন-পাঠন ও অনুবাদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতের ছড়িয়ে পড়ে।

গতানুগতিক যুক্তিবিদ্যা বলতে বোঝায় যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কিত পাঠ্যপুস্তক প্রচলন এর মাধ্যমে যুক্তিবিদ্যার পঠন পাঠন ও অনুশীলন। এ ধরনের চুক্তিবিদ্যার সূত্রপাত হয় ১৬৬২ সালে এন্টনি আর্নল্ড ও বিয়ের নিকোলির Logic, on the Art of thinking প্রকাশিত হওয়ার পর। ১৮৪৩ সালে জন স্টুয়ার্ট মিলের System of logic প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে এটি ছিল সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী গ্রস্থ।

জন লক তার Essay Concerning Human Underanding গ্রন্থে বচনের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে। ১৬২০ সালে প্রকাশিত হয় ফ্রান্সিস বেবকনের Novum Organum । আইজ্যাক ওয়ার্ড এর Logick : or Right Use of Reason (1725), রিচার্ড হোয়ার্ডলির Logic (1826), জে. এস. মিলের A System of Logic (1943) গতানুগতিক যুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম যুক্তিবিদ্যা বলতে কি বুঝ এবং যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে এবং আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আমাদের জানা প্রয়োজন। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করি। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন কারণ আমরা প্রতিদিন এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে থাকি।