সময়ানুবর্তিতা রচনা লিখুন SSC HSC JSC
আপনি কি সময়ানুবর্তিতা রচনা খুঁজছেন? আপনি যদি সময়ানুবর্তিতা রচনা করে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়ার জন্য সময়ানুবর্তিতা রচনাটি ভালোভাবে তুলে ধরেছি।
আপনি যদি সময়ানুবর্তিতা রচনাটি লিখে সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে চান তাহলে আপনি নিম্নলিখিত এর রচনাটি মুখস্ত করে যে কোন পরীক্ষায় লিখতে পারেন।
সূচিপত্রঃ সময়ানুবর্তিতা রচনা
ইভিভিটিভি
সময়ানুবর্তিতা রচনা
নিম্নলিখিত রচনাটি হল সময়ের মূল্য বা সময়ানুবর্তিতা রচনা। আপনি নিম্নলিখিত সময়ানুবর্তিতা রচনাটি সকল শ্রেণীর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এবং আপনি যদি নিম্নলিখিত সময়ানুবর্তিতা রচনাটি লিখেন পরীক্ষায় খাতায়। তাহলে আপনি সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে পারেন। তাই আপনি যদি সময়ানুবর্তিতা রচনাটি লিখে বেশি নাম্বার পেতে চান তাহলে নিম্নলিখিত সময়ানুবর্তিতা রচনাটি যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আপনি সেভাবে ভালোভাবে পড়ে পরীক্ষায় খাতায় লিখবেন তাহলে আপনি খুব সহজেই সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে পারেন।
প্রবন্ধ-সংকেত
- ভূমিকা
- সময়ের গুরুত্ব
- সময়ের অবহেলা পরিণাম
- সময়ের মূল্যবোধের অর্থ
- সময়ের অপচয়ের অর্থ
- সময়ের সদ্ব্যবহার
- উপসংহার
- সময়ানুবর্তিতা
সময়ানুবর্তিতা
ভূমিকা: কবি বলেছেন,
” হায়রে হৃদয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশিন্তে শুধু পথ প্রশান্তে ফেলে যেতে হয়
নাই নাই, নাই যে সময়।” - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মর্ত্যের মানুষের চিরন্তর বাণীহারা কান্না - নাই নাই, নাই যে সময়।" পৃথিবীর আকাশ-বাতাস, অরণ্য -প্রবর্ত ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত করে ওঠে সেইএক হাহাকার ক্রন্দন - নাই নাই, নাই যে সময়।' অনন্ত প্রসারিত সময়ের যাত্রাপথ। পৃথিবীর ’পথিকি’মানুষ সময়ের সেই পথরেখা ধরে অগ্রসর হয়। সময়ের মতো মানব জীবন যদি অনন্ত হীন হত, তাহলে দুঃখ থাকতো না মানুষের।
সময় নিরবধি, কিন্তু মানব জীবন সংক্ষিপ্ত। এখানেই গরমিল। মানুষ চাই তার সংক্ষিপ্ত জীবন আয়তনের মধ্যে বহুতর কর্মের উদযাপনা। কিন্তু সময় তা মঞ্জুর করে না। কর্ম উদযাপনের আগেই তার বিদায় ডাক এসে পড়ে। মানুষের কাছে সময় তাই অমূল্য ধন।
সময় চলে যায় নদীর স্রোতের মতো। চিরন্তন প্রবাহন তই তার মূল বৈশিষ্ট্য। ভোটের জন্য কোথাও সে স্থির থাকে না। কারো জন্য অপেক্ষা করে না। মানুষের জীবনে ও সময়ের সেই অনন্ত ছন্দে সুর বেধেছে। সময়ের অন্তহীন প্রবাহের সে ছুটে চলেছে জন্ম থেকে মৃত্যুর অভিমুখে।
সময়ের গুরুত্বঃ সময়ের সেই অস্থির ধাবমানতার জন্যই জীবন মানুষের কাছে অপরম মূল্যবান। সময় অনন্ত, কিছু জীবন সীমাবদ্ধ। তার এক প্রান্তে জন্ম, অন্যপ্রান্তে মৃত্যু। এই জন্ম ও মৃত্যুর শোষণে জীবন সদা সংকুচিত। মানুষ চাই সময়ের অনন্ত হীনতার মত অনন্ত হীন জীবন; কিন্তু পায় না।
মানব জীবনের চরম ট্রাজেডি এখানেই। পলায়ন ফর সময়ের দিকে তাকিয়ে বিশদ ময় কণ্ঠে কবি সুইনবার্ন শেষ পর্যন্ত বলেন, His life is a vision or a watch between a sleep and a sleep.' দুই প্রান্তেই ঘুম,ঘূমের মত অন্ধকার। মাঝখানে শুধু একটুখানি চোখ মেলে চাওয়াই জীবন। জীবনের এই সীমাবদ্ধতার জন্য বাংলার লোক কবি ও অশ্রু বিসর্জন করেছেন - ‘এবার গঙ্গা ওপার গঙ্গা মধ্যিখানে চর।
একবারে জন্ম, অন্য পাড়ে মৃত্যু; মাঝখানে জ্বরের মতো জেগে ওঠা সংক্ষিপ্ত, সীমাবদ্ধ জীবন। অনন্ত সমুদ্র সাঁতার দিয়ে সেই জীবনের সংক্ষিপ্ত চরে ওঠা; তারপর ভেসে চলে যাওয়া। এরই নাম জীবন যা শুধু ঘন্টা আর মিনিটের সমাহার মাত্র। জীবনের এই সীমাবদ্ধতার জন্যই সময় এত আদরের, এত মূল্যবান। সময় অনন্ত, কিন্তু জীবন তার অতি সামান্য ভগ্নাংশ মাত্র।
জীবন থেকে যে সময় একবার চলে যায় তা আর ফেরা সম্ভব হয় না। সময়ের গুরুত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে রবাট ব্রাউনিং বলেছেন, “ একটা দিন চলে যাওয়া মানে জীবন থেকে একটা দিন ঝরে যাওয়া।” তাই সময়ানুবর্তিতার গুরুত্ব সম্পর্কে যথার্থ সচেতন থাকা প্রয়োজন। সময় জীবনকে গঠনের যে সুযোগ দেয়, তাকে কাজে লাগাই সাফল্য অনিবার্য হয়ে ওঠেন।
সময়কে যারা অবহেলা করেন, সময়ের মূল্যবোধ সম্পর্কে যারা সচেতন নয়, তারা কখনোই সুখের সন্ধান পায় না। সুতরাং মানবজীবনে সময়ানুবর্তিতার গুরুত্ব অপরিসীম।
সময়ের অবহেলার পরিণামঃ জীবনের এই সীমাবদ্ধ অবসরের দুর্লভ সময়ের যে ভগ্নাংশটুকু পাওয়া যায়, তার সত্য পাহাড়ের মাধ্যমে জীবন সার্থক এবং সুখময় হয়ে ওঠে। কাজে জীবনের সংক্ষিপ্ত সীমায়তনের মধ্যে যে পরম মূল্যবান সময় আমরা হাতে পাই, সেই দুর্লভ সময় যদি অবহেলা করে, আলস্যভারে কাটিয়ে দেয়,
তাহলে তা হবে সময়ের নির্বোধ অপচয় মাত্র। সেই অপচয়ের পরিণাম আমাদের জীবনে একদিন মর্মান্তিক দুঃখ আর অনুশোচনা নিয়ে আসবে। তবে বুক ফাটা আটকানোর কিংবা সমুদ্র অশ্রুবর্শনের কিংবা অনুতাপে দক্ষ হলেও সে আলসে অতিবাহিত সময় আর ফিরে পাওয়া যাবে না। প্রবাদে আছে -
”সময় কারো হতধরা নয়
সময় হয় জলের মতন।’
সময়ের মূল্যবোধের অর্থঃ প্রকৃতপক্ষে, সময়ের যথার্থ মূল্যবোধি জীবনের সাফল্য অর্জনের সোপান। সময়ের মূল্যবোধ হল, যেসময়ের যে কাজ, তার সেই সময়ে সম্পাদন করা। জেতা করে না, সে করে সময়ের অমর্যাদা এবং পরাজয়ই হয় তার জীবনের চরম পরিণতি। সময়ের এই অবহেলা জন্য ভবিষ্যতে তাকে অনুশোচনা করতে হবে।
যে কৃষক ফসলের ঋতুতে ফসলের বীজ বপন না করে আলস্যের সময় অতিবাহিত করে, সে কিভাবে ফসল ওঠার সময় খামার পূর্ণ ফসল আশা করতে পারে? সময় চলে গেলে তখন আর কান্নাকাটি করেও লাভ হয় না। প্রবাদে আছে-
” সময় না দেই দোষ
তার দুঃখ বারো মাস।”
মানব জীবনেও সেই একই কথা। জীবনের যখন শক্তি থাকে, সামর্থ্য থাকে, তখন আলসে যথাযথ কলহরণ করে জীবন কাটালে শেষ বয়সে অবশ্যই দুঃখ ভোগ করতে হয়। তাই সময়ের মূল্যবোধের গুরুত্ব অনেক।
সময়ের অপচয়ের অর্থ: সময়ের মূল্যবোধের অভাবের পিছনে আছে মানুষের নিরাসক্ত জীবনবোধ, আলশ্য উদাসীনতা এবং অদৃশ্য সময়ের নিঃশর্ত অনন্ত যাত্রা। সবাইকে চোখে দেখা যায় না, তার অনন্ত যাত্রার ঘন্টাধনীয় শোনা যায় না। মানুষ তাই মনে করে সময় ও বুঝি তার আলোচ্যের অনর্থ পাথরের মতো স্থির হয়ে আছে।
তাই সময় পৃথিবীর অলস, মানুষের থাকি দিয়ে তার আনাদি যাত্রা পথে প্রস্থান করে। কিন্তু সময় পৃথিবীর সেই অলস, কর্ম বিমুখরদের অলস্য এবং কর্মবিমূহ তাকে ক্ষমা করেনা। সে তাদের কপালে দুঃখময় ভবিষ্যতের অভিশাপ এঁকে দিয়ে প্রস্থান করে। প্রকৃত অর্থে বাঁচতে জানে তারাই। জীবন এবং সময় অমূল্য। সময়ের অপব্যবহারের অর্থ যেমন অপচয় দুর্লভ মানব জন্ম তেমনি অপচয়ের জন্য নয়।
সময়ের সদ্ব্যবহার: শৈশবেই কর্মজীবনে প্রবেশের তোরণ দ্বার। এই সময়েই জীবনের প্রস্তুতির কাল। ভবিষ্যৎ জীবনের সকল দায়িত্বভার গ্রহণের যোগ্যতা এই সময়ে অর্জন করতে হয়। শৈশব কালের প্রতিটা মুহূর্তকে যথা ভাবে ব্যবহার করলে এবং অমূল্য সময়ের অপচয় না করে তার প্রতিটা দুর্লভ মুহূর্তকে জীবন ক্ষেত্রে করলে পরবর্তীকালে সুখ ও প্রশান্তি দুই পাওয়া যায়।
শৈশবে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে জীবন মূল্যবান এবং তার আনন্দভুক্ত সময়ে অত্যান্ত সীমিত ও অমূল্য। সে অমূল্য সম্পদ আছে আমাদের সকলের অধিকার, সকলের হাতে মুঠোয় সৎ এবং মহৎ কাজে লাগাতে পারলেই হবে তারপর সদ্ববহার। কর্মই সময়ের পরিমাপের একমাত্র মাপকাঠি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কে কত মহৎ এবং মূল্যবান কাজ সম্পন্ন করতে পারে, তা দিয়েই তার সাফল্য বিবেচিত হয়।
তাই জীবনে মানুষ কতদিন বেঁচেছে, তা বড় কথা নয়-সে জীবনে কত মহৎ কর্ম সম্পন্ন করেছে এবং অনুষ্ঠানের ফলে মানব সমাজ কতদিন উপকৃত হয়েছে, তাই তার সাফল্যের পরিচয়। তাই আবাল্য অভ্যাসের দাড়াই শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন এবং তার দ্বারাই দুর্লভ সময়ের স্বদ্যবহার আয়ত্ত করা সম্ভব সেই অভ্যাসের দ্বারা, সেই প্রস্তুতির ফলে জীবনে আসে সময়ানুবর্তিতা, জীবনের সাফল্য লাভের চাবিকাঠি এবং সময়ানুবর্তিতার মাধ্যমে কল্যাণপূর্ত কর্মের জীবনের চরম সার্থকতা। কবি বলেছেন,
” পরিশ্রম ধনা আনে, কর্মে আনে সুখ,
আলস্যে দারিদ্র্য আনে, পাপে আনে দুঃখ।”
উপসংহারঃ সময় অপচয় একটা বড় অপরাধ। যারা সময় নষ্ট করে তারা জীবনে উন্নতি করতে পারে না। সময়ের যথার্থ মূল্যবোধই ব্যক্তি এবং জাতীয় জীবনের স্বাদ করলেন সোপান। যেহেতু সময় জীবনের সমস্ত সাফল্য ও সুখের উৎস তাই প্রত্যেককে সময়ের মূল্য সম্বন্ধে সচেতন হওয়া এবং তার স্ব্যবাহার করা উচিত। তবে এই জাতি পাবে গতি, দেশ হবে সমৃদ্ধ, জীবন হবে আনন্দময়।
লেখকের মন্তব্য
আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম সময়ানুবর্তিতা রচনা সকল শ্রেণীর জন্য। আপনি উপরোক্ত স সময়ানুবর্তিতা রচনাটি সকল শ্রেণীর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এই বিষয় যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা প্রতিদিন প্রকাশ করে থাকি আপনি যদি এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url