অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারণআপনি কি টিউমার চেনার উপায় বা সিস্ট কি টিউমার সম্পর্কে জানতে চান। আপনি যদি টিউমার চেনার উপায় এবং সিস্ট কি টিউমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই পুরো নিবন্ধনটির মাধ্যমে টিউমার চেনার উপায় এবং সিস্ট কি টিউমার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা জানতে চান টিউমার চেনার উপায় বা সিস্ট কি টিউমার নিয়ে সকল তথ্য তাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমি এই নিবন্ধনটি তৈরি করেছি।

আমরা যেহুতু টিউমার সম্পর্কে সকল তথ্য জানবো এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে এই জন্য আমাদের সবার প্রথমে যেটি জানা প্রয়োজন তাহলো টিউমার কি? কারন আমরা যদি টিউমার কি এই বিষয় টি না জানি তাহলে আগে আমরা টিউমার চেনার উপায় বা সিস্ট কি টিউমার এই গুলো জেনে কি করবো তাই না।

আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে অবগত রয়েছেন যে মানুষের কোষ বৃদ্ধি পায়। একটা সময় মানুষের এই কোষগুলি মরে যায়। তখন এই পুরাতন মরাকোষ গুলির পরিবর্তে নতুন কোষ সৃষ্টি হয় বা মাংস বৃদ্ধি পায়। মানুষের শরীরে মাংস পিঠে পায় এটা স্বাভাবিক।

কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে মানুষের দেহে কোন জায়গার যদি মাংস বৃদ্ধি পায় তাহলে আমরা সেটাকে বলতে পারি টিউমার। এক কথায় বলতে পেরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মানুষের কোন অংশের মাংস হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা আস্তে আস্তে অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়াকে টিউমার বলে।

আমরা যেহেতু জানলাম টিউমার কি? সেজন্য আমাদের জানাও উচিত টিউমার কত প্রকার ও কি কি? অনেকেই আমাদের মধ্যে রয়েছেন যারা টিউমার কি এবং কত প্রকার এই সকল তথ্য জানেন? কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যারা টিউমার কি এবং কত প্রকার তা কোন ধারণা নেই।

সাধারণত টিউমার দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন প্রথমটি হল ম্যালিগ্যান্ট এবং দ্বিতীয়টি হল বেনাইন টিউমার। আবার কখনো কখনো ম্যালিগ্যান্ট টিউমার কে বিশেষজ্ঞরা ক্যান্সার ও বলে থাকেন।

টিউমার চেনার উপায় জানার আগে আমাদের অবশ্যয় জানতে হবে ম্যালিগ্যান্ট টিউমার কি? এই বিষয়ে কারন আমাদের যদি টিউমার সম্পর্কে ভাল করে না জানলে পরবর্তিতে আমরা যখন টিউমার স্মর্কে আলোচনা করবো তখন আপনি কিছু বুঝতে পারবেন না। তাই টিউমার চেনার উপায় বা সিস্ট কি টিউমার এই বিষযে ভাল ভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের অবশ্যয় জানতে হবে ম্যালিগ্যান্ট টিউমার কি বা টিউমার সম্পর্কিত সকল তথ্য।

ম্যালিগ্যান্ট টিউমার হলো এমন একিটি টিউমার যা মানুষের মস্তিকে বিষেশ করে হতে পারে। এই ম্যালিগ্যান্ট টিউমার মস্তিকের ভিতর পাওয়া যায়। এই ম্যালিগ্যান্ট টিউমার টি ক্যেন্সোর এর আকার ধারণ করে। এই ম্যালিগ্যান্ট টিউমার টি অনেক বড় সাইজের হতে পারে এবং মেটাস্টিসিস করতে পারে। এর মানে হলো এই ম্যালিগ্যান্ট রোগটি এক জায়গা থেকে অন্য দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এই ম্যালিগ্যান্ট টিউমার টি মস্তিষ্কের নিম্নবাহিত স্থানে দেখা দেয়। মস্তিষ্কের নিম্নবাহিত স্থানে এই টিউমারটি হয় বলে মস্তিষ্কের পানি শূন্যতায় এবং স্থিতিশীলতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এই ম্যালিগ্যান্ট রোগ টি হলে আমাদের মস্তিকের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমনঃ মেমোরি লস, মাথা ব্যথা, বিবৃতি অস্বস্তি, অস্বাভাবিক অবস্থান বা অন্যান্য পরিবর্তন এ ধরনের আরো অনেক সমস্যা হতে পারে।

আমরা এতক্ষণ জেনেছি ম্যালিগেন্ট টিউমার কি? আমরা যেহেতু এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে টিউমার চেনার উপায় জানব সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে জানতে হবে বেনাইন টিউমার কি? বেনাইন কোন ক্যান্সার নয়। বেনাইন হলো এমন একটি গঠন যা সাধারণত জীবজন্তুর হারানো কোষের থেকে বিকাশিত হয়ে থাকে।

এ টিউমারটি অসাধারণভাবে এর আকার ততটা বৃদ্ধি পায় না। 8 টি মাটি বিশেষ পরীক্ষা ছাড়া সহজেই শনাক্ত করা যায় না কারণ এই টিউমারটি মানুষের পরিচালনার সাথে মিলিত। এ ধরনের টিউমার সাধারণত নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না।

তবে এই টিউমারের বিভিন্ন লক্ষণ এবং টিউমারের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। বেনাইন টি মাটি মানুষের জন্য ততটা অক্ষতিকারক নয়। এই রোগটি সহজেই ভালো করা যায় এই জন্য এই রোগের জন্য কোন মারাত্মক বা বড় কোন চিকিৎসা করতে হয় না।

আমরা যেহেতু ইতিমধ্যে জেনেছি টিউমারকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় এজন্য কোন টিউমারটি হলে কিভাবে বুঝবেন কিভাবে টিউমার চিনবেন। সেগুলি আমরা ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি। আপনি যদি টিউমার চেনার উপায় জানতে চান আপনি যদি টিউমার চেনার উপায় জেনে ভালোভাবে টিউমার সনাক্ত করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ গুলি অবশ্যই জানতে হবে। আপনি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ গুলি দেখে খুব সহজেই টিউমার শনাক্ত করতে পারবেন।

বেনাইন টিউমার চেনার জন্য বেনাইন টিউমারের লক্ষণ রয়েছে। আপনি যে লক্ষণগুলি দেখলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন বেনাইন টিউমার হয়েছে। বেনাইন টিউমার চেনার জন্য বেনাইল টিউমারের লক্ষণ নিচে দেওয়া হল।

বেনাইন টিউমার হলে সাধারণত অস্বস্তি সৃষ্টি করে না। এই টিউমারটি ক্যান্সারের মত ততটা বড় নয়।

অস্বস্তি বা জালানিঃ কোন অস্বস্তি বা জ্বালানি অনুভূতি সাধারণত বেনাইন টিউমারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

অবস্থা পরিবর্তনঃ বেনাইন টিউমার টি ম্যালিগ্যান্ট টিউমারের মতো দ্রুত অন্য জায়গায় চরিয়ে যেতে পারে না। কারণ এটি মাটি একই স্থানে অবস্থান করে।

ব্যথা বা অসুস্থতাঃ মাটি হলে ব্যথা বা অসুস্থতা অনুভব নাও হতে পারে তবে কোন কোন ক্ষেত্রে হতে পারে। এজন্য বেনাইন টিউমারটি নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে।

মোটর বা সেস্নরি ফাংশণ সংক্রান্ত সমস্যা

অন্যান্য লক্ষনঃ যেমন মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা জ্বর শরীর অসুস্থতা ভালো না লাগা প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হওয়া ইত্যাদি আরো অন্যান্য অনেক কারণ রয়েছে।

বেনাইন টিউমার চেনার উপায় হিসেবে আপনি নিম্নলিখিত উপায় বলেই দেখতে পারেন।

মেডিকেল পরীক্ষাঃ করার জন্য আপনি প্রাথমিকভাবে আপনি মেডিকেল পরীক্ষা করে নিতে পারেন। (যেমনঃ এমআরআই, এক্সরে, কম্পিউটার টমোগ্রাফি) মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যানার সনাক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠে খুব সহজেই। এবং সেইমার সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।

লক্ষণ গুলি মনিটরিংঃ টিউমারের উপস্থিতি সাধারণত কোন লক্ষণ বা অসুস্থতা অনুভব হয় না। তবে সে ক্ষেত্রে যদি কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় কিংবা আরো বিভিন্ন লক্ষণ কিংবা সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পর্যবেক্ষণঃ বেনাইন টিউমার চেনার উপায় হিসেবে অবশ্যই আপনাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়মিত যেতে হবে।

ব্যথা এবং অসুস্থতার মনিটরিংঃ বেনাইন টিউমার হলে কোন ব্যাথা বা অসুস্ততা হয় না।

আত্মসতর্কতাঃ শারীরিক এবং মানসিক যে কোন সমস্যা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত ডক্টরের পরামর্শ বা চিকিৎসা অনুযায়ী সমস্ত কিছু কাজ করা কিংবা চলাফেরা করা।

ম্যালিগ্যান্ট টিউমারের বৈশিষ্ট রয়েছে নিম্নে কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা ও উল্লেখ করা হলো।

ম্যালিগ্যান্ট টিউমার চেনার উপায় জানার জন্য আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহন করতে পারেন।

মেডিকেল পরীক্ষাঃ ম্যালিগ্যান্ট টিউমার চেনার জন্য আপনাকে প্রথমে মেডিকেল পরীক্ষা করতে পারেন। (যেমনঃ CT স্কান, এক্রা-রে এবং পেট স্ক্যার করতে পারেন।

বাড়িতে পাওয়া সংগঠনের পরিবর্তনঃ ম্যালিগ্যান্ট টিউমারের উপস্থিতিতে বাড়িতে পাওয়া সংগঠনের পরিবর্তন হতে পারে যা আকারের রংয়ের এবং আকারের একটি পরিবর্তন হতে পারে।

বৃদ্ধি এবং গঠনের পরিবর্তনঃ এটি মাটি হলে যে জায়গায় টিউমার হয় সেই জায়গার মাংস বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এবং বিভিন্ন গঠনের পরিবর্তন হতে পারে।

ব্যথা বা অসুস্থতাঃ এ টিউমারটি হলে ব্যথা বা অসুস্থতা অনুভব হতে পারে। এজন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

লক্ষণ গুলিঃ ম্যলিগ্যান্ট টিউমারের লক্ষণ গুলির মধ্যে অন্যতম হলোঃ মেমোরি লস, অস্বাভাবিক আচরণ, বিবৃতি অস্বস্তি।

উপর রক্ত উপায় গুলি দেখে আপনি খুব সহজে যেকোনো টিউমার চিনতে পারবেন। আশা করি আপনি যদি উপর রক্ত এই কয়েকটি উপায় দেখেন বা বৈশিষ্ট্যগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন টিউমার হয়েছে এবং কোন টিউমার হয়েছে সেটিও বুঝতে পারবেন। আশা করি উপরোক্ত উপায় এবং বৈশিষ্ট্য গুলি দেখে টিউমার চেনার উপায় জেনে গেছেন।

আমাদের এখন জানা উচিত সিস্ট কি টিউমার? অনেকের মধ্যে প্রশ্ন আসে অনেকেই জানেন না কিংবা অনেকেই তো চিন্তা করেন যে সিস্ট কি টিউমার? কোনটা টিউমার কিংবা কোনটা সিস্ট এটা নিয়ে কিন্তু আমাদের সবার মধ্যে কনফিউশন থাকে। সবাই ভাবেন টিউমার এক জিনিস সিস্টা এক জিনিস আবার অনেকেই ভাবেন টিউমার এবং সিস্ট একই জিনিস তা কিন্তু নয়।

কোনটা টিউমার আর কোনটা সিস্ট এটা আলাদা আলাদা ভাবে বোঝা দরকার। প্রথমেই আছি শব্দ দুটির মানে। টিউমার কথাটির অর্থ হল সুইল। যে কোন রকমের ফোলা কে টিউমার বলা যেতে পারে, সেইটাও সিস্ট হতে পারে আবার সলিডও হতে পারে। সিস্ট মানে কি? সিস্ট মানে জল ভরা বেলুন।

অর্থাৎ আমি যদি একটি বেলুনের মধ্যে জল ভরে দেই তার যে ফিল্মটা হয় সেটাকে বলা হয় সিস্ট। আমার শরীরে যদি একটি শোলিং থাকে যেটি পুরোপুরি সলিড পুরোপুরি ভাবে মাংস দিয়ে তৈরি তাহলে আমরা সেটিকে বলব সলিড টিউমার।

আবার সেই টিউমারটা যদি দেখা যায় লিকুইড বা রক্ত রস বা পুচ বা বাজে কোন ধরনের স্লুিইড দিয়ে তৈরি তাহলে আমরা সেটাকে বলবো সিস্ট। দুটো কিন্তু একদম আলাদা। টিউমার কথাটির অর্থ সলিড এর নকশা প্রতি বা সলিড একটি মাংস উপব্রিত। এক কথায় মাংস বৃদ্ধ বা মাংস দিয়েই শুধু তৈরি সেটি হল টিউমার। এবং সিস্ট মানে জল ভারা বেলুন।

আমাদের জানা প্রয়োজন সিস্ট এবং টিউমার কোথাই হয়। আমরা ইতিমধ্যে যেহেতু জেনেছি শেষ এবং টিউমার দুটি আলাদা এজন্য আমাদের জানা উচিত সিস্ট এবং টিউমার কোথায় হয়। দুটো হবার জায়গাও আলদা সাধারন ভাবে দেখা যায় ইয়াং মহিলাদের পলিসিস্টিক ওভারি হয় অর্থাৎ ওভারির মধ্যে জল ভরা বেলুন তৈরি হয়।

সেটা কিন্তু টিউমার নয় বা ক্যান্সার নয় সেটি পলিসিস্টক ওভারি। এটি থেকে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। আবার দেখা যাই শরীরের অন্যান্য সলিড আরগানি যেমন ব্যেস যেমন পেটের মধ্যে লিভার এবং কিডনি বা অন্যান্য শরীরের মাসাল গুলি এগুলির মধ্যে সলিড টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিস্ট বা টিউমার হলে করনিয় কি? যখনই আপনি দেখতে পাচ্ছেন আপনার শরীরের কোন ফোলা দেখতে পাচ্ছেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। এ কৃষক যদি মনে করেন এটি সাধারণ টিউমার তাহলে চিকিৎসক কিছু আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সিটি স্ক্যান বা সুচ ফুটিয়ে রস নিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।

যদি সিস্ট হয় তাহলে সিস্ট থেকে জল আলট্রাসনোগ্রাফি সিটি গাইডের ইফেনেসি বা সিটি গাইডেট পরিক্ষার মাধ্যমে টেনে নিয়ে দেখে দেতে পার এটি কোন ভাল ধরনের টিউমার বা খারাপ ধরনের টিউমার।

আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম টিউমার চেনার উপায় এবং টিউমার নিয়ে সকল তথ্য এবং সিস্ট কি টিউমার সেই সকল কনফিউজ নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি উপরোক্ত সমস্ত কিছু পড়ার পর টিউমার নিয়ে আপনার অনেক প্রশ্নই কমে যেতে পারে।

এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমিটির রিভিউ করি। আপনি যদি এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করবেন। কারণ এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা প্রতিদিন আপডেট করে থাকি।