মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কি হলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচে একটি সুরঙ্গ। আর আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বঙ্গবন্ধ টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান। আমি বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি আপনারা বঙ্গবন্ধুর টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান এর প্রশ্ন খুঁজছেন।

আপনারা হয়তো এর আগে বঙ্গবন্ধু টানিল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান অনেক দেখে থাকবেন। কিন্তু আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে এমন কিছু তথ্য জানবেন যেটা হয়তো অন্যান্য।

নিম্নলিখিত বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের সুবিধার্থে বঙ্গবন্ধু টানের সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানগুলি খুব ভালোভাবে সাজানো হয়েছে ধাপে ধাপে।

১. বঙ্গবন্ধু টানের নির্মাণ করা হয়েছে - কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে

২. অবস্থান - চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও চট্টগ্রামের আনোয়ারা

৩. সংযোগ করবে - ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের।

৪. ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন - ১৪ অক্টোবর ২০১৬।

 

৫. ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনকারী - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (বাংলাদেশ) ও প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং (চিন)

৬. খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন -২৪ অক্টোবর ২০১৬।

৭. টানেলের দৈর্ঘ - ৩.৪৩ কি.মি।

৮. টানেলের উভয় প্রান্তের সংযোগ সড়ক - ৫.৩৫ কিমি।

৯. টানেলের আকৃতি - দুটি টিউবের মধ্যে দুই লেন করে চার লেন পথ বিশিষ্ট। প্রথমটি যাওয়ার পথ দ্বিতীয়টি আসার পর।

১০. টিউবের দৈর্ঘ্য - ২.৪৫ কিলোমিটার।

১১. টিউব চওড়া - ১০.৮০ মিটার (৩৫ ফুট)।

১২. টিউবের সংখ্যা - ২টি (যানবাহন চলাচল করবে ওয়ান ওয়ে পদ্ধতিতে)।

১৩. এক টিউব থেকে অপর টিউবের পাশাপাশি দূরত্ব - প্রায় ১২ মিটার।

১৪. সংযুক্ত করবে - চট্টগ্রামের পতেঙ্গার সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলা কে।

১৫. নির্মাণের সহায়তা করবে - চিন।

১৬. প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান - চায়না কমিউনিকেশন এন্ড কন্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। China communication & construction LTD (cccc)।

১৭. সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর - ২০১৪ সালের ১০ই জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বেনজিংয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

১৮. টানেল নির্মাণে প্রকল্প ব্যয় - ১০ হাজর ৩৭৪ কেটি টাকা ( বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ৪,৪৬১ কোটি টাকা এবং চীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ ৫,৯৩১ কোটি টাকা)।

১৯. প্রথম সুরঙ্গ অক্ষন আমি কাজ শুরু - ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯।

২০ .দ্বিতীয় সুরঙ্গ খনন কাজ শুরু - ২ আগস্ট ২০২০।

২১. দ্বিতীয় সুরঙ্গ খনন কাজ শেষ - ১২ ডিসেম্বর ২০২০।

২২. কাজ সমাপ্তির সম্ভাব্য তারিখ - ডিসেম্বর ২০২২।

২৩. প্রস্তাবিত দ্বিতীয় টানেল - যমুনা নদীর নিচে দিয়ে তৈরি হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় টানেল। তামিল নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ সম্ভবত যা যা এর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থেকে পশ্চিমে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত টানেলটি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

উপরোক্ত বঙ্গবন্ধু টানের সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস সম্পর্কে। উপরোক্ত বঙ্গবন্ধুর টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান বিষয়গুলি নিয়ে যদি কোন সমস্যা থাকে কিংবা আপনাদের কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতি দিন প্রকাশ করে থাকি। আপনি যদি এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিদিন পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন।