মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা লিখুন

আপানি কি মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা খুঁছেন? আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমার এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে খুব ভাল ভাবে মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আলোচনা করেছি।
মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা
আপনি নিম্নলিখিত মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা যেকোন জায়গায় আপনি ব্যবহার করতে পারেন। নিম্নলিখিত মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা লিখে পরীক্ষার সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে থাকুন।

সূচিপত্রঃ ‍মুক্তিযুওদ্ধ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা লিখুন।

মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা
সূচনাঃ ”তোমরা সৎপথে থেকো। মাতৃভূমিকে ভালোবাসো। তোমরা শুধু সামরিক বাহিনী নও, এটা আমাদের জনগণের বাহিনী।” -বঙ্গবন্ধু।

বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের সেনা নৌ বাহিনী বিমান বাহিনীর সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নিশ্চিত করেন। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রক্ত বেসামরিক জনগণের রক্তের সাথে 1971 সালে এক নদীর এক স্রোতে মিশে গেছে। কেউ কোনদিন আর পৃথক হতে পারবেনা। তাদের আত্মত্যাগ অজর, অমর, অক্ষয়ম অব্যয় হয়ে থাকবে মহাপ্রলয়ের শেষে রজনী প্রযন্ত।

বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীঃ “ জনগণ শান্তিতেও নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাপন করে, কারণ তারা জানে দেশের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পক্ষে লড়তে সদা প্রস্তুত।” জর্জ অরওয়েল।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংবিধানিক দায়িত্ব পালন, মুক্তিযুদ্ধোওর দেশ গঠন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং জাতিসংঘ মিশন সততা ও দক্ষতার সাথে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব পালন কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ-এর ভাবমূর্তি উজ্জল।


মূলত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে নিয়েই সশস্ত্র বাহিনী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের আত্মত্যাগের ফলে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। অবশ্য বেসামরিক মানুষের অবদান কম নয়। সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রয়োজনীয় ও সকল সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যেকোনো সংকটে দেশের জন্য সর্বোত্তম।

মুক্তিযুদ্ধের বিমান বাহিনীর ভূমিকাঃ “আল্লাহর পথে সীমন্ত পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও দুনিয়ার উপর যা কিছু আছে তার চাইতে উত্তম।”(সহিহ বুখুরি ও মুসলিম।) বিমান বাহিনী আমাদের আকাশের সীমান্ত পাহারাতে এবং মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠিত হয়।

ভারত সরকার বাংলাদেশকে মোটর ইয়ার ক্যাপ একটা ডাকোটা ও একটি হেলিকপ্টার প্রদান করে। এর ভিত্তিতে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের বিমান বাহিনী পথ চলা শুরু। দেরিতে পথ চলা শুরু হলেও মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল বিমানবাহিনী।

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিমান ও হেলিকপ্টারকে ব্যাপক সংস্কারের মধ্যমে সামরিক যুদ্ধ বিমানের রূপান্তরিত পাক হানাদার বাহিনীর উপর অসংখ্য সফল আক্রমণে তাদের যুদ্ধ করার ক্ষমতা ভুল অংশে হ্রস করে। পাকিস্তান যখন বাংলাদেশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো তখন পশ্চিম পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে চাকরিরত অবস্থান বাংলাদেশকে বাঁচাতে বাংলাদেশের লোক এগিয়ে আসেন

এবং ১১৩১ জন বীর যোদ্ধা নিয়মিত ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিমান বাহিনীকে করেছে গর্বিত। তাদের মধ্যে একজন বিশ্বাস সহ 22 জন বীর্যতা মুক্তিযুদ্ধের সাহসী অবদানের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কিতাব ভূষিত হন। দেশ মাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ ফাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ১৯৭১ সালে ২০ শে আগস্ট পাকিস্তানের মশুরুর বিমান ঘাঁটি

থেকে একটি টি-৩৩ বিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু বিমানটি পাকিস্তান ভারত সীমান্তে বিধ্বস্ত হলে তিনি মতিউর রহমান শাহাদত বরণ করেন। নবগঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য ১৯৭১ সালের তিনের ডিসেম্বর মধ্য রাতের পাক হানাদারদের ওপর প্রথম অটার বিমান এবং এ্যালুয়েট হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আক্রমণ পরিকল্পনা করে।

১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এভাবে ৪৫টির অধিক বিমান অভিযান সাফল্যের সাথে পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি তেল ডিপো নারায়ণগঞ্জের গোদানাইল দেল ডিপো, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লার দাউদকান্দি, নরসিংদী এবং ভৈরব বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার সফল অপারেশনের মাধ্যমে পাখা হানাদার বাহিনীর বিপুল ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম হয়।

এর ফলে শত্রুর অপারেশনাল কার্যক্রমের ক্ষমতা সহ যুদ্ধ পরিচালনার মনোবল হ্রাস যা আমাদের মহান বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে। তাদের এই সাহসী পদক্ষেপ বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ করে নতুন মাত্রা।

মুক্তিযুদ্ধে সেনা বাহিনীর ভূমিকাঃ “মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি, একটি ফুলের জন্য মোরা অস্ত্র ধরি।” ১০-১৫ জুলাই ১৯৭১ অনুচিত সেক্টর কমান্ডার ও ঊর্ধ্বতন ও সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত বাহিনী বা বাংলাদেশের বাহিনী সংগঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অংশগ্রহণকারী পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইপিআর ও পুলিশের বাঙালি সদস্যগণের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী গঠিত হয়। সেনাবাহিনীর নিয়মিত ব্যাটেলিয়ানকে তিনটি ক্রিকেট বিভক্ত করা হয়। সেনাবাহিনীর তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান,

মেজর সাফিউল্লাহ, ও মেজর খালেদা মুসরাফের নামের অধ্যক্ষর দিয়ে যাত্রা কমে জেড ফোর্স, এস ফোর্স এবং কে ফোর্স নিয়ে টিকেট পোস্টগুলো গঠিত হয়। প্রস্তুত করে এবং প্রত্যক্ষভাবে অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।


মুক্তিযুদ্ধে নৌ বাহিনীর ভূমিকাঃ “ বাংলাদেশের ছবি সাল সমুদ্র এলাকা ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় একটি সুপ্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী নৌবাহিনী অত্যাবশক।” [ বঙ্গবন্ধু, ১০ ডিসেম্বর ১৯৭৪] পাকিস্তান বাহিনীর আট বাঙালি সদস্যের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আগ্রহর পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ এপ্রিল থেকে আটে মেয়ে পর্যন্ত তাদেরকে বাংলাদেশের সরকার কমান্ডো ট্রেনিং প্রদান করে।

পরবর্তীতে নৌ কমান্ডারের সংখ্যা হয় ৫১৫ জন। ২ আগস্ট থেকে নৌ কমান্ডোর গেরিলা হামলা শুরু এবং কমান্ডো বাহিনী আগস্ট ‘অপারেশন জ্যাকপট’পরিচালনা করেন। নৌ কমান্ডো গঠনের মাধ্যম দিয়ে ’নৌবাহিনী’-গঠনের প্রারম্ভিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২১ নভেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ নৌ বাহিনী প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকাঃ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রতিরোধের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রথম যে বুলেটটি পাকিস্তানের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল তা ছিল রাজারবাগ পুলিশেরিই। পাকিস্তানি হানাদার কর্তৃক রাজারবাগ ও ঢাকা আক্রমণ হওয়া সংবাদটি প্রথম রাজারবাগের ওয়ারলেস বেইজ থেকেই সমগ্র বাংলাদেশ প্রচার করা হয়।

ফলে ঢাকা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ জানতে পেরে বাংলাদেশের অধিকাংশ থানা খালির পুলিশ তাদের অস্ত্র ওগুলি সরিয়ে ফেলতে সমর্থ হয় যা পরবর্তীতে ব্যাপক হারে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। যুদ্ধ চলাকালে রাজারবাগ মুক্তি কামে পুলিশ সদস্যরা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, অনেক জায়গায় সাধারণ জনগণকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তাদের মুক্তিযুদ্ধের অংশ অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত, যুদ্ধ করে এবং নিজেরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে।

সশস্ত্র বাহিনীর উপর অমানুষিক নির্যাতনঃ কোনো অভিযানে ধরা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। তাদের নিষ্ঠুর ও লোমহর্ষক অত্যাচারের মাধ্যমে চোখের উপর ফেলা মাথায় আঘাত করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা, মুখ থেতলে দেওয়া, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হৃৎপিণ্ড উপরে ফেলা, আঙ্গুলে সুচ ফোটানো, নখ উপরে ফেলা, তবুও তাদের থেকে কোন তথ্য বের না হওয়ায় হত্যা করে নদী, জলাশয়ে, গর্তে ফেলে রাখত পাকিস্তানিরা।


উপসংহারঃ “যুদ্ধ জয়ী ইচ্ছা ছাড়া যুদ্ধে যাওয়া ধ্বংসাত্মক।” ডগলাস ম্যাকআর্থার। সত্যিই বাংলাদেশের সবাই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিল বলেই আমরা এত কম সময় মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করি। বাঙালিরা বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন ক ‘-স্লোগানের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দিকে চূড়ান্তভাবে অগ্রসর হয় এবং সফল ও হয়। আজ আমাদের দায়িত্ব এক সমুদ্র রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করা।

লেখকরে মতামত মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা লিখুন

আপনি যদি মুুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বহিনীর ভূমিকা লিখে যে কোন পরিক্ষায় সর্বচ্চ নাম্বার পেতে চান তাহলে এই মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা লিখুন। এই বিষয় যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমার এই রকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিদিন প্রকাশ করে থাকি আপনি যদি এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদিন পেতে চান তাহলে আমাদের ইভিভিটিভি ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url