ব্লগে আর্টিকেল লিখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট ধাপ বা উপায় রয়েছে। ব্লক পোষ্ট লেখার সকল নিয়ম-কানুন মেনে পোস্ট লিখলে পোস্টটি আকর্ষণীয় হয় ও পাঠকদের পড়তে সহায়তা করে। কোন পোস্ট লেখার পূর্বে অবশ্যই সেই বিষয়ে নির্ধারণ করতে হয়। এক কথায় বলতে গেলে আপনি যে বিষয়ে লিখছেন সে বিষয়ে কিওয়ার্ড নির্ধারণ করতে হয়।

এরপর সেই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে হয়। সে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। এরপর লেখা শুরু করতে হয়। এরপর পরিকল্পনা করতে হয় যাতে করে সেই পোস্টটি আরো সুন্দর বা আকর্ষণীয় দেখতে হয়। এরপর বিভিন্ন ছবি বা ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে হয় এসিও (SEO) করতে হয়।
ব্লগে আর্টিকেল লিখার নিয়ম
আপনি আজকের এই ব্লক পোষ্টের মাধ্যমে শিখতে পারবেন এসইও (SEO) আর্টিকেল লেখার নিয়ম। এবং কিভাবে আপনি প্রফেশনাল বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয় তার বিস্তারিত আমরা শেয়ার করব। এরপর আপনি ইভিভিটিভির কথা মতো কাজ করতে পারলেই প্রতি মাসে ৮,০০০/- টাকা বেতনে বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন evvtv.com থেকে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ট্যাপ করুন।

সূচিপত্রঃ ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম

ইভিভিটিভি

বাংলা আর্টিকেল কি?

বাংলা আর্টিকেল হলো নির্দিষ্ট বিষয়ে বাংলা লেখা একটি সুসংহত ও তথ্যবহুল লেখা।

স্ক্রিনশট নেওয়ার টেকনিক

ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়মে প্রথমেই রয়েছে স্ক্রিনশট নেওয়ার টেকনিক। ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে ফ্রিল্যান্স বা বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং চাকরি করতে হলে প্রফেশনাল স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম জানতে হবে। স্ক্রিনশট এমন ভাবে নিতে হবে যেন স্ক্রিনশট পিকচারের কোন অতিরিক্ত অংশ না থাকে কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে।

স্ক্রিনশট নেওয়া পিকচারে যদি অতিরিক্ত অংশ থাকে তাহলে সেগুলো কেটে বাদ দিতে হবে। প্রফেশনাল স্ক্রিনশট কি রকম দেখতে এখানে ট্যাপ করুন। এবং স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় পাঠকদের কোন অংশে ফোকাস করাতে চাচ্ছেন সেই অংশটি মার্ক করে দেখানো একটি ভাল অভ্যেস।
স্ক্রিনশট নেওয়ার টেকনিক
আপনি উপরোক্ত স্ক্রিনশটটি দেখুন। উপরোক্ত এই স্ক্রিনশটটি কোনমতেই প্রফেশনাল লাগছে না। উপরোক্ত পিকচারে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিলে এবং মার্ক করে দেখালে এটি কি রকম লাগবে তা দেখুন।
স্ক্রিনশট নেওয়ার টেকনিক
আপনি উপরোক্ত যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি প্রফেশনাল স্ক্রিনশট নেওয়ার একটি উদাহরণ। আপনি যখন কোন আর্টিকেলে স্ক্রিনশট যুক্ত করবেন তখন অবশ্যই সেই স্ক্রিনশটটি অরজিনাল হতে হবে। যেমন অন্যের স্ক্রিনশট ব্যবহার করা যাবে না নিজে স্ক্রিনশট দিয়ে সেটি ব্যবহার করতে হবে।

ব্লগারের বাই ইউআরএল (By URL) এর মাধ্যমে ছবি যুক্ত করা

বাংলা আর্টিকেল লেখার সময় আপনারা অনেকেই অনলাইন থেকে ছবি ডাউনলোড করে অথবা ছবির url কপি করে আপলোড করতে চান। ব্লগারের আর্টিকেল লেখার সময় ছবি ডাউনলোড না করে ছবির সার্চ লিংক করে আর্টিকেলের মধ্যে ইমেজ যুক্ত করতে চান। আবার অনেকেই এটি করে থাকেন।
সোর্স যুক্ত করার নিয়ম
এরকম ভাবে আর্টিকেলে কোন ছবি যুক্ত করা মোটেও উচিত নয়। এর কারণ হলো আপনি যেখান থেকে ছবিটির ইউআরএল বা সোর্স লিংক কপি করে আর্টিকেলে আপলোড করেছিলেন। মেইন সোর্স থেকে যদি সেই ছবিটি ডিলিট করে দেয়া হয় তাহলে আপনি যে আর্টিকেলে ছবিটি যুক্ত করেছিলেন সেই ছবিটিও ডিলিট হয়ে যাবে।

কপিরাইট ফ্রি ছবি যুক্ত করার নিয়ম

আর্টিকেল লেখার সময় কোন অবস্থাতেই কপিরাইট যুক্ত ছবি ডাউনলোড করে আর্টিকেলে আপলোড করা যাবে না। গুগল থেকে ছবি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই গুগল ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স যুক্ত ছবিগুলো ব্যবহার করতে হবে।
কপিরাইট ফ্রি ছবি যুক্ত করার নিয়ম
আশা করি উপরোক্ত ছবিতে দেওয়া নিয়ম দেখে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স বা কপিরাইট ফ্রি ছবি ব্যবহার করতে পারবেন সে বিষয়ে।

লাইন গ্যাপ দিয়ে আর্টিকেল লেখা

অনেকেই রয়েছেন যারা প্যারাগ্রাফের মধ্যে কয়েক লাইন গ্যাপ ব্যবহার করেন, কোনভাবেই এটি করা যাবে না। একটি প্রফেশনাল আর্টিকেল লেখার নিয়ম হলো সর্বোচ্চ এক লাইন গ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে প্রত্যেকের এই ব্যাপারটি মনে রাখা আবশ্যক।

পোস্ট ফর্মেটিং

বাংলা আর্টিকেল লেখার সময় আর্টিকেল লেখা সম্পূর্ণ হলে আর্টিকেল ফরমেটিং করতে হয়। এবং আর্টিকেল লেখা সম্পূর্ণ হলে পুরো লেখাগুলো সিলেক্ট করে এনাইমেন্ট জাস্টিফাই করা উচিত। আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়টি মনে রাখা উচিত। আর্টিকেলকে আকর্ষণীয় গড়ে তুলতে অবশ্যই ফরমেটিং করা প্রয়োজন।

আর্টিকেলের মধ্যে সূচিপত্র

প্রত্যেকটি আর্টিকেলের মধ্যে সূচিপত্র ব্যবহার করতে হবে। পেট সূচিপত্র প্রত্যেকটি আর্টিকেলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রত্যেকটি আর্টিকেলে যদি সূচিপত্র থাকে তাহলে সূচিপত্র দেখে পাঠক যে তথ্যটি খুঁজছে সেই লেখার উপরে ক্লিক করলেই সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবে খুব সহজে।
আর্টিকেলের মধ্যে সূচিপত্র
একটি সূচিপত্রের মাধ্যমে পাঠকরা ধারণা করতে পারে এই আর্টিকেলের মধ্যে কি কি বিষয় রয়েছে। ইভিভিটিভি ওয়েবসাইটে সূচিপত্র তৈরি করা খুবই সহজ। কিভাবে সূচিপত্র তৈরি করতে হয় দেখতে এখানে ট্যাপ করুন।

আর্টিকেলের মধ্যে আরো পড়ুন সেকশন

আপনি যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করেন বিভিন্ন সংবাদ পত্রিকায় ওয়েবসাইটে অথবা অন্যান্য ওয়েবসাইটে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পোস্টের লিংক থাকে। এতে করে পাঠক যখন সেই নির্দিষ্ট পোস্টটি পড়তে থাকবে তখন অন্য পোষ্টের লিংক দেখতে পারবেন। এবং সেই টাইটেলটি যদি দেখে পাঠকের ভালো লাগে তাহলে সেই লিংকে ক্লিক করে সেই আর্টিকেলটির বিস্তারিত করতে থাকে। সে একটি তথ্য জানতে অনেক তথ্য জানতে পারে একটি আর্টিকেলের মধ্য থেকে।
আর্টিকেলের মধ্যে আরো পড়ুন সেকশনআপনাকে একটি পোষ্টের মধ্যে অবশ্যই আরো পড়ুন সেকশন বা অন্য পোস্টের লিংক করিয়ে দেওয়া উচিত। এতে করে পাঠকরা একটি আর্টিকেল বা একটি বিষয় পড়তে গিয়ে আরেকটি বিষয়ে জানতে পারবে। কোন পাঠক যখন একটি পোস্ট পড়তে আসে এবং সেই পোস্টটি পড়তে পড়তে সেই ওয়েবসাইটে আরেকটি পোস্ট পড়ে তখন সাইটের ইনকাম বৃদ্ধি পায়। কিভাবে আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করবেন দেখতে এখানে ট্যাপ করুন।

আরো পড়ুন সেকশন কোড <div class="alert info">কপুিদতকাৃবা</div>

আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন অ্যাটাকটিভ বাটন যুক্ত

আপনি বিভিন্ন আর্টিকেলে দেখবেন বিভিন্ন ধরনের বাটন যুক্ত করা থাকে সেটি হতে পারে ডাউনলোড বাটন। অথবা আরও বিভিন্ন ধরনের কালারিং বাটন। আর সেই বাটন গুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়ে থাকে। আপনি নিম্নের ছবিটিতে নমুনা দেখতে পাচ্ছেন।
আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন অ্যাটাকটিভ বাটন যুক্ত
আপনি উপরোক্ত ছবিতে দেওয়া বাটন গুলোর মত কিভাবে আর্টিকেলের মধ্যে আপনিও কোন বাটনে যুক্ত করবেন তা দেখতে এখানে ট্যাপ করুন। কোড <button class="btn-block"> বিস্তারিত দেখতে জানুন</button>

ফোকাস কিওয়ার্ড কি

আর্টিকেলের মধ্যে যদি ফোকাস কিওয়ার্ড না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার আর্টিকেলটি কোনভাবেই লেখা হবে না। এবং ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়া আপনি কখনোই আর্টিকেল তৈরি করতে পারবেন না। মানুষের মধ্যে যেমন হৃদপিণ্ড থাকে তেমনি আর্টিকেলের হৃদপিণ্ড হলো ফোকাস কিওয়ার্ড। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ফোকাস কিওয়ার্ক কি?

ধরুন না আপনি জানেন না কিভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। তাহলে আপনি কিভাবে জানতে পারবেন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। আপনি যেহেতু জানেন না তাহলে অবশ্যই প্রথমেই আপনি এই বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করবেন। আপনি যেহেতু ফেসবুক আইডি খোলার নিয়ম জানেন না এজন্য আপনি সার্চ করতে পারেন ”ফেসবুক একাউন্ট তৈরি করার নিয় “এই যে আপনি কোন নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে গুগলে লিখে সার্চ করলেন তাহলে ”ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার নিয়য়” এটিই হল ফোকাস কিওয়ার্ড।

এর মানে হলো আপনি যে বিষয়ে লিখে গুগলে সার্চ করছেন সেটি হল ফোকাস কিওয়ার্ড। যেমন ধরুন আপনি ফেসবুক পেজে তৈরি করতে পারেন না। তাহলে আপনি গুগলে লিখবেন ”কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। এই যে আপনি গুগলে সার্চ করলেন ”কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়” এটি একটি ফোকাস কিওয়ার্ড। এই কিওয়ার্ড সম্পর্কিত আরো কিছু কি ওয়ার্ডের তালিকা নিচে দেওয়া হল।
  • কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়
  • ফেসবুক পেজ তৈরি করার নিয়ম
  • প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ তৈরি করার নিয়ম
  • আমি কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারি
  • কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করা যায়
একটি বিষয় হাজার হাজার কিবোর্ড থাকতে পারে। আশা করি আপনি একটি ধারনা পেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন ফোকাস কিওয়ার্ড কি।

ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখে রাখা

আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখে পরে ওয়েবসাইটে পেস্ট করে সেটি পাবলিশ করে বা জমা দেই। এই কাজটি কখনোই করা যাবে না। অনেকেই আবার রয়েছেন মাইক্রোসফট ওয়ার্ডেও প্রথমে আর্টিকেল লিখে রাখেন এরপরে ওয়েবসাইটে পেস্ট করেন এই কাজটি কখনোই করা উচিত নয়।

আপনি যদি ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখে রাখেন পরবর্তীতে ওয়েব সাইটে পেস্ট করে সেটি পাবলিশ করেন সে ক্ষেত্রে আপনার সেই আর্টিকেলটি সঠিকভাবে ফরম্যাটিং করতে পারবেন না লেখার ফ্রন্ট বদলে যাবে। কপিরাইট সমস্যা ধরবে। ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে এইজন্য ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখে রাখা উচিত নয়।

তাই আপনি যদি আমাদের কাছে লেখালেখির কাজ করেন আপনার কাছে অনুরোধ আপনি কখনোই অন্য জায়গায় আর্টিকেল লিখে আমাদের ওয়েবসাইটে পেস্ট করবেন না। আপনি যদি আর্টিকেলে লেখার জন্য নিয়োগ পেয়ে থাকেন তাহলে সরাসরি আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখবেন। সঠিক নিয়মে ওয়েবসাইট আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে এইখানে ট্যাপ করুন।

নতুন আর্টিকেলের ইমেল নোটিফিকেশন

আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইটের সকল তথ্য নিয়মিত আপডেট নতুন পোস্ট সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত নিম্নে ইমেইলের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইবার অপশন থেকে সাবস্ক্রাইব করা। আপনি যদি ইভিভিটিভিতে আর্টিকেল লেখার জন্য নিয়োগ পান তাহলে অবশ্যই ইমেইলের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এতে করে আপনার পোস্টটি পাবলিশ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি সেই পোষ্টটির সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম

মনে করুন আপনি একজন ব্লগার এবং আপনি ইভিভিটিভিতে লেখালেখি করার জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। ইভিভিটিভি থেকে আপনাকে ২০২৪ সালের সেরা ১০ টি VPN সম্পর্কে একটি বাংলা আর্টিকেল বা পোস্ট লিখতে বলল। তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি বা এই পোস্টটি কিভাবে লিখবেন? কিভাবে আর্টিকেল ফরমেটিং করা উচিত? এবং আপনাকে যে পোস্টটি লিখতে বলা হয়েছে সেই পোস্টে কোন ধরনের ভাষা ব্যবহার করবেন? এবং কোন ধরনের বর্ণনা আপনি সেই পোষ্টটির মধ্যে রাখবেন?

এই প্রশ্নগুলি শুনে হয়তো আপনি একটু কনফিউশনে পড়ে গেছেন বা বুঝতে পারছেন না? এই কনফিউশন দূর করার জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া যাক।

ইভিভিটিভি থেকে আপনাকে যেহুতু ২০২৪ সালের সেরা ১০টি VPN সম্পর্কে লিখতে। তখন আপনি কিভাবে এই বিষয়ে একটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল তৈরি করবেন? ধরুন আপনি এই বিষয়ে আপনাকে কেউ একটি পোস্ট দিয়ে আপনাকে করতে বলেছে। তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনাকে যে পোস্ট দিয়েছে সেই পোস্টটি আপনি একজন পাঠক হিসাবে আপনার কাছে পারফেক্ট/উপযুক্ত কিনা?

একজন পাঠকের দৃষ্টিতে আকর্ষণীয় আর্টিকেল

একটি সুন্দর আর্টিকেল লেখার জন্য একটি আকর্ষণীয় আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথমেই একজন লেখকের উচিত ভূমিকা লেখা। এর মানে হলো পুরো পোস্টে জুড়ে যা থাকছে তা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রথমে লিখতে হবে। দেখুন আপনি যদি একজন পাঠক হন তাহলে অবশ্যই আপনি চাইবেন প্রথমে একটি ভূমিকা থাকুক যেখানে পুরো পোস্টে যা থাকছে সেগুলি সংক্ষিপ্ত আকারে জানতে পারবেন। এবং তখনি আপনার ভালো লাগবে।

এরপর যদি প্রত্যেকটা ভিপিএন এর যদি আপনি বিস্তারিত দেখতে পারেন যেমন ভিপিএন গুলোর বৈশিষ্ট্য ভিপিএন গুলো সুবিধা-অসুবিধা তার বিস্তারিত উল্লেখ করা থাকে। তার সঙ্গে যদি কিছু ডাউনলোড লিংক যুক্ত করা থাকে অথবা তার সঙ্গে যদি কিছু পরামর্শ ও যুক্ত করে থাকে তাহলে নিশ্চয় আপনার এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লাগবে।

এবং শেষে যদি আপনি লেখকের মন্তব্য দেখতে পারেন যেমন লেখকের কাছে কোন ভিপিএনটি সবথেকে সেরা কোন ভিপিএনটি সবথেকে ভালো লেখকের একটি মতামত দেখতে পারলে অবশ্যই আপনার আরও ভালো লাগতে পারে! তাই না?

হ্যাঁ অবশ্যই। আপনি একজন পাঠক হিসেবে একটি পোস্ট থেকে যা যা আশা করেন সে সকল তথ্য যদি আপনি পোষ্টের মধ্যে উল্লেখ করতে পারেন তাহলে কেবল আপনার সেই পোস্টটি বাসায় আর্টিকেলটি লেখা সার্থক হবে।

কিভাবে আর্টিকেল বা পোস্ট লেখা শুরু করবেন?

এতক্ষণ তো আপনি অনেক নিয়ম সম্পর্কে জেনে গেছেন বা অনেক নিয়ম সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এইজন্যই আমি প্রথমেই বলতে চাই কিভাবে আর্টিকেল বা পোস্ট লেখা শুরু করবেন?

আর্টিকেল টাইটেল

আপনি যখন পোস্ট লেখা শুরু করবেন অবশ্যই সেই আর্টিকেলটির বা পোষ্টের টাইটেল বা শিরোনাম যেন সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হয়। এবং সেই পোস্টের টাইটেল বা শিরোনাম দেখেই যেন বোঝা যায় পুরো পোস্টের মধ্যে কি কি আছে? আর্টিকেল তৈরি করতে হলে টাইটেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এর কারণ হলো ১০% পাঠকের মধ্যে ৮ % পাঠকরা পোস্টের টাইটেল দেখে পোস্ট না পড়েই চলে যায়। কারণ তাদের কাছে সেই টাইটেলটি বা শিরোনামটি ভালো লাগেনা এই কারণেই তারা সেই পোস্টটি না পড়েই চলে যায়। এজন্য আপনি একজন লেখক হিসাবে টাইটেলের উপরে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

আর্টিকেলের ভূমিকা

আপনি যখন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল লিখবেন তখন অবশ্যই প্রথমে আপনাকে শুরুতেই ৫-৬ লাইনের একটি ভূমিকা লিখতে হবে। যাতে করে একজন পাঠক ভূমিকা পড়েই বুঝতে পারে এই পুরো পোষ্টের মধ্যে সে কি কি পেতে পারে।

অনেক পাঠক রয়েছে যারা ভূমিকা দেখেই পোস্ট না পড়ে চলে যাই। এবং ভূমিকার মধ্যে যদি পাঠক যে তথ্য সেই তথ্যের বিষয় দেওয়া থাকে তাহলে সেই পোস্টটি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করে। এই জন্য প্রত্যেকটি পোষ্টের আর্টিকেলের জন্য ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা পোস্টে ভূমিকা ব্যবহার করা উচিত।

ফিচার ইমেজ

প্রত্যেকটি আর্টিকেলের মধ্যে অবশ্যই একটি করে প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজ রাখতে হবে। একজন পাঠক শুধু পোস্ট করতে চায় না সেই সঙ্গে একটি ছবিও দেখতে চাই এতে করে পাঠকের পড়ার আগ্রহটা আরো বৃদ্ধি পায়। প্রত্যেকটা আর্টিকেলের মধ্যে একটি করে প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজ যুক্ত করা প্রয়োজন। টাইটেলে ও ফিচার ইমেজে যেন টেক্সটের ভিন্নতা থাকে। ফিচার ইমেজ তৈরি করার সময় অবশ্যই আকর্ষণীয় ভাবে তৈরি করতে হবে। যাতে করে একটি ফিচার ইমেজ পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

প্যারাগ্রাফ শিরোনাম

আর্টিকেল বা পোস্ট লেখার সময় অবশ্যই পুরো পোস্ট টি আপনি ছোট ছোট প্যারা করে লিখবেন। এবং প্রত্যেকটি প্যারার মধ্যে হেডিং হ্যাডিং ব্যবহার করবেন। যাতে করে পাঠকরা খুব সহজেই বুঝতে পারে কোন প্যারার মধ্যে কোন বিষয়ে লেখা আছে। অবশ্যই আপনি চেষ্টা করবেন প্রত্যেকটি প্যারাতে সর্বনিম্ন যেন ৫ লাইন লেখা থাকে।

এবং আর্টিকেল লেখার সময় কোন প্যারাতে চোখে আরো বেশি শব্দের বা বেশি লাইন লিখতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনি সেখানে কয়েকটি পেয়ারাতে ভাগ করবেন। অবশ্যই আপনি চেষ্টা করবেন শিরোনাম এবং সাব হ্যেডিং এর মধ্যে তিনটার বেশি প্যারাগ্রাফ না রাখার।

আর্টিকেলের বডি

একটি পারফেক্ট আর্টিকেলে সর্বনিম্ন ছয়টি প্যারাগ্রাফ বা শিরোনাম বা হেটিং রাখা উচিত। এরপরে আপনি যত শিরোনাম হেডিং ব্যবহার করতে পারেন আপনি করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ প্রত্যেকটি পোষ্টের মধ্যে সর্বনিম্ন ৬০০ বা তার বেশি শব্দ রাখা উচিত। এবং আর্টিকেল লেখার পর প্রত্যেকটি পোষ্টের মধ্যে অবশ্যই অন্য পোস্টের লিংক রাখা উচিত। যাতে করে একটি তথ্য জানতে এসে আরো অনেক তথ্য জানতে পারে।

আপনি / আমি শব্দ ব্যবহার

আপনি যখন একটি আর্টিকেল বা পোস্ট তৈরি করবেন অবশ্যই আপনার উচিত সেখানে আপনি যেন পাঠকের সাথে গল্প করছেন এমন একটি মনোভাব নিয়ে লেখা উচিত। এই কারণে প্রত্যেকটা আর্টিকেলের মধ্যে আপনি চেষ্টা করবেন আপনি / আমি শব্দগুলো ব্যবহার করা। পাঠাও কাছের ও মনে করে আপনি তাদের সাথে গল্প করছেন এমনভাবে একটি পোস্ট বা আর্টিকেল তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

ফোকাস কিওয়ার্ড

আপনি যখন একটি আর্টিকেল বা পোস্ট তৈরি করবেন তখন আপনার উচিত পুরো আর্টিকেল জুড়ে সর্বোচ্চ তিনটি প্রকাশ কিওয়ার্ড নির্বাচন করার। যেমন আপনি কোন একটি পোস্ট লিখছেন এবং সেই পোস্টের কিওয়ার্ড হলো ভিপিএন। এরপর আপনি আর্টিকেল লেখার সময় চেষ্টা করবেন ১০০ টি শব্দের মধ্যে যেন অবশ্যই একটি করে ফোকাস কিওয়ার্ড থাকে। এর মানে হল আপনি যদি 600 শব্দের একটি আর্টিকেল বা পোস্ট তৈরি করেন।

তাহলে সেই পুরো আর্টিকেল বা পুরো পোস্ট জুড়ে ৬ বার ৬ জায়গায় ফোকাস করবেন। এবং কিওয়ার্ড ব্যবহার করার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনি যে কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করছেন সেগুলোর প্রাসঙ্গিক ভাবে ব্যবহার করছেন। এর মানে হল যেই জায়গায় সেই কুয়াটি হবে না আপনি তাও সেই জায়গায় অতিরিক্ত ভাবে সেই কিবোর্ডটি দিচ্ছেন যেখানে একটি বার কি দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। অবশ্যই আপনি প্রাসঙ্গিকভাবে কিওয়ার্ড বসানোর চেষ্টা করবেন।

ফোকাস কি ওয়ার্ডের গুরুত্ব

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে ফোকাস কিওয়ার্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ? একটি আর্টিকেল বা পোস্টের জন্য অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন পোস্টে বা আর্টিকেলের মধ্যে যদি প্রাসঙ্গিকভাবে ফোকাস কেউ একটা ব্যবহার করা যায় তাহলে সেই আর্টিকেলটি গুগলে রেঙ্ক করে। এবং প্রাসঙ্গিক ভাবে একটি ওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করতে থাকলে গুগল সেই পোস্ট বা ওয়েবসাইট কে বেশি প্রাসঙ্গিক মনে করেন। এবং গুগল রেজাল্টের প্রথমে দেখায়।

আর্টিকেল এলাইমেন্ট

নিজেই পোস্টটি তৈরি করেছেন বা আর্টিকেল লিখেছেন সেই আর্টিকেলটি অবশ্যই জাস্টিফাই এলাইনমেন্ট রাখবেন এবং ছবিগুলো সেন্টার এলাইমেন্ট রাখবেন। যাতে করে সেই আর্টিকেলটি বাপ্লক পত্র দেখে বইয়ের লেখার মতন মনে হয়।

কনক্লুউশন

আপনি যখন পড়লো আর্টিকেল বা পোস্টে লিখে শেষ করবেন তখন অবশ্যই লেখকের মন্তব্য বা আপনার মন্তব্য দিয়ে সেই আর্টিকেলটি বা ব্লক ব্লক পোস্টটি শেষ করবেন। একটি আদর্শ আর্টিকেল দেখতে এখানে ট্যাপ করুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url