উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় ধাপসমূহ
আপনি কি একজন উদ্যোক্তা বা উদ্যোক্তা হতে চান! উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় এ বিষয়ে জানতে চান? উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় এই বিষয়ে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আমরা আলোচনা করব উদ্যোক্ত লোন কিভাবে পাওয়া যায় তার বিস্তারিত।
উদ্যোক্তা লোন পাবার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এবং বেশ কয়েকটি শর্ত পূরণ করার মাধ্যমেই আপনি উদ্যোক্তা লোন পেতে পারেন।
সূচিপত্রঃ উদ্যোক্তালন কিভাবে পাওয়া যায় ধাপসমূহৎ
ইভিভিটিভি
ভূমিকা
উদ্যোক্তা লোন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। যেটির মাধ্যমে নতুন ব্যবসায়ী তাদের বিজনেসকে দাঁড় করাতে পারবে এবং তাদের বিজনেস কে শক্ত করতে পারবে। এবং যারা পুরাতন ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের ব্যবসাকে আরো বৃদ্ধি করতে পারবে এই উদ্যোক্তা লোন নেওয়ার মাধ্যমে। আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন অথবা ব্যবসার করবেন ভাবছেন।
আপনাদের কাছে যদি যথেষ্ট পরিমাণের পুঁজি না থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি উদ্যোক্তা নিতে পারবেন। উদ্যোক্তা লোন নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে উদ্যোক্তা লোন নেওয়ার প্রসেস। উত্তরটা লোন কিভাবে পাওয়া যায় তার ধাপসমূহ যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে এই নিবন্ধনটি সম্পন্ন করতে হবে।
আর পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
কারণ আপনি যদি এই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে জানতে পারবেন উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় তার বিস্তারিত। উদ্যোক্তা লোন নিতে গেলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এবং আপনাকে বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে আপনার যদি সেই সকল কাগজপত্র না থাকে তাহলে আপনি উদ্যোক্তা লোন দিতে পারবেন না। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়
উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় বর্তমান সময়ে এ বিষয়ে অনেকেই খোঁজাখুঁজি করছেন। এই কারণে আপনাদের কথা চিন্তা করে আজকের এই নিবন্ধনটি আমি তৈরি করেছি। বাংলাদেশের উদ্যোক্তা লোন পাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া. শুরু করতে বা বিদ্যমান ব্যবসা বাড়াতে সহায়তা করে। বর্তমান বাংলাদেশে অনেক ধরনের ব্যাংকিং এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো থেকে উদ্যোক্তা লোন পাওয়া সম্ভব।
এবং অনেক সরকারি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে যেগুলো থেকে খুব সহজেই ব্যবসার জন্য উদ্যোক্তা লোন নেওয়া সম্ভব। কিন্তু আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আপনি এই ব্যাংকগুলো থেকে বা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে উদ্যোক্ত তার বিস্তারিত। উদ্যোক্তা লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ এবং শর্তাবলী এবং ব্যাংকিং এর নিয়ম বলি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে। নিম্নে সেই সকল প্রয়োজনীয় দিক আলোচনা করা হলো:
উদ্যোক্তা লোনের সংজ্ঞা ও প্রয়োজনীয়তা
উদ্যোক্তা লন হলো একটি বিশেষ প্রকার ঋণ যা সাধারণত ছোট এবং মাঝারি ব্যবসার মালিকদের জন্য প্রদান করা হয়। এবং এ ধরনের ঋণগুলো নিয়ে প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী ছোট কিংবা বড় তাদের ব্যবসাকে আরো প্রসার করতে পারে। উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার জন্য অনেক শর্ত রয়েছে সেই সকল শর্ত আপনাকে পূরণ করতে হবে। সেই শর্তগুলোর মধ্যে থাকতে পারে যেমন:
- আপনার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে
- ব্যবসার একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে
- ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং লাইসেন্স থাকতে হবে
- আপনি যেখান থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন সেখানকার বাসায়ই ব্যাংকের একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
- আপনাকে আপনার ক্রেডিট রিপোর্টে কোন ধরনের লোন থাকা যাবে না।
- আমানতের জন্য বড় লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার জায়গা জমি থাকতে হবে। অথবা যে কোন সম্পদ থাকতে হবে।
উপরোক্ত এই বিষয়গুলো সব ব্যাংকিং বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে উদ্যোক্তা লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে নিম্নে। কি কি যোগ্যতা কি কি কাগজপত্র লাগবে তার বিস্তারিত ও নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে।
উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার ধাপসমূহ
উদ্যোক্তা লোন পেটে বেশ কিছু ধাপ রয়েছে যা প্রতিটি উদ্যোক্তাকে অনুসরণ করতে হয়। এই কারণে আপনি যদি উদ্যোক্তা লোন নিতে চান তাহলে উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার ধাপসমূহ আপনাকে জানতে হবে। যেমন আপনি যদি উদ্যোক্তা লোন নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ব্যবসার পরিকল্পনা থাকতে হবে। অথবা ইতিমধ্যে আপনার একটি ছোটখাটো অথবা বড় ব্যবসা থাকতে হবে।
আর পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজ লাগে
এরপর আপনাকে সঠিক ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। অথবা সঠিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। সেটি হতে পারে সরকারি অথবা বেসরকারি ব্যাংক। কিছু জনপ্রিয় ব্যাংক হল সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, গ্রামীণ ব্যাংক।
এছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংক এবং আসাসহ অন্যান্য বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ প্রদান করে। এরপর আপনাকে বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে। এবং আপনাকে ব্যাংকের আবেদন জমা দিতে হবে।
উদ্যোক্তা লোন পাবার কাগজপত্র প্রস্তুত
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোন প্রদান করার আগে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র চাই। এজন্য আপনাকে উদ্যোক্তার লোন পাবার কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে। সচরাচর কোন ব্যাংক উদ্বোধন প্রদান করার আগে যেই কাগজগুলো চাই সেগুলো হলো:
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা সনদপত্র
- ট্রেড লাইসেন্স এবং টিন সার্টিফিকেট
- ব্যবসার নিবন্ধন সনদ
- ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় ট্যাক্স ডকুমেন্ট
- ব্যবসার ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ক্রেডিট রিপোর্ট
- ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত ফরম এবং একাউন্ট করার দরখাস্ত
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বোর্ড অফ ডিরেক্টরস এর রেজুলেশন কপি যদি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি লিমিটেড বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হয়ে থাকে।
উপরোক্ত কাগজগুলো ছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ কাগজের প্রয়োজন হতে পারে। অবশ্যই আপনি যে ব্যাংক বাজে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোক্তা লোন নিবেন সেই ব্যাংকে গিয়ে অথবা তাদের হেল্প লাইনে কল করে। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেবেন।
উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার যোগ্যতা
উদ্যোক্তা লোন পাবার যোগ্যতা যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি উদ্যোক্তা লোন গ্রহণ করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে উদ্যোক্তা লোন পাবার যোগ্যতা। উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার জন্য যেই যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন হয় সেগুলো হলো:
- আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে
- পূর্বের বড় কোন ঋণ থাকা যাবে না
- আপনার ব্যবসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে
- আপনি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- এবং জামানত হিসেবে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
- এবং বাবার জন্য বয়স সীমা ২১ থেকে ৪৫ বছর।
- আপনার সম্পদের পরিমাণ। এবং সেই সম্পত্তির দলিল থাকতে হবে।
- লোন গ্রহণ করার সময় অবশ্যই আপনার সঙ্গে একজন ব্যক্তি থাকতে হবে। আপনি অন্য কোথাও চলে গেলে অথবা আপনি ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সে ঋণ পরিশোধ করবে।
আপনি উদ্যোক্তালন কত টাকা নিতে পারবেন তার সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার কতটুকু জায়গা জমি রয়েছে তার উপর। আপনার কতটুকু সম্পত্তি রয়েছে তার ওপর। আপনি যদি উদ্যোগটা লোন পাবার জন্য আবেদন করতে চান এবং বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনি সরাসরি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
লোন পাওয়ার জন্য টিপস
লোন পেতে হলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তবে লোন পাওয়ার জন্য টিপস জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই লোন পেতে পারেন। যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত সেগুলো হলো:
একটি পরিষ্কার ও বিশদ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি
- ইতিমধ্যে আপনার ব্যবসা থাকলে এসে ব্যবসার সকল কাগজপত্র
- নিজের ব্যবসার ক্রেডিট রিপোর্ট উন্নত রাখুন
- এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেগুলো ব্যাংক আপনার কাছ থেকে দিয়েছে সেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখুন।
- কম সুদের হার এবং প্রদানকারী ব্যাংক বা এনজিও নির্বাচন করুন।
- সরকারের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় লোন পাওয়ার সুযোগ খুঁজুন।
আপনি উপরোক্ত এ সকল টিপস অবলম্বন করে খুব সহজেই লোন পেতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় ধাপসমূহ জেনেছেন। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ নিবন্ধনটি পড়েছেন এবং উদ্যোক্তা লোন পাবার অনেক বিষয় জেনেছেন। উদ্যোক্তা লোন নেওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে উদ্যোক্তা লোন পরিষদের নিয়ম। আমরা যেহেতু উদ্যোক্তা লোন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং আপনি সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
আর পড়ুনঃ ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুদের হার
যদি বিস্তারিত বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি যে ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে চাচ্ছেন সে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করবেন। এবং এই বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্টের রিভিউ করি আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url