অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সেক্টর
আপনি কি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস এ বিষয়ে কিছু জানেন না? গার্মেন্টসের জন্য কিভাবে অঙ্গীকারনামা লিখতে হয় সেটি না জানলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আপনি এই নিবন্ধন এর মাধ্যমে জানতে পারবেন অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি সঠিক নিয়মে গার্মেন্টসের অঙ্গীকারনামার লেখার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে আপনি এই নিবন্ধনটি পড়বে সম্পূর্ণ অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এবং এই নিবন্ধনটি পড়ার পর সঠিকভাবে আপনি অঙ্গীকারনামা তৈরি করতে পারবেন গার্মেন্টসের জন্য।
সূচিপত্রঃ অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সেক্টর
ইভিভিটিভি
ভূমিকা
আপনারা যারা গার্মেন্টসে চাকরি করেন অথবা গার্মেন্টসে চাকরি করতে ইচ্ছুক অথবা নতুন গার্মেন্টসে সেক্টরের প্রবেশ করতে চান তাদের জন্য একটি অঙ্গীকারনাম থাকা খুবই উপকারী হতে পারে। গার্মেন্টস সেক্টরের মধ্যে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিকের
এবং শ্রমিকের মধ্যে একটি অঙ্গীকারনামা থাকা আবশ্যক। একটি গার্মেন্টসের অঙ্গীকারনমা গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিকের এবং শ্রমিকের দুজনেরই দায়িত্ব এবং কর্তব্য অনুসরণ করিয়ে দেয়। অঙ্গীকারনামার থাকার কারণে মানে পক্ষ এবং পক্ষ কোনো পক্ষই তাদের শর্ত ভঙ্গ করতে পারবে না।
আর পড়ুনঃ অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম pdf ফরম্যাট
গার্মেন্টসের যে অঙ্গীকারনামা গুলো তৈরি হয় সেই অঙ্গীকারনামা গুলুর মাধ্যমে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং শ্রমিকের সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়মাবলী এবং প্রত্যাশিত আচরণ ইত্যাদি অনেক ধরনের নিয়ম রয়েছে, যে গুলো মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক পক্ষ দুজনকেই মেনে চলতে হয়।
অঙ্গীকারনামা একটি লিখিত পত্র যেটির মাধ্যমে কর্মচারীকে তার নিয়ম ও শর্তাবলী সম্পর্কে বা কর্তব্য পালনে বাধ্য করে। গার্মেন্টস সেক্টরের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা থাকা খুবই আবশ্যক কারণ এই অঙ্গীকারনামা গার্মেন্টসের কর্মচারীকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবগত করে। গার্মেন্টস সেক্টরের অধিকার নামাগুলো সাধারণত দুই পক্ষের হয়ে থাকে।
প্রথম পক্ষের মধ্যে থাকবে গার্মেন্টস মালিক এবং দ্বিতীয় পক্ষে থাকবে কর্মচারী বা শ্রমিক। এই অঙ্গীকারনামা গুলো দুই পক্ষের জন্যই সুবিধা জন মাধ্যমে এই অঙ্গীকারণ আমার মাধ্যমে দুই পক্ষ আইনি ব্যবস্থা বা আইনি সহযোগিতা পেতে পারেন।
অঙ্গীকারনামা আবশ্যক যাতে করে কোনো পক্ষই তাদের চুক্তি অঙ্গনা করেন। আমরা এ নিবন্ধনটির মাধ্যমে আলোচনা করব অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গারমেন্ট। তাই আপনি যদি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সবকিছু না জেনে থাকেন ভালো মতন সবকিছু জানতে চান তাহলে নিবন্ধনটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। এই নিবন্ধনটি সম্পন্ন করার পর আপনি খুব সহজেই সমস্ত কিছু বুঝে যাবেন এবং খুব সহজেই নিজেই একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করতে পারবেন।
অঙ্গিকারনামা লেখার গুরুত্ব
গার্মেন্টস সেক্টরের মধ্যে অঙ্গীকারনামা লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। এই অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে মানিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করে। অঙ্গীকারনামা তৈরি করার মাধ্যমে কেউ কারো স্বার্থ ভঙ্গ করতে পারে না। অঙ্গীকারনামা মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক পক্ষে দুই পক্ষের দায়িত্ব কর্তব্য প্রত্যাশিত আচরণ মনে করিয়ে দেয়।
কোন পক্ষ যদি অন্ধকারনামা মোতাবেক কোন নিয়ম বা শর্ত ভঙ্গ করে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব। অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে খুব সহজেই আইনের সাহায্য পাওয়া যায়। একটি অঙ্গীকারনাম গার্মেন্টসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং শ্রমিকের দায়িত্ব কর্তব্য এবং প্রত্যাশিত আচরণ সম্পর্কে অবগত করে।
অনেক ক্ষেত্রে এই অঙ্গীকারনাম গুলো গার্মেন্টসের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। একটি অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে মানিকপক্ষ এবং শ্রমিক পক্ষের প্রথম পক্ষ এবং দ্বিতীয় পক্ষের দুই পক্ষেরই নিরাপত্তার নিশ্চিত করা যেতে পারে।
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস
গার্মেন্টস সেক্টরের অঙ্গীকারনামা লেখার সময় যে কথাগুলো মাথায় রাখা প্রয়োজন তার বিস্তারিত আলোচনা করব এবং কিছু নিয়ম তুলে ধরবো। এখন গার্মেন্টস এর জন্য আপনাকে কার নাম্বার তৈরি করার সময় অবশ্যই আপনাকে করতে সহজ সরল ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
গার্মেন্টস সেক্টরে অঙ্গীকারনামা তৈরি করার সময় আপনাকে প্রথমেই আপনাকে কিসের অঙ্গীকার নামা লিখছেন সেটি লিখতে হবে। যেমন আপনি যত গার্মেন্টসের অঙ্গীকার না লিখছেন এই কারণে বড় ফন্টের বোর্ড করে সবার মাঝখানে লিখতে হবে ”গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের অঙ্গীকার নাম” এই লেখাটি সবার উপরে দিতে হবে এবং মাঝখানে বড় ফন্টের এবং করে বোল্ড করে।
গার্মেন্টসের অঙ্গীকারনামা টাইটেল লেখা হয়ে গেলে বা শিরোনাম লেখা হয়ে গেলে নিজে এখন আপনাকে প্রথম পক্ষ এবং দ্বিতীয় পক্ষের পরিচয় দিতে হবে। প্রথম পক্ষের মধ্যে থাকতে হবে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিকের পরিচয়। সেখানে থাকতে পারে গার্মেন্টসের নাম ঠিকানা মালিকের ঠিকানা ইত্যাদি। এক কথায় আপনাকে প্রথম পক্ষে গানের প্রতিষ্ঠানে ঠিকানা যোগ করতে হবে। এরপর দ্বিতীয়পক্ষে কর্মচারী বা শ্রমিকের পরিচয় প্রদান করতে হবে। সেখানে থাকতে পারে গার্মেন্টস এর নাম শ্রমিকের নাম পদবী পরিচয় পত্র ইত্যাদি।
দুপক্ষের পরিচয় প্রদান করা হয়ে গেলে আপনাকে যুক্তির মূল বিষয়টি লিখতে হবে নিচে। আপনাদের সেই চুক্তির মূল বিষয়টি কি অবশ্যই সেই চুক্তির মূল বিষয়টি লিখবেন। সত্যি মূল বিষয়ে উল্লেখ করতে পারে কত ঘন্টা ডিউটি। মাসিক বেতন আরও বিভিন্ন ধরনের সুবিধা সম্পর্কে।
এরপর গার্মেন্টসের বিভিন্ন শর্ত বলে নীতিমালা উল্লেখ করতে পারেন অঙ্গীকারনামায়। আপনি চাইলে আরো অনেক তথ্য যোগ করতে পারবেন অঙ্গীকারনামার মধ্যে তবে একটি অঙ্গীকার নামার মধ্যে সকল ধরনের তথ্য না করলেও চলবে।
এরপর সেখানে আপনি উল্লেখ করতে পারেন শ্রমিকের বা কর্মচারীর কাজকর্ম সম্পর্কে তাদের কি কি করতে হবে তার বিস্তারিত সম্পর্কে। থাকতে পারে দায়িত্ব কর্তব্য কর্তব্য ইত্যাদি। না আপনি হয়তো এটুকু পড়ে তেমন ভালোভাবে বুঝতে পারেননি আপনার ভালোভাবে বুঝার স্বার্থে নিচে একটি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস এর নমুনা প্রদান করা হলো।
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস নমুন
া নিম্নলিখিত অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস নমুনা আপনার সুবিধার্থে প্রদান করা হলো। যাতে করে আপনি খুব সহজেই একটি অঙ্গীকার নামা তৈরি করতে পারেন।
গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের অঙ্গীকারনাম
গার্মেন্টস কোম্পানির নাম: -----------------, ঠিকানা: ------------------, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার: --------------,
প্রথম পক্ষ
কর্মচারীর নাম:-----------------, ঠিকানা:--------------, জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট নাম্বার:-------------, পদবী:----------------------,
দ্বিতীয় পক্ষ
এই অঙ্গীকারনামাটি (কর্মচারীর নাম) (দ্বিতীয় পক্ষ) এবং (কোম্পানির নাম) (প্রথম পক্ষ) এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের নিয়মানুবর্তিতা এবং কর্মচারী দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পদের জন্য সম্পাদিত হচ্ছে। এই চুক্তির মাধ্যমে কর্মচারীর প্রতিষ্ঠানের নিয়ম এবং শর্তাবলী চলতে সম্মত হন। কর্মচারী নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করবেন:
1. প্রতিষ্ঠানের উপাদান লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সহায়তা।
2. প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ এবং সপ্তাহে ৫ দিন উপস্থিত নিশ্চিত করা।
3. নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নিয়মাবলী অনুসরণ করা।
4. উপাদান এবং অন্যান্য কার্যক্রমে কোন ধরনের অবহেলা না করা।
বেতন ও অন্যান্য সুবিধা
1.কর্মচারীকে নির্ধারিত বেতন প্রদান করা হবে, যা তাদের কর্ম সম্পাদনা অনুযায়ী বাড়ানো যেতে পারে।
কাজের অতিরিক্ত সময়ের জন্য অতিরিক্ত ভাতা প্রদান করা হবে।
2.কর্মচারীকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমস্ত আইনগত সুবিধা যেমন পেনশন ইন্সুরেন্স ছুটি ইত্যাদি প্রদান করা হবে।
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি
1. গার্মেন্টস সেক্টরে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মচারীকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত নির্দেশনা দেয়া হবে।
2.প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে হবে যাতে কর্মচারীর শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
চুক্তির মেয়াদ ও নবীকরণ
1.এই অঙ্গীকারনামা সাধারণত এক বছর মেয়াদই হবে, তবে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে এটি পুনার্নবীকরণ করা যেতে পারে।
2.আমি (প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নাম), এই অঙ্গীকার নামার শর্ত সমূহ পূর্ণরূপের সম্মতি হয়েছে এবং প্রস্তাবিত শর্তাবলির প্রতি পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
স্বাক্ষর
প্রথম পক্ষ (প্রতিষ্ঠান):----------------
দ্বিতীয় পক্ষ (কর্মচারী):----------------
আর পড়ুনঃ কোন কাজের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আপনি সম্পূর্ণ নিবন্ধনটি পড়েছেন এবং গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য এই ধরনের অঙ্গীকার নাম্বার তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনি বুঝতে পেরেছেন। গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য কিভাবে অঙ্গীকারনামা তৈরি করতে হয় তার সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। তবে একটি গার্মেন্টস সেক্টরের অঙ্গীকার নামার মধ্যে আপনি আপনার ইচ্ছা মতন যে কোন কিছু যোগ করতে পারবেন।
গার্মেন্টসের শর্তাবলী এবং নিয়মাবলী অনুসারে। তবে একটি অঙ্গীকারনামাই আপনি সমস্ত কিছু যোগ করবেন। যাতে করে আপনার নিরাপত্তার নিশ্চিত থাকে। এই বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কারণ আমরা প্রত্যেকের কমেন্টের রিভিউ করি।
এই নিবন্ধনটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে এই নিবন্ধনটি শেয়ার করুন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে। ইভিভিটিভি (evvtv) সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইভিভিটিভি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url