বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় আপনি কি এই বিষয়ে জানতে চান? আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। বিড়ালের কামড়কে ছোট করে দেখলে হবে না কারণ বিড়ালের কামড়ালে বিভিন্ন ইনফেকশন হতে পারে। আপনারা যেহেতু জানতে চান বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়, মূলত এই কারণে নিবন্ধনটি তৈরি।

আপনি যদি জানতে চান বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনাদের উপকার থেকে আমরা এই নিবন্ধনটি তৈরি করেছি। তাই সম্পূর্ণ পড়ুন।

আপনারা অনেকেই বর্তমান সময়ে বিড়ালের খুবই কাছাকাছি যাচ্ছেন। বিড়াল আমাদের চারপাশে খুবই একটি পরিচিত প্রাণী। এবং বিড়াল অনেক ভালোবাসেন অনেকেই এজন্য বিড়ালের খুবই কাছে যান। এবং বিড়াল খুবই মিষ্টি একটি প্রাণী যার কারণে আপনারা খুব সহজেই তাদের খুবই কাছাকাছি যান। অনেক সময় বিড়ালের এই মিষ্টি আচরণ আবার কখনো আগ্রহী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যখন আপনি কোন অরজিনাল বিড়ালের কাছে যান অথবা আপনার কোন অসুস্থ বিড়ালের কাছে যান তখন এই ঘটনাগুলো বেশি ঘটে।

যখন আপনি অপরিচিত কোন বিড়ালের কাছে যান তখন এই কামড়ের ঘটনাগুলো বেশির ভাগ করে থাকে। বিড়াল কামড়ালে অনেক সময় আপনারা অনেকে চিন্তায় পড়ে যান। এবং আপনারা যদি বিড়াল কামড়ালে সাথে সাথে পরিষ্কার না করেন। সেক্ষেত্রে আপনার বিড়াল কামড়ালে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। এই কারণে বিড়াল কামড়ালে ভেকসিন নিতে হয় বা টিকা নিতে হয়। এবং বিড়াল কমড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়।

এবং আমরা বিড়াল কামরানোর ফলে আরো কি কি সমস্যা হতে পারে কি করা প্রয়োজন ইত্যাদি বিস্তারিত আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। যাতে করে আপনারা কোন ধরনের সমস্যায় না করেন এবং খুব দ্রুত আপনার সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন।

বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় এই বিষয়টি জানার আগে আপনাকে জানতে হবে বিড়াল কামড়ালে কি কি সমস্যা হতে পারে? এই সম্পর্কে। আপনি যদি আগে থেকে জেনে রাখেন তাহলে আপনি খুব সহজে আপনি সতর্ক থাকতে পারবেন।

বিড়াল কামড়ালে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে এই বিষয়টা খুবই স্বাভাবিক। বিড়াল কামড়ালে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হতে পারে তার মধ্যে প্রথম সমস্যাটি হল ”রেভিস ভাইরাস”। এবং এই র‍্যাবিনে ভাইরাটি এমন একটি মারাত্মক ভাইরাস যা সরাসরি কেন্দ্র স্নায়ুতত্বকে আক্রমণ করে।

বিড়াল কামানোর পর যদি আপনি কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেন এর পরে যদি আপনি রেভিস ভাইরাসে আক্রান্ত হন সে ক্ষেত্রে আপনার এই সমস্যাটি অনেক বড় সমস্যায় পরিণত হতে পারে। যা প্রাণঘাতী সমসসা ও হতে পারে। ছোট করে দেখেন তাহলে আপনি অনেক বড় ভুল করতে চাচ্ছেন।

কামরানোর দ্বিতীয় যে মারাত্মক সমস্যাটি সেটি হল ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত সমস্যা। যখন আপনি কি বিড়াল কামরায় এবং দাঁতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে, আপনার সেই ক্ষতস্থানে। এই ব্যাকটেরিয়া কারণে আপনার বিড়াল কামড়ানোর জায়গায় আপনার ত্বক লালচে হতে পারে, আবার আপনার সেই বিড়াল কামড়ানোর জায়গায় ফুলে যেতে পারে, অথবা লালচে ভাব,-পুঁজ ও হতে পারে। আবার আপনি যদি সাথে সাথে এই ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার না করেন সেখানে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং বিড়াল কামরানোর এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে আপনার গায়ে জ্বর দেখা দিতে পারে।

এরপরে তৃতীয় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্যাটি সেটি হলো টেটনাস। এটি তখন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যখন আপনার বিড়াল কামরানো জায়গায় অপরিচ্ছন্ন থাকে বা আপনি পরিচ্ছন্ন বা পরিষ্কার না করে থাকেন। এজন্য অবশ্যই আপনার উচিত পরিছন্ন করা বিড়াল কামড়ানোর স্থানটি। এবং আপনার সেই ক্ষতস্থানটি যদি গভীর হয় তাহলেও এই টেটানাস সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।

আমরা জানলাম বিড়াল কামড়ালে কি কি সমস্যা হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এখন আমি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়। আপনাকে যদি বিড়াল কাম দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার খুব দ্রুত টিকা নেওয়া প্রয়োজন।

কিন্তু আপনি যদি সাথে সাথে ঠিকানা নেন অথবা আপনি যদি না জেনে থাকেন বিড়াল কামড়ালে কতদিনের মধ্যে টাকা নেওয়া হয়। তাহলে আপনাদেরকে জানাতে চাই। বিড়াল কামরানোর পর আপনাকে ২৪ ঘন্টা বা ১২ ঘন্টার মধ্যে টিকা নেওয়া প্রয়োজন।

তবে আপনি বেশি দেরি না করলেই আপনার জন্য সবথেকে উত্তম। বিড়াল কামড় দিলে সাথে সাথে আপনার উচিত ডক্টরের সাথে যোগাযোগ করা। এবং এরপরে চিকিৎসা বা টিকা নেওয়া। প্রথম টিকা নেওয়ার পর আপনাকে পরবর্তী দোষগুলো তৃতীয় থেকে সপ্তম / ৭ এবং 14 তম এবং ২৮ তম দিনের দিতে হবে।

তবে আপনি যত দ্রুত সম্ভব ডক্টরের সাথে যোগাযোগ করে টিকা নেওয়ার চেষ্টা করবেন এরপরে ডঃ এর কাছ থেকে জানতে চাইবেন কতদিন পর পর টিকা দিতে হবে। অবশ্যই কামড়ানোর একদিনের মধ্যে একটিকা নিবেন। আপনাকে যদি বিড়াল কামড়ে থাকে তাহলে বিড়াল কামরানোর সাথে সাথে আপনার সেই ক্ষত জায়গাটি পরিষ্কার করবেন।

আপনাকে যদি বিড়াল কামড়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার জানা প্রয়োজন কামড়ালে প্রথম পদক্ষেপ কি। অথবা আপনি যদি বিড়ালের খুবই কাছাকাছি যান এর আগে যদি আপনি জানতে চান বিড়াল কামড়ালে প্রথম পদক্ষেপ কি তাহলে আমি আপনাদেরকে বলবো। আপনি যদি বিড়াল কামড়ালে প্রথম কিছু বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ ক্ষেত্রে আপনার সংক্রমনের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। যেমন:

বিড়াল কামড়ানোর সাথে সাথে আপনার ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করতে হবে। বিড়াল কামরানোর অন্তত আজ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে পানি এবং সাবান দিয়ে ধুয়ে নিবেন। আপনি এক্ষেত্রে ডেটলস ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি ক্ষতস্থান পরিষ্কার না করেন সেক্ষেত্রে আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই কারণে যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতস্থান পরিষ্কার করুন।

বিড়াল কামানোর পর আপনি যখন ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করবেন এরপরে আপনাকে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। আপনি যখন বিড়াল কামরানোর পর আপনার ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করবেন এরপরে আপনাকে কিছু জীবাণুনাশক ক্রিম লাগাতে হবে।

আপনার ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করবেন এরপর জীবননাশক ক্রিম লাগাবেন এরপরে আগামী একদিনের মধ্যে বা 24 ঘন্টা বা 12 ঘন্টার মধ্যে আপনি ডক্টরের সাথে পরামর্শ করুন। এরপর চিকিৎসা নিন। অবিলম্বে নিকটস্থ কোন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা হাসপাতালে যাবেন যাতে করে আপনার এই সমস্যাটি যাতে করে কোন ধরনের ভয়ঙ্কর না নিতে পারে সে কারণে ‍টিকা বা চিকিৎসা নেবেন।

আপনার বিড়াল যদি কামড়ায় তাহলে আপনার রেবিস ভাইরাসটি প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে দ্রুত রেবিস টিকা নেওয়া প্রয়োজন। যাতে করে আপনার এই সমস্যাটি আরো বড় না হতে পারে। রেবিস ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেশ কয়েকটি টিকা নিতে হবে।

আপনাকে রেবিস ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য বিড়াল কামড়ানোর আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ডজের টিকা নিবেন। এবং আপনি যদি এই টিকাটা নেন তাহলে আপনার সংক্রামন এর ঝুঁকি কমতে পারে।

এরপর পরবর্তী দোষগুলো আর দ্বিতীয় রোজ তিন দিন পর এক কথায় তৃতীয় দিনে নেবেন। এরপর বেন চতুর দৃষ্টি সপ্তম দিন পর নিবেন বা ৭ নির পর নিবেন। এর পর চতুর্থ দৃষ্টি ১৪ দিন পর নেবেন। এর পর পঞ্চম দশটি আপনি ২৮ তম দিনে নিবেন। অথবা আপনি যদি ডক্টরের সঙ্গে পরামর্শ করেন ডক্টর সঙ্গে দেখা করেন বাট আপনার কাছে যান তাহলে আপনাকে ডঃ পরামর্শ দিবে কতদিন পর পর আপনার ঠিকানা প্রয়োজন।

অবশ্যই বিড়াল কামানোর পর আপনাকে টিকা দেয়ার নেওয়া উচিত। আপনারা অনেকেই জানেন না টিকা ছাড়া কি বিপদ হতে পারে। আপনি যদি টিকা না দেন সে ক্ষেত্রে আপনার মস্তিষ্কে এবং স্নায়ুতাকে আক্রমণ করতে পারে এই রেভিস ভাইরাসটি। এই ভাইরাসটি যদি দেখা দেয় তাহলে আপনার মাথা ব্যাথা জ্বর অস্থিরতা পানির প্রতি ভয় মানসিক বিভ্রান্তি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আপনি কি আপনারা জানতে চান বিড়াল কাপড়ের ভ্যাকসিনের দাম। বিড়াল কামড়ের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ভ্যাকসিন রয়েছে যে ভ্যাকসিন গুলো মূলত যে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে বিড়াল কামড়ের ভ্যাকসিনে কত টাকা খরচ হবে এবং সেটি নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনি যে দলটি গ্রহণ করছেন সেটা যেন।

তবে আপনি যদি ডক্টরের কি জিজ্ঞেস করেন যে বর্তমান সময় অনুযায়ী বিড়ালের কামরানের ভ্যাকসিনের দাম কত তাহলে তারা আপনাকে সঠিক মূল্য বলে দিতে পারবে। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল কিংবা ভ্যাকসিন ক্লিনিক এর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন কোম্পানির উপর নির্ভর করে যে বিড়াল কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত সে বিষয়টি।

তবে আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে অথবা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিড়াল কামড়ের ভ্যাকসিনটি নেন সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিতে ভ্যাকসিন গুলো পাবার কথা। তবে আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ফ্রিতে ওষুধগুলো না পান সেক্ষেত্রে আপনি উদ্বোধন ও কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদেরকে এই বিষয়ে অবগত করুন।

আপনাদের প্রত্যেকের জেনে রাখা প্রয়োজন বিড়াল কামড়ানোর প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে। এতে করে আপনি আপনার পরিচিত ব্যক্তিদেরকে অথবা আপনার পরিচিত খুবই ঘনিষ্ঠ কাউকে যেমন আপনার পরিবারের কাউকে বিড়ালের কারণে হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন। বিড়ালের কামড়ানোর প্রয়োজন প্রতিরোধে করণীয় হল:

বিড়াল কামরানোর মত ঘটনা ঘটলে এটি অবহেলা করা যাবে না। সংক্রমণ প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনওটিকা গ্রহণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। আমরা এই নিবন্ধন এর মধ্যে আলোচনা করলাম বিড়াল কামরানোর প্রতিরোধে করণীয় বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় ইত্যাদি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

যেগুলো আপনাদের করতে কে জেনে রাখা প্রয়োজন। আশা করি আপনি নিবন্ধনটি সম্পন্ন করেছেন এবং সমষ্টি কিছু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এই বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা প্রত্যেকের কমেন্টের রিভিউ করি। ওদের সঙ্গে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।