বিড়ালের নাম নতুন তালিকাকুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় আপনি কি জানতে চান? আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমি এ বিষয়ে লক্ষ্য করছি যে আপনারা কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় এ বিষয়ে জানতে। আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই নিবন্ধন এর মাধ্যমে।

একটা কুকুর কামড়ালে এ বিষয়টি সামান্য ভাবে দেখা যাবে না কারণ এটি একটি মারাত্মক সমস্যা। তাই আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন।

কাউকে কুকুর কামড়ানোর বিষয়টা খুবই সাধারণ। এই বিষয় নিয়ে কাউকে ততটা ভয় পাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ মানুষকে কুকুর কামড়াতেই পারে এটি স্বাভাবিক। প্রায় অনেক মানুষের জীবনেই এই ঘটনাটি ঘটে থাকে।

তবে এই ঘটনাটি প্রায় অনেকের সাথেই ঘুরতে পারে এটাই স্বাভাবিক। তবে কুকুর কামড়ালে কোন ভয়ের কারণে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে জ্বালাতন ভাইরাস থেকে বাঁচার সম্ভব। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে যদি কেউ ভুল পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন বা কোন জ্ঞানের অভাব থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি প্রাণঘাতী সমস্যা হতে পারে।

এ কারণে আপনাদের উচিত সবসময় সতর্ক থাকা ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া। এবং বিষয়টি খুবই সাধারণ আবার খুবই জটিল। এজন্য আপনাকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কুকুর কামড়ালে যে জলাতঙ্ক ভাইরাসটি হয় এটি মানুষের স্নায়কতন্ত্রে আক্রমণ করে থাকে। তবে এই জলাতঙ্কের যদি সঠিক চিকিৎসা না করা হয় সে ক্ষেত্রে যাকে কুকুর কামড়াবে সেই আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এজন্য এই ভাইরাস যাতে করে কোন ক্ষতি না করতে পারে সেই জন্য সচেতন থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে খুব সহজেই জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করা সম্ভব। আপনারা যেহেতু জানতে চান কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়।

সেই কারণে আমি ইউনিবন্ধন দিয়ে তৈরি করেছি। আপনি এ নিবন্ধনটি বা আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন, জলাতঙ্ক কি? কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় বা হতে পারে। এছাড়া ও কি কি লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার জলাতঙ্ক আতঙ্ক ভাইরাস আক্রমণ করেছে। এ নিবন্ধনটির মাধ্যমে যেহেতু কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় বা জলাতঙ্ক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই পড়তে থাকুন।

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে আসলে জলাতঙ্ক কি? এ বিষয়ে প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন। তবে আপনাদেরকে বলতে চাই জ্বালাতন হচ্ছে এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। তবে এই জ্বলাতঙ্ক রোগটি কুকুর কামড়ালে অথবা অন্যান্য প্রাণী কামড়ালেই মানুষের শরীরের ভিতর ছড়িয়ে পড়ে। এবং যখন এই জলাতঙ্ক রোগ বা ভাইরাসটি স্নায়ুতন্ত্রের প্রবেশ করবে তখন সেই জলাতঙ্ক ভাইরাস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিটির বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

এবং এই ভাইরাসটি যদি শরীরের মধ্যে একবার প্রবেশ করে তাহলে মস্তিষ্কের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে বা বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে এই জলাতঙ্ক ভাইরাসের যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হয় তাহলে এটি প্রাণঘাতই সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আমরা আপনাদেরকে জানালাম জলাতঙ্ক কি। এখন আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়। আপনি যেহেতু জলাতঙ্ক কি এ বিষয়টি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন সেহেতু এখন আপনার জানা প্রয়োজন।

তবে আপনাদের কে প্রথমেই বলতে চাই কুকুর কামড়ানোর পর জলাতঙ্ক হওয়ার সময়সীমা নির্ভর করে সেই ব্যক্তিকে কুকুর কামড়িয়েছে সেই ব্যক্তির উপর। সেই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর। এবং আরো নির্ভর করে সেই ব্যক্তিকে কুকুর কতখানি কামড়িয়েছে কতটা গভীরতা রয়েছে ক্ষতস্থানটি। এছাড়াও ভাইরাসের পরিমাণের উপর নির্ভর করে কুকুরের কামড়ের কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় এই বিষয়টি।

তবে জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সাধারণ সময় হলো ১০ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে। এটি যাকে কুকুর কামড়িয়েছে সেটি নিজেই তিনি বুঝতে পারবেন। তবে সাধারণত ১০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যেই এই ভাইরাসটি দেখা দেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এই বিষয়টি আবার দেরি হতে পারে যেমন এই বিষয়টি কোন কোন ক্ষেত্রে ১ ( এক ) মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩ ( তিন ) মাসের মধ্যে হতে পারে।

আবার যদি এটির ব্যতিক্রমী সময়সীমা দেখা যায় তাহলে এটি কখনো কখনো আবার এক বছরের মধ্যেও হতে পারে। কিন্তু কামরটি বা যেখানে কুকুর কামড়েছে সেই স্থানটি যদি মাথার আশেপাশে হয় অথবা ঘাড়ের কাছাকাছি হয় সেক্ষেত্রে জলাতঙ্ক ভাইরাসটি খুব দ্রুত হতে পারে। তবে কুকুর কামড়ালে আপনার জলাতঙ্ক সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

কুকুর কামড়ানোর কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক ও রোগ হতে পারে। তবে আপনাকে আরেকটি বিষয়ে জানতে হবে সেটি হল জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি। আপনি যখন জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ দেখতে পারবেন তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার জলাতঙ্ক রোগ হয়েছে। জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ বেশ কয়েকটি রয়েছে। আপনি যদি সৈকতটি লক্ষণ ভালোভাবে জেনে রাখেন তাহলে পরবর্তীতে যদি আপনি অথবা অন্যকেও জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয় সহজে আপনি বুঝতে পারবেন।

জলাতঙ্ক ও রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরা যেতে পারে জ্বর। যখন জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত করতে চাইবে তখন আপনার জ্বর হতে পারে এবং সাধারণত 100 ডিগ্রী ফানহাইট এর কাছাকাছি হতে পারে।

এবং জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার লক্ষণ আরেকটি হতে পারে আপনাকে যেখানে কুকুর কামড়িয়েছে ক্ষতস্থানে অস্বস্তি। আপনাকে যে জায়গায় কুকুর কামড়েছে সেই জায়গায় কাপড়ের স্থানে কিছুটা লালচে ভাব ফুলে যাওয়া চুলকাতে পারে ইত্যাদি আরো অনেক কিছু করতে পারে আপনাকে যেখানে কুকুর কামড়েছে সেখানে।

এছাড়াও আরো লক্ষণ হতে পারে আপনার মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি। আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই শরীরের দুর্বলতা দেখা দিবে। শরীরের দুর্বলতার মধ্যে থাকতে পারে মাথা ব্যথা ক্লান্তি আরো অনেক কিছু। এবং আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে আপনাকে যে জায়গায় কুকুর কামড়িয়েছে কামড়ানোর মধ্যে আপনার সেই জায়গায় ব্যথা অনুভব হতে পারে।

এছাড়াও উন্নতি লক্ষণ বা দ্বিতীয় যে লক্ষণটি হতে পারে সেটি হল জলভীতি। যখন প্রান্ত ব্যক্তি জল পান করতে যাবেন তখন পান করতে গেলে গলা সংকুচিত হয়ে যাবে বা হতে পারে। তবে তখন রোগী ভয় পেতে পারেন। এছাড়াও আরও একটি লক্ষণ হতে পারে বাতাসভীতি, এর মানে হলো বাতাসের চাপ বা শব্দে অস্বস্তি ভাব অনুভব করতে পারে।

এছাড়াও আরেকটি লক্ষণ হতে পারে হাত-পা কাঁপা কাঁপি বা খিচুনি। বা রোগীর যাকে কুকুর কামড়িয়েছে তার মানসিক অবস্থা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।

আপনাকে জানা প্রয়োজন আপনিতো লক্ষণগুলো ইতিমধ্যে জেনে গেছেন বা কি কি লক্ষণ সাধারণত দেখতে পাওয়া যায় জলাতঙ্ক ভাইরাসে আক্রান্ত হইলে। এখন আপনার জানা প্রয়োজন কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়? আপনাকে যদি কুকুর কামড়ে থাকে তাহলে সেই জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

কুকুর কামড়ানোর প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনাকে ডক্টরের কাছে যেতে হবে। এর আগে কুকুর যে স্থানে আপনাকে কামড়িয়েছে সেই স্থানে অবশ্যই পানি ও সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি ডেটল ব্যবহার করতে পারেন।

অবশ্যই কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনি যদি ডক্টরের কাছে যেতে পারেন এবং চিকিৎসা নিতে পারেন জলাতঙ্ক প্রতিরোধের একটি টীকা নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে পরবর্তীতে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার চিন্তা করতে হবে না।

কুকুর কামড়ানোর প্রথম দিনেই আপনাকে একটি ডোজ দিতে হবে সেটি হল প্রথম টিকা। এতে করে আপনাকে কামরানোর পর সেই জায়গায় একটি ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে সেই ভাইরাস ছড়াতে বাধা দিবে এই টিকা।

এরপর পরবর্তী ডোজ আপনাকে তিন দিন সাত দিন ১৪ দিন এবং ২৮ দিনের মোট পাঁচটি ডোজ নিতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি ডক্টরের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে পরামর্শ করেন। বা ডক্টরের কাছ থেকে যদি আপনি জেনে নিতে পারেন কত দিন পরপর কয়টি রোজ আপনাকে দিতে হবে তাহলে খুব সহজেই, আপনি তাদের টিকা দিলে আপনার কোন সমস্যা হবে না।

তবে আপনাকে অবশ্যই কামড়ানোর ১০ দিনের মধ্যে টিকা নিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব আপনার টিকা নেওয়া প্রয়োজন। যত দ্রুত আপনি টিকা নিতে পারবেন শতদ্রুত আপনার জন্য ভালো। কারণ কুকুর কামড়ানোর এই জলাতঙ্ক রোগকে খুব সামান্য করে দেখলে হবে না। কারণ এটি একটি মরণঘাতী রোগ।

আপনি যদি উপরোক্ত সমস্ত কিছু পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কিছু ধারণা করতে পেরেছেন কুকুর কামড়ালে কয়টি টিকা দিতে হয়। তবে আমি আপনাকে আরো জানতে চাই কুকুর কামড়ালে কয়টি টিকা দিতে হয়।

কুকুর কামড়ানোর পর রোগ প্রতিরোধের জন্য পাঁচটি ডোজ টিকা দিতে হয় বা দেওয়া হয়। আপনি যদি ডক্টরের কাছে যান তাহলে তারাও আপনাকে মোট পাঁচটি টিকা দিবে। তবে আপনার কতটি টাকা প্রয়োজন হতে পারে তার বিস্তারিত জানতে পারবেন ডক্টরের। কাছ থেকে নিম্নে একটি টিকার সময়সূচী দেওয়া হল।

১ম ডোজ : প্রচন্ড আপনাকে যেদিন কুকুর কামড়িয়েছে সেই দিন দিতে হবে।

২য় ডোজ : প্রথম ডোজ সম্পন্ন হলেন আপনাকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গেলে আপনাকে ঠিক তিনদিন পর দ্বিতীয় ডোজটি দিতে হবে।

৩ য় ডোজ : আপনার দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হয়ে গেলে টিকা দেওয়ার থেকে ৭ দিন পর আপনাকে আবারো একটি টিকা দিতে হবে। এটি হলো তৃতীয় ডোজ।

৪র্থ ডোজ : তৃতীয় রোজ সম্পন্ন হলে আপনাকে চতুর্থ ডোজটি দিতে হবে ঠিক ১৪ দিন পর। কথায় আপনি দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর থেকে ঠিক ১৪ দিনের মাথায় আপনি চতুর্থটি ডোজটি নিবেন।

৫ ম ডোজ : সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনাকে ঠিক ২৮ দিন পর পঞ্চম ডোজটি টি নিতে হবে।

জলাতঙ্কের টিকা কত দিনের মধ্যে দিতে হয়? আপনি যদি এই বিষয়টি জেনে রাখেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে অথবা অপরিচিত কাউকে জ্বলাতঙ্ক রোগের আক্রান্ত হয় তখন এ বিষয়টি কাজে আসবে। তবে প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন জলাতঙ্কের টিকা কত দিনের মধ্যে নিতে হয় এতে করে আগে থেকেই আপনারা সাবধান থাকতে পারবেন।

তবে কুকুর কামড়ানোর পর যত দ্রুত সম্ভব টিকা নেওয়া উচিত। তবে আপনি কে যদি কুকুর কামড়িয়ে থাকে এর পর যদি আপনি দশ দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগের টিকাটি গ্রহণ করেন। বা যেটিকাটি দিতে হয় সেটি আপনি গ্রহণ করেন, তাহলে খুব সহজেই জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।

তবে আপনি যদি দেরি করে ফেলেন সে ক্ষেত্রে এই ভাইরাসটি আপনার মস্তিষ্কের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারে যা আপনার জন্য খুবই একটি মারাত্মক সমস্যা। একবার যদি এই ভাইরাসটি মস্তিষ্কের মধ্যে পৌঁছে যায় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা করা কিন্তু কঠিন হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।

আপনারা যদি কুকুর কামড়ানোর পর টিকা না দেন বা না দেওয়া হলে এই জলাতঙ্ক রোগ শরীরের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এবং এটিকে আক্রমণ করবে। যেটি আপনার জন্য খুবই মারাত্মক সমস্যা।

আপনি যদি প্রথম পর্যায়ে টিকা নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণেই আপনি যত দ্রুত পারেন টিকাটি নিবেন।

কুকুর কামড়ানোর পর করণীয় সম্পর্কে যদি আপনি জেনে রাখেন সে ক্ষেত্রে আপনি দ্রুত সে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে সেই রোগ হাত থেকে কিছুটা হলেও বাঁচতে পারে। কুকুর কামড়ানোর পর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা।

আপনাকে অবশ্যই পরিষ্কার পানি এবং জীবাণু নাশক সাবান ব্যবহার করে ক্ষতস্থান টিম ধুয়ে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে সাবধানতা থাকতে হবে আপনাকে কখনোই এখানে দুধ বা তেল লাগানো যাবে না।

এরপরে আপনাকে কুকুর যদি কামড়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষতস্থানটি দ্রুত পরিষ্কার করে আপনাকে দ্রুত চিকিৎসার কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে আপনাকে দ্রুত প্রথম টিকাটি গ্রহণ করতে। হবে এবং চিকিৎসকের কাছে গিয়ে যদি আরো অন্য কিছু প্রয়োজন হয় তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন এবং সেই চিকিৎসা গুলো আপনি তাদের কাছ থেকে নিবেন।

কুকুর কামড়ানোর পর আপনাকে অবশ্যই ঘরুয়া চিকিৎসা গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আপনাকে অবশ্যই ঘরুয়া চিকিৎসা এড়িয়ে চলার জন্য অনেক চিকিৎসকরা বলে থাকবে। আপনার উচিত ঘরোয়া চিকিৎসা থেকে এড়িয়ে চলা। শুধুমাত্র ঘরুয়া পদ্ধতি অবলম্বন না করে, আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়। এবং সেই জলাতঙ্ক রোগ থেকে বাঁচার বিভিন্ন উপায়ে আমরা আলোচনা করেছি। এবং কখন কোন টিকা নেওয়া প্রয়োজন কতটি টিকা নেওয়া প্রয়োজন আমরা উপরে বিস্তারিত জানিয়েছি। কুকুর কামড়ানো বা জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে আপনাদের সবাইকে আমাদের সবাইকে জীবনের জন্য সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

কুকুর কামড়ানোর পর যদি সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এই জলাতঙ্ক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কেউ যদি এই জলাতঙ্ক রোগকে ছোট করে দেখে। বা কুকুর কামড়ানোর পর যদি কেউ এই রোগগুলোকে, ছোট করে দেখেন তাহলে তার বিপদ বাড়তে পারে। কারণ এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ। রোগ এই রোগের কারণে অনেকেই প্রাণও হারিয়ে।

এই জন্য আপনাকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ নিবন্ধনটি পড়েছেন এবং কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়, বা জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন আমরা প্রত্যেকের কমেন্টের রিভিউ করি।

নিবন্ধনটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে পরিচিতদের কাছে অথবা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করে রাখতে পারেন। যাতে করে অন্যরাও এ বিষয়ে জানতে পারে এবং এ বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক হতে পারে। নিজের সুরক্ষিত থাকুন ওর সুরক্ষিত করুন, আমাদের সঙ্গে এতক্ষণের থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য।